• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • উহানের উদ্দেশ্যে ভাড়া করা প্লেনের যাত্রা: জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী

    জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী তোশিমিৎসু মোতেগি বলেছেন যে, সরকার জাপানি নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য মঙ্গলবার রাতে চীনের উহানের উদ্দেশ্যে প্রথম ভাড়া করা প্লেনটি পাঠাবে।

    করোনাভাইরাসের প্রাণঘাতী এক মহামারীর মাঝে জাপান সরকার যেসব জাপানি নাগরিক এই শহর থেকে দেশে ফিরে আসতে চান তাদের জন্য চীনা কর্মকর্তা এবং অল নিপ্পন এয়ারওয়েজের সাথে এর প্রস্তুতি সম্পন্ন করে।

    মোতেগি বলেন, অল নিপ্পন এয়ারওয়েজের ফ্লাইটটি প্রায় ২০০ আরোহী নিয়ে বুধবার সকালে টোকিও’র হানেদা বিমানবন্দরে ফিরে আসবে।

    তিনি এও বলেন, সরকার আরও ভাড়া করা প্লেন উহানে পাঠানোর চেষ্টা করছে, কেননা প্রায় সাড়ে ৬০০ ব্যক্তি ইতোমধ্যেই জাপানে ফিরে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।

    উহান থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে জাপান

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে বলেছেন তার সরকার করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রে থাকা চীনা শহর উহান ত্যাগ করতে ইচ্ছুক জাপানি নাগরিকদের সেখান থেকে সরিয়ে নেবে।

    আবে আজ সাংবাদিকদের বলেন জাপানি নাগরিকরা উহান ছেড়ে চলে যাতে চাইছেন কিনা তা নির্ধারণ করে নিতে এবং বন্ধ করে দেয়া শহর থেকে এদের সরিয়ে নেয়ার উপায় পরীক্ষা করে দেখতে সরকার সপ্তাহান্ত ধরে কাজ করেছে।

    তিনি বলেছেন তার সরকার বিমান ভাড়া করবে এবং চীন সরকারের সাথে সবরকম ব্যবস্থা ঠিক হয়ে যাওয়ার পর লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার অন্যান্য সম্ভাব্য সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

    বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে

    চীনের কর্তৃপক্ষগুলো, প্রাণঘাতি নতুন ধরণের করোনাভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এপর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে ৫৬ ব্যক্তির প্রাণহানি ঘটার পাশাপাশি সারাবিশ্বে বিস্তৃত হয়ে চলেছে।

    হুবেই প্রদেশের কর্মকর্তারা, এখানে ৫২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানান। প্রাদেশিক রাজধানী উহান হচ্ছে এই ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা, চীনে প্রায় ২ হাজার লোক সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানান। এঁদের মধ্যে ৩শর বেশী লোকজনের অবস্থা গুরুতর।

    রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ মাধ্যম, পর্যটন কোম্পানিগুলো আগামীকাল থেকে আরম্ভ হতে যাওয়া পরিকল্পিত সবগুলো গ্রুপ ট্যুর বাতিল করে দিয়েছে বলে জানায়। চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশন, চীন সরকারের অনুরোধে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় বলে উল্লেখ করে।

    প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং, ঐতিহ্যবাহী চন্দ্র নববর্ষের প্রথমদিন গতকাল কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের সঙ্গে এক জরুরী বৈঠকে মিলিত হন।

    শি, দেশের এই পরিস্থিতিকে মারাত্মক বলে অভিহিত করেন। তিনি, এই ভাইরাস বিস্তৃত হওয়া রোধ করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করতে দলীয় কমিটি এবং সব পর্যায়ের সরকারগুলোর প্রতি নির্দেশ দেন।

    তারা, দলীয় নেতৃত্বের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে। দলের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের, এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আরম্ভ হওয়া হুবেই প্রদেশে প্রেরণ করছে।

    ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয়ে চলা অব্যাহত রয়েছে। এপর্যন্ত ১৩টি দেশে ৪৪ জনের সংক্রমিত হওয়া নিশ্চিত করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা, আজ দেশটির ৩য় রোগীর বিষয় নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানান।

    সংক্রমিতদের অধিকাংশই হচ্ছেন, উহান থেকে আগত পর্যটক অথবা উহান সফর করা লোকজন।

    হংকং, আজ থেকে ডিজনি ল্যান্ড বন্ধ করে দিয়েছে। গতকাল থেকে সাংহাই ডিজনি ল্যান্ড বন্ধ রাখা হয়েছে।

    সূর্যের নিকটবর্তী নক্ষত্র সম্ভাব্য আরেক গ্রহ!

    সূর্যের নিকটবর্তী নক্ষত্র প্রক্সিমা সেন্টোরিতে আবারও সন্ধান মিলেছে একটি গ্রহের। এর আগে ২০১৬ সালেও ঐ নক্ষত্রে সন্ধান মিলেছিল গ্রহ ‘প্রক্সিমা বি’। তবে নতুন সন্ধান পাওয়া গ্রহটির বিষয়ে এখনো বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেনি বিজ্ঞানীরা। চিলিতে বসানো বিশেষ এক টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে নতুন গ্রহটির আলোর সিগন্যাল। বুধবার সাইন্স অ্যাডভান্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এ তথ্য।

    চার বছর আগে খোঁজ পাওয়া গ্রহটি সম্পর্কে জানা যায়, সেটি লাল নক্ষত্রটির বাসযোগ্য অঞ্চলে আবর্তন করে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি আছে নক্ষত্রটির ‘গোল্ডিলক জোনে’, যা কি না প্রাণ ধারণের পক্ষে খুব বেশি শীতল বা খুব বেশি উষ্ণ নয়। এর মানে হলো গ্রহটির উপরিভাগে পানির অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা প্রবল এবং একই সঙ্গে প্রাণের অস্তিত্ব থাকারও সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে।

    প্রক্সিমা সেন্টোরি, একটি অনুজ্জ্বল লাল বামন নক্ষত্র, এটি পৃথিবী থেকে ৪.২৪ আলোকবর্ষ দূরে (১ লাখ ৮৬হাজার মাইল গতি নিয়ে প্রতি সেকেন্ডে আলো এক বছরে যে পথ অতিক্রম করে) অবস্থান করছে। সূর্যের তুলনায় এর ভর মাত্র ১২ শতাংশ এবং উজ্জ্বলতা ১/৬০০ ভাগ। আমাদের খুবই কাছে থাকা সত্ত্বেও এটি খালি চোখে দেখার পক্ষে খুবই নিষ্প্রভ, যার কারণে এরই আরেক প্রতিবেশী, আলