• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • রাশিয়ার সমাধিতে ২ হাজার বছরের প্রাচীন ‘স্মার্টফোন’!

    রাশিয়ায় প্রাচীন সমাধি থেকে পাওয়া গেল দুই হাজার বছরের বেশি পুরনো ‘স্মার্টফোন’। রাশিয়ার বৃহত্তম বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে আলা-তে লেকের নীচে সন্ধান পাওয়া এক সম্ভ্রান্ত মহিলার সমাধিতে পাওয়া গিয়েছে বিস্ময়কর এই সামগ্রী।

    সায়ানো-শুশেনস্কায়া বাঁধের কাছে ওই লেকের পানি ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। পানি সরতেই সন্ধান পাওয়া যায় প্রাচীন সমাধির। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সমাধিটি ২,১৩৭ বছর আগে জিঅংনু আমলের এক ধনী ও সম্ভ্রান্ত হুন যুবতীর, যিনি দক্ষিণ রাশিয়ার গ্রামীণ অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন। মনে করা হচ্ছে, আইফোনের মতো দেখতে বস্তুটি আদতে তার পোশাকে এঁটে থাকা বেল্টের বকলস হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

    প্রত্নতাত্ত্বিক দলের প্রধান পাভেল লিয়াসের মতে, ‘জিঅংনু আমলের এই হুন যাযাবর সম্প্রদায়ের সমাধিতে পাওয়া আইফোন সদৃশ বস্তুটি নিঃসন্দেহে আবিষ্কারের অন্যতম আকর্ষণ। নাতাশা নামের ওই মহিলার পোশাকেই একমাত্র এমন বেল্ট দেখা গিয়েছে। বেল্টের নকশায় থাকা চিনা উ্যঝু মুদ্রাগুলি সমাধির সময়কাল নির্ধারণে সহায়ক হয়েছে।’

    স্মার্টফোনের মতো আকৃতির বকলসটি লম্বায় প্রায় সাড়ে সাত ইঞ্চি। কালো জেমস্টোন জেটে তৈরি বর্গাকৃতির বকলসের উপর লাল-সাদা পাথরের বিন্দু সারিবদ্ধ হিসেবে বসানো রয়েছে। সূত্র: রয়টার্স।

    ৩,৭০০ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ

    কানাগাওয়া জেলার এবিনা শহর এবং ইযু ওশিমা দ্বীপের প্রায় দেড় হাজার বাসভবন বা ৩,৭০০ ব্যক্তির প্রতি নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

    নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার এই পরামর্শে পাঁচ মাত্রার সতর্কতায় মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪।

    এছাড়া প্রধানত কানাগাওয়া ও শিযুওকা জেলার প্রায় ৯ লক্ষ ৫০ হাজার বাসভবন বা ২০ লক্ষ লোকজনের প্রতি নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাখার উপদেশ দেয়া হয়েছে, যেটা হচ্ছে ৩ মাত্রার সতর্কতা।

    বিয়েতে বানরের বাধা

    Posted by admin on September 8
    Posted in Uncategorized 

    বিয়েতে বানরের বাধা

    মেয়ে দেখতে ভাল। পড়াশোনাও করেছে। বাড়ির কাজকর্মও জানে। বিয়েতে মেয়ে যেমন রাজি, তেমনি আবার মত রয়েছে পরিবারেরও। বিয়ের প্রস্তুতিতে কোনও ত্রুটি নেই। এরপরও বিয়ে হচ্ছে না ভারতের বিহারের ভোজপুরের রতনপুর গ্রামের তরুণীদের। কারণ তাদের বিয়েতে প্রধান বাধা শুধুমাত্র একদল বানর।
    ভাবছেন চার পায়ের প্রাণীদের জন্য আবার কারও বিয়ে ভাঙতে পারে? কিন্তু এটাই বাস্তব। কারণ জানলে সবাই অবাক হয়ে যাবেন। পাটনা শহর থেকে মাত্র ৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভোজপুরের রতনপুর গ্রাম।
    রাস্তাঘাট এক প্রকার। তবে উন্নতির আলো একেবারে পৌঁছায়নি সে কথাও বলা যাবে না। তবে এই গ্রামে মূল সমস্যা বানর। প্রায়ই এলাকায় তান্ডব চালায় বানরের দল। গ্রামবাসীদের কাছে বানর রীতিমত ত্রাস। আঁচড়ানো, কামড়ানোর মতো অত্যাচারের ঘটনা লেগেই আছে। গ্রামের লোকজন আতঙ্কে থাকেন। বুঝে শুনে বাড়ির বাইরে বের হন।

    বাইরে থেকে আসা লোকজন এসবের কিছুই জানেন না। তাই গ্রামে এসেই একবার হামলার শিকার হন একদল মানুষ। তারা গ্রামে এসেছিলেন বরযাত্রী হিসাবে। হইচইয়ের ফলে বিরক্ত হয় বানরের দল। একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়ে বরযাত্রীদের উপর। বানর দলের হামলায় পন্ড হয়ে যায় বিয়ে।
    ওই ঘটনার পর থেকে রতনপুর গ্রামে ছেলের বিয়ে দিয়ে আর বিপদ ডেকে আনতে চান না কেউই। তাই নিরুপায় অবস্থা কন্যাদায়গ্রস্ত বাবাদের। তাদের বক্তব্য, ‘কেউ বরযাত্রী নিয়ে আসতে রাজি হচ্ছেন না। তাই মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে না। ওরা কুমারী থেকে যাচ্ছে।’ বানরের উৎপাতে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাধ্য হয়ে বন দফতরের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। কবে বানরের কবল থেকে মুক্তি পাবে গ্রাম, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সবাই। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।

    টাইফুন ‘লিংলিং’ এর ফলে জাপানে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা

    আগামী কাল পর্যন্ত টাইফুন লিংলিংএর ফলে পশ্চিম জাপানে প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জাপানের আবহাওয়া এজেন্সি, সম্ভাব্য দুর্যোগের জন্য প্রস্তুতি নিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

    এজেন্সি বলে যে, টাইফুনের দ্বারা সৃষ্ট অস্থিতিশীল আবহাওয়ার দরুন কিউশু, শিকোকু এবং নানসেই দ্বীপপুঞ্জে প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে।

    আবহাওয়া এজেন্সি, সম্ভাব্য ভূমিধ্বস, বন্যা, নদী ফুলে ওঠা, বজ্রপাত এবং প্রচণ্ড বাতাসের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে লোকজনদের পরামর্শ দিচ্ছে।

    জাপানের গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের তালিকায় যুক্ত হল নিকন ক্যামেরা

    জাপানের জাতীয় প্রকৃতি ও বিজ্ঞান যাদুঘর শিল্পের বিকাশ এবং মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা আবিষ্কারের তালিকায় ২৬টি নতুন পণ্য যুক্ত করেছে।

    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জন্য আবশ্যকীয় ঐতিহাসিক উপাদানের এই তালিকায় জাপানে উৎপাদিত প্রযুক্তিগুলোর স্মৃতি রক্ষা করা হয়ে থাকে।

    চলতি বছর যুক্ত হওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯৫৯ সালে আবিষ্কৃত নিকন-এফ, একক লেন্স রিফ্লেক্স ক্যামেরা। উচ্চ ছবি তোলার মান এবং ব্যবহারিক কার্যাবলীর কারণে ক্যামেরাটি বিশ্বজুড়ে পেশাদার এবং সৌখিন ব্যবহারকারীদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল। এটি জাপানকে ক্যামেরা উৎপাদনের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেয়া এক দেশে পরিণত হতে সাহায্য করেছিল।

    এছাড়া, তালিকায় যুক্ত হওয়া নতুন পণ্যের মধ্যে ১৯৮৪ সালে আবিষ্কৃত সনি কোম্পানির একটি বহনযোগ্য সিডি প্লেয়ারও রয়েছে। এটি ছিল বিশ্বে এধরণের প্রথম পণ্য এবং সেসময় সিডির ব্যবহার ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে এটি ভূমিকা রাখে।

    উল্লেখ্য, জাতীয় প্রকৃতি ও বিজ্ঞান যাদুঘরের এই তালিকায় এখন মোট ২শ ৮৫টি আবিষ্কার যুক্ত আছে।

    চলতি মাসের ১১ তারিখ মন্ত্রীসভায় রদবদল আনবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে এই তথ্য উন্মোচন করেছেন যে আগামী সপ্তাহের বুধবার তিনি মন্ত্রীসভার পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের নির্বাহীদের মধ্যে রদবদল ঘটাতে চান।

    আজ ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে আবে বক্তব্য রাখেন।

    তিনি বলেন, সংসদের উচ্চ-কক্ষের নির্বাচনে জাপানি নাগরিকদের উচ্চ সমর্থন ও আস্থা প্রদর্শনের জবাবে তিনি স্থিতিশীলতা এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপযোগী করে মন্ত্রীসভা পুনর্গঠন করবেন।

    এনএইচকে জানতে পেরেছে যে, রাজনৈতিক ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতার উপর জোর দিয়ে আবে বর্তমানে উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থ মন্ত্রী হিসেবে দ্বৈত ভূমিকা রাখা তারো আসো এবং চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিহিদে সুগা’কে তাদের স্ব-পদে বহাল রাখার পরিকল্পনা করছেন।

    আমাজান অববাহিকায় বাড়ছে আগুনের ঘটনা

    ব্রাজিল সরকার কৃষিকাজের জন্য কৃষকদের বন পোড়ানোর অনুমোদিত লাইসেন্স বাতিল করা সত্ত্বেও দেশটির আমাজান অববাহিকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা বাড়ছে।

    সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা জারির পরে প্রথম ৪৮ ঘন্টায় নতুন করে ৩,৮৫৯ টি অগ্নিকাণ্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এরমধ্যে ২০০০টি আমাজান অঞ্চলে। ন্যাশনাল স্পেস রিসার্চ ইন্সস্টিটিউট (আইএনপিই) স্যাটেলাইট ডাটায় এ তথ্য জানায়।

    আইএনপিই জানায়, ব্রাজিলে গত জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত রেকর্ড ৮৮,৮১৬টি আগুনের ঘটনার ৫১.৯ শতাংশ ঘটেছে আমাজান রেইন ফরেস্টে।

    ব্রাজিলের আমাজান অঞ্চলে এখন খরা মৌসুম। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন,পুর্ববর্তী বছরগুলোর চেয়ে ২০১৯ বৃষ্টিপাত বেশী।আমাজানে আগুনের ঘটনার জন্য তারা প্রাকৃতিকভাবে আগুন লাগাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

    বিশ্লেষকরা বলেন, বন পোড়ানো নিষিদ্ধ করার ঘোষণা বেশ দেরীতে হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে বেশী রাজনীতি হয়েছে।

    চাষাবাদের জন্য রেইন ফরেস্টের অরণ্য ধ্বংস অত্যন্ত গুরুতর হুমকি। বলিভিয়া, ব্রাজিল, করম্বিয়া, ইকুয়েডর, ফ্রেন্স গায়ানা,গায়ানা, পেরু, সুরিনাম এবং ভেনিজুয়েলায় ডি-ফরেস্টেশন একটি বড় সমস্যা।

    জাপানে দুর্যোগ প্রতিরোধ দিবসে ভূমিকম্প মহড়ার আয়োজন

    আজ জাতীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ দিবসে জাপানের কর্তৃপক্ষ টোকিও মেট্রোপলিটন এলাকায় একটি মহা-ভূমিকম্প আঘাত হানা-পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য একটি প্রস্তুতিমূলক মহড়ার আয়োজন করে।

    উল্লেখ্য, প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিন জাপান ১৯২৩ সালে টোকিও এবং এর আশেপাশে সংঘটিত প্রায় লক্ষাধিক মানুষ নিহত হওয়া কান্তো মহা-ভূমিকম্পকে স্মরণ করে থাকে।

    সকাল ৭টার দিকে টোকিওর কেন্দ্রস্থলের ২৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে এপিসেন্টার বা ভূকম্পন বিন্দু সীমাবদ্ধ থাকা এবং দক্ষিণ কান্তো অঞ্চলে ০ থেকে ৭ মাত্রার জাপানি ভূকম্পন পরিমাপকে ৬ বা ৭ মাত্রায় রেকর্ড হওয়া ৭.৩ মাত্রায় আঘাত হানা একটি ভূমিকম্পের দৃশ্য-কল্প বিবেচনায় চলতি বছরের মহড়াটি আয়োজিত হয়।

    মহড়ার অংশ হিসেবে মন্ত্রী এবং কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে সমবেত হয়ে একটি জরুরি টাস্কফোর্স বৈঠকে অংশ নেন। তাদের ধ্বংসযজ্ঞের ব্যাপ্তি সম্পর্কে অবহিত করা হয় এবং তারা ঐ দুর্যোগে সরকারের সাড়া দেয়ার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

    এছাড়া, এসময় এ ধরণের একটি ভূমিকম্পে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হবার আশংকা থাকা চিবা জেলার গভর্নরের সঙ্গেও একটি ভিডিও বৈঠকে অংশ নেন তারা। এসময় তাদেরকে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয় এবং ঠিক কি ধরণের সহায়তার প্রয়োজন হবে, সেটিও নিরূপণ করা হয়।

    মন্ত্রীপরিষদের সদস্যরা অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতা এবং দেশের রাজধানী হিসেবে টোকিওর কার্যক্রম বজায় রাখার মত মৌলিক নীতিসমূহ নিশ্চিত করে নেন।

    এছাড়া, আজ পুরো জাপান জুড়ে অন্যান্য দুর্যোগ মহড়াও আয়োজিত হয়েছে।

    ‘মাংসাশী’ থেকে ‘তৃণভোজী’

    মাংসাশী প্রাণীদের কথা উঠলে প্রথমে কার কথা মনে পড়ে? নিশ্চয়ই বাঘ ও সিংহ হবে। কিন্তু অভয়ারণ্যের একটি ভাইরাল ভিডিও দেখলে মনে হবে এতদিন আপনি যা জানতেন তা ভুল ছাড়া আর কিছুই নয়।
    কারণ স¤প্রতি ভারতের গুজরাটের গির জঙ্গলে দেখা মিলেছে ‘তৃণভোজী’ সিংহের। এই পশুরাজই এখন টক অফ দ্য টাউন। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি সবুজ গাছগাছালিতে ভরা জঙ্গলের মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছে পশুরাজ। একবার চারদিক দেখে খাওয়া শুরু।

    নাহ, সে কোনও পশু শিকার করে খাচ্ছে না। পরিবর্তে সবুজ কচি ঘাস খেয়েই পেট ভরাচ্ছে। অভয়ারণ্যের এ দৃশ্য যে বিরল তা আর নতুন করে বলার কিছুই নেই। তাই অনেকেই বিরল ঘটনা স্মার্টফোনে ক্যামেরাবন্দি করেছেন। আর বিরল এই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার না করে কী থাকা যায়? তাই তা ভাইরাল হতেও সময় বেশি লাগেনি।

    মুহূর্তের মধ্যে সিংহের ঘাস খাওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে নেটিজেনদের টাইমলাইনে। এই ভিডিও যিনি দেখছেন, তিনিই অবাক হচ্ছেন। কীভাবে ‘মাংসাশী’ থেকে ‘তৃণভোজী’ হয়ে গেল সিংহ? সেই প্রশ্ন করতে থাকেন নেটিজেনরা।

    রসিক নেটিজেনরা বলছেন সিংহী নাকি ডায়েট করছে। পুরুষ মনে দোলা লাগাতে মাংস ছেড়ে ঘাস খেতে শুরু করেছে সে। পশু বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এই ভিডিও দেখে বিশেষ অবাক হননি। তাদের দাবি মাংসাশী বন্যপ্রাণীদের অনেক সময় অম্বল হয়। তখন নিজেকে সুস্থ করে তুলতে ঘাস খায় তারা। এরপর কিছুটা বমি হলেই ফিট হয়ে যায় বন্যপ্রাণীরা। হয়তো সিংহের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটছে।

    আবার কারও কারও দাবি, অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য অনেক পশুই আজকাল তাদের অভ্যাস বদলাচ্ছে। হয়তো তাই নিজের খাদ্যাভ্যাস বদলাতে শুরু করেছে ক্যামেরাবন্দি সিংহ। তবে গবেষণা না করে নিশ্চিতভাবে কিছুই বলতে রাজি নন পশু বিশেষজ্ঞরা।

    থাইল্যান্ডে টয়োটার ব্যাটারির পুনপ্রক্রিয়াজাতকরণ

    টয়োটা মোটর জানিয়েছে যে, এই কোম্পানি থাইল্যান্ডে মোটর গাড়ির ব্যাটারির পুন প্রক্রিয়াজাতকরণের একটি কারখানা খুলবে। জাপানের বাইরে এটি হবে কোম্পানিটির এধরণের কারখানা স্থাপনের প্রথম প্রয়াস।

    গতকাল এই স্থাপনাটিকে, সংবাদ মাধ্যমের কাছে উন্মুক্ত করা হয়। এই কারখানায় এধরণের সক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্র আছে যা’ মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই ব্যাটারির ক্ষয়ের মাত্রা পরিমাপ করতে পারে।

    কারখানার কর্মীরা, পুরানো যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে নতুন ব্যাটারি সংযোজন করতে পারবেন। তারপর, এ সব ব্যাটারিকে গাড়ি, সৌর প্যানেল এবং অন্যান্য পণ্য তৈরির জন্য ব্যবহার করা হবে। যে সব ব্যাটারিকে সারানো যাবে না সে গুলোকে ভেঙ্গে করে ধাতব অংশগুলো বের করে নেওয়া হবে।

    উল্লেখ্য টয়োটা, এশিয়ার উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এসেছে। এধরণের বহু দেশ, আরও কঠোর পরিবেশগত নিয়মাবলী প্রবর্তন করেছে। তারফলে, দেশগুলো হাইব্রিড এবং বৈদ্যুতিক যানের জন্য লাভজনক বাজারে পরিণত হয়েছে।

    টয়োটা জানিয়েছে যে, সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তারা অন্যান্য মোটর গাড়ি প্রস্তুতকারীদের ব্যাটারিও কাজে লাগাবে।

    পবিত্র কুরআন সঙ্গে নিয়ে মহাকাশ যাচ্ছেন নভোচারী

    মহাকাশ ভ্রমণে যাচ্ছেন প্রথম কোনো আরব্য যুবক হাজা আল-মানসুরি। তার সফর সঙ্গী হিসেবে থাকছেন নভোচারী জেসিকা মেয়ার ও রাশিয়ান কমান্ডার ওলেগ স্ক্রিপোচকার। এদের মধ্যে হাজা আল-মানসুরি মুসলিম নভোচারী।

    সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রভাবশালী দৈনিক গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম মহাকাশ নভোচারী হলেন হাজা আল-মানসুরি। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা (নাসা) সাইটের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মহাকাশযান ‘সয়ুজ এমএস ১৫’ -এর মাধ্যমে যাত্রা শুরু হবে। এ মহাকাশ ভ্রমণটি কাজাখিস্তানের বাইকনুর কসমোড্রোম স্পেস বেস থেকে শুরু হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

    সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘মোহাম্মদ বিন রশিদ স্পেস সেন্টারের’ সহকারী মহাপরিচালক সালেম আল মেরি বলেন, ‘এটিই প্রথম আমাদের মহাকাশ কর্মসূচী। এই মিশনের মাধ্যমে জাতীয় দক্ষতার বিকাশ ঘটে। এটি আমাদের পৃথিবীতে উন্নত জীবনে সহায়তা করবে।’

    তিনি আরো বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন (আইএসএস) বিশ্বের ১৮টি দেশ থেকে ২৩০টির বেশি নভোচারী পেয়েছে। আশা করি সংযুক্ত আরব আমিরাত ১৯তম দেশ হবে।’

    প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন জানিয়েছে, মহাকাশ সফরে ১০ কেজি পণ্য বহন করতে পারবেন হাজা আল-মানসুরি। সে হিসেবে তিনি মহাকাশে নিয়ে যাচ্ছেন পবিত্র কুরআনের একখণ্ড পাণ্ডুলিপি, পারিবারিক ছবি, খাঁটি সিল্কে বোনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের পতাকা, ‘কিসাতি’ (আমার গল্প) নামক একটি গ্রন্থ, শায়খ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহায়ানের ছবি এবং ‘আল গাফ’ গাছের ৩০টি বীজ।

    মিয়ানমারে ফিরে আসা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে সহায়তা করবে জাপানি দূত

    মিয়ানমারে ফিরে আসা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে সেদেশের সরকারের সাথে সহযোগিতা শুরু করেছে মিয়ানমারে অবস্থিত জাপানি দূতাবাস।

    দু’বছর আগে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের উপর একটি সামরিক দমনাভিযান চালানোর ফলে উদ্ভূত সহিংস সংঘাতের পর মিয়ানমারের সংখ্যালঘু ৭ লক্ষেরও অধিক রোহিঙ্গা অধিবাসী নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।

    মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের সরকার শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য একটি কর্মসূচি নিয়ে সম্মত হলেও এখনও পর্যন্ত কার্যকরভাবে সেটি শুরু করা যায়নি।

    গত এপ্রিল মাস থেকে এপর্যন্ত আনুমানিকভাবে আড়াইশো’রও অধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে অনেকটা চুপিসারেই মিয়ানমার ফিরে গেছেন।

    মিয়ানমার ফেরত ঐ সব রোহিঙ্গা অধিবাসীদের বর্তমান অবস্থা তদন্তে সহায়তা করার জন্য জাপানি দূতাবাসের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে সেদেশের সরকার।

    গতকাল দেশের উত্তরাংশের রাখাইন রাজ্যের একটি প্রশাসনিক কেন্দ্রে মিয়ানমারে নিযুক্ত জাপানি দূত ইচিরো মারুইয়ামা এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা দেশে ফিরে আসা মোট ১২ জন রোহিঙ্গা অধিবাসীর সাক্ষাতকার গ্রহণ করেন।

    ঐ ১২ ব্যক্তি বলেন, তারা তাদের বাড়িঘর হারিয়ে এখন আত্মীয়স্বজনের সাথে অবস্থান করছেন। তারা আরও বলেন যে কৃষিকাজ বা মাছ ধরার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করার ইচ্ছা তাদের রয়েছে এবং সেক্ষেত্রে পুনরায় হামলার শিকার হওয়ার ভীতি থেকে মুক্ত হয়ে নিজেদের এই প্রত্যাশা পূরণে সহায়তার আহ্বান তারা জানান।

    জাপানি দূত বলেন, এক্ষেত্রে, ঠিক কি ধরণের সহায়তার প্রয়োজন হবে, সেটি সনাক্ত করার পাশাপাশি দূতাবাস মিয়ানমার সরকারকে পরামর্শ দেয়া’সহ সংশ্লিষ্ট জাতিসংঘ এজেন্সিগুলোর সাথে প্রচেষ্টা সমন্বয় করে নিবে।

    জাপানে বন্যা ও ভূমিধসের আশংকা, ৭ লাখ লোককে সরানোর নির্দেশ

    ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যা ও ভূমিধসের আশংকায় জাপানের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের কমপক্ষে ৭ লাখ লোককে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ইতিমধ্যে প্রবল বর্ষণে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে হয়েছে। খবর এএফপি, সিএনএ।

    জাপানের আবহাওয়া সংস্থা কিউশুর উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা জারির পর লোকজন সরিয়ে নেয়ার এ নির্দেশ জারি করা হয়।

    এতে বলা হয়, ব্যাপক মহাবিপর্যয়ের সম্ভাবনা থাকায় লোকজনের জীবন রক্ষার লক্ষ্যে এ নির্দেশ দেয়া হলো। প্রবল বর্ষণের কারণে প্রয়োজনে এ অঞ্চলের ১০ লাখের বেশি লোককে সরিয়ে নেয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে।

    তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ ও সতর্কবার্তা জারি করলেও তা বাধ্যতামূলক নয়। এদিকে সরকারি কর্মকর্তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্কাবস্থায় থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

    দমকল ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানায়, তারা ইতোমধ্যে সাগা অঞ্চলের অনেক বাড়ি বন্যা কবলিত হওয়ার খবর পেয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত করতে সেখানে কাজ করছে।

    বুধবার সকালে জরুরি ভিত্তিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাপান আবহাওয়া সংস্থা বলেছে, ‘আমরা বিভিন্ন নগরীতে নজিরবিহীন পর্যায়ের বর্ষণ হতে দেখছি। এসব নগরীর জন্য আমরা বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করেছি।’

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে সুশৃঙ্খল ব্রেক্সিটের আহ্বান জানিয়েছেন

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে বিশ্ব অর্থনীতির উপর প্রভাব ন্যূনতম করার লক্ষ্যে একটি সুশৃঙ্খল ব্রেক্সিট নিশ্চিত করার চেষ্টা চালানোর জন্য বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    আবে এবং জনসন ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত জি-সেভেন’এর শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি সোমবার বৈঠক করেন।

    তাদের প্রথম শীর্ষ বৈঠকে, আবে জনসন’কে বলেন, তিনি আশা করছেন, বৃটেন তাদের অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী জাপানি কোম্পানিগুলোর কাছে আকর্ষণীয় অবস্থানে থাকবে।

    জনসন প্রত্যুত্তরে বলেন, তার সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে মসৃণভাবে বেরিয়ে আসার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাবে এবং জাপানি ব্যবসায়িক কোম্পানিগুলোর স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে রাখবে।

    উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে আমাজনের দাবানল

    দগ্ধ ‘বিশ্বের ফুসফুস’ বলে খ্যাত আমাজন। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে পুড়ছে এর অরণ্য। ফলে উদ্বেগও বাড়ছে। আমাজনকে বাঁচাতে উদ্যোগী পুরো বিশ্ব। কিন্তু আলোচনাতেই ব্যস্ত সবাই। কেবল গাছপালা পুড়ে বিপুল পরিমাণ কার্বনডাই অক্সাইড বাতাসে মেশা নয়, আরো বড় বিপদ অপেক্ষা করছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের আশংকা মাটিতে মিশে থাকা কার্বণ কণাও পুড়ে কার্বন ডাই অক্সাইডরূপে মিশে যেতে পারে বাতাসে। প্রবল সমালোচনার মুখে অবশেষে উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে ব্রাজিল। সেখানে সেনাবাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। আর বলিভিয়া বিমান থেকে পানি ঢালছে। খবর বিবিসির।

    ব্রাজিলে আমাজনের জঙ্গলে হাজার হাজার জায়গায় আগুন জ্বলছে। গত এক দশকে এত ব্যাপক মাত্রায় সেখানে দাবানল সৃষ্টি হয়নি। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তরাঞ্চলে রোরাইমা, একার, রনডোনিয়া এবং আমাজোনা রাজ্য ও মাতো গ্রোসো ডো সুল এলাকাতে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ছবি আপলোড করেছেন অনেক বিখ্যাতরা যা কয়েক দশকের পুরানো বলে প্রমাণিত হয়েছে এবং অনেক ছবি আদৌ ব্রাজিলের নয় বলে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

    এ বছর আগুন লাগার ঘটনা বেশি

    ২০১৯ সালে ব্রাজিলের স্পেস এজেন্সির তথ্যানুযায়ী, ব্রাজিলে আমাজনের উষ্ণমন্ডলীয় বনাঞ্চলে রেকর্ডসংখ্যক দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। দ্য ন্যাশানাল ইন্সটিটিউট ফর স্পেস রিসার্চ (আইএনপিই) বলেছে, তাদের উপগ্রহ থেকে সংগৃহীত তথ্যে দেখা যাচ্ছে ২০১৮ সালে একই সময়ের তুলনায় এ বছর আগুন লাগার ঘটনা ৮৫ ভাগ বেড়েছে। সরকারি হিসাব বলছে, এবছরের প্রথম আট মাসে ব্রাজিলের জঙ্গলে ৭৫ হাজারের বেশি দাবানল হয়েছে। ২০১৩ সালের পর এই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। পুরো ২০১৮ সালে বনাঞ্চলে মোট আগুন লাগার সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৭৫৯। শুকনো মৌসুমে আমাজনের জঙ্গলে দাবানল একটা প্রচলিত ঘটনা। সেখানে শুকনো মৌসুমের সময়কাল জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। এই দাবানল তৈরি হতে পারে প্রাকৃতিক কারণে, যেমন বাজ পড়লে। কিন্তু কৃষক এবং কাঠুরেরাও ফসল উত্পাদনের জন্য অথবা পশু চরানোর জন্য জমি পরিষ্কার করার কারণে জঙ্গলে আগুন দিয়ে থাকে।

    আন্দোলনকারীরা বলছেন, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেয়ার বলসোনারোর পরিবেশবিরোধী কথাবার্তা এভাবে জঙ্গল সাফ করার কাজকে আরো উত্সাহিত করেছে। এর জবাবে বলসোনারো এর দায় চাপিয়েছেন বেসরকারি সংস্থাগুলোর ওপর। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে সন্দেহপ্রবণ ব্যক্তি। তিনি বলেছেন, বেসরকারি সংস্থাগুলো সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য নিজেরাই এই আগুনগুলো লাগিয়েছে। পরে অবশ্য তিনি স্বীকার করেছেন যে এই দাবানল বন্ধ করার মতো সম্পদ সরকারের হাতে নেই। তবে সমালোচনার মুখে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট বলসোনারো এক আদেশে সেনা মোতায়েনে বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছেন ব্রাজিলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফার্নান্দো আজভেদোকে।

    সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চল

    রোরাইমা, একার, রনডোনিয়া এবং আমাজোনাস্ সব এলাকাতেই গত চার বছরের (২০১৫-২০১৮) তুলনায় গড়ে আগুন লাগার ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে। রোরাইমাতে দাবানলের ঘটনা বেড়েছে ১৪১ ভাগ, রনডোনিয়াতে ১১৫ ভাগ এবং আমাজোনাসে ৮১ ভাগ। দক্ষিণে মাতো গ্রোসো ডো সুল রাজ্যে আগুন লাগার হার বেড়েছে ১১৪ ভাগ। ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় রাজ্য আমাজোনাস্ জরুরি অবস্থা জারি করেছে। জ্বলন্ত আগুন থেকে পরিমাণে ধোঁয়া ও কার্বন নির্গত হচ্ছে। আগুন থেকে সৃষ্ঠ ধোঁয়া আমাজনের গোটা এলাকাজুড়ে এবং আশেপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপারনিকাস অ্যাটমসফিয়ার মনিটরিং সার্ভিসের (ক্যামস্) তথ্য অনুযায়ী, এই ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে আটলান্টিকের উপকূল পর্যন্ত। এমনকি ৩২০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে সাও পাওলোর আকাশ এই ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে গেছে। আগুন থেকে ব্যাপক পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হচ্ছে যার পরিমাণ এ বছর ২২৮ মেগাটনের সমপরিমাণ দাঁড়িয়েছে। ক্যামস্ বলছে, এই পরিমাণ ২০১০ সালের পর সবচেয়ে বেশি। ধোঁয়া থেকে কার্বন মনোক্সাইডও নির্গত হচ্ছে।

    ক্যামস্’র প্রকাশ করা মানচিত্রে দেখা যাচ্ছে, খুবই চড়া মাত্রায় বিষাক্ত এই গ্যাস কার্বন মনোক্সাইড দক্ষিণ আমেরিকার উপকূল ছড়িয়ে এখন আরো দূরে ছড়িয়ে পড়েছে। আমাজন অরণ্যাঞ্চলে ৩০ লাখ প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ রয়েছে। সেখানে বসবাস করেন ১০ লাখ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ। এই বনাঞ্চল বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই বিশাল অরণ্যাঞ্চলের গাছপালা প্রতি বছর কয়েক মিলিয়ন টন কার্বন শুষে নিয়ে বিশ্বের উষ্ণায়ন মোকাবেলা করে। কিন্তু গাছ যখন কাটা হয় অথবা পুড়িয়ে ফেলা হয় তখন যে কার্বন গাছের মধ্যে সঞ্চিত থাকে তা বায়ুমন্ডলে আবার মিশে যায় এবং উষ্ণমন্ডলীয় এসব বৃক্ষের কার্বন শুষে নেওয়ার ক্ষমতা হ্রাস পায়।

    প্রভাব আরো যেসব দেশে

    ৭ দশকি ৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা বিস্তৃত আমাজন বেসিনের আরো বেশ কিছু দেশ এ বছরের ব্যাপক দাবানলের কবলে পড়েছে। ব্রাজিলের পর দ্বিতীয় সর্বাধিক আগুনের ঘটনা ঘটেছে ভেনিজুয়েলায়। সেখানে দাবানল হয়েছে ২৬ হাজারটি। তৃতীয় স্থানে বলিভিয়া যেখানে আগুনের ঘটনা ঘটেছে ১৭ হাজারের বেশি। বলিভিয়া সরকার দেশের পূর্বাঞ্চলে দাবানল নেভানোর কাজে সহায়তা করার জন্য একটি বিমানের মাধ্যমে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ভাড়া করেছে। প্রায় ছয় বর্গমিটার এলাকাজুড়ে আছে বলিভিয়ার বনাঞ্চল। ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে অতিরিক্ত জরুরিকালীন কর্মী। আগুনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পশুপাখিদের জন্য অভয়ারণ্য তৈরি করা হচ্ছে।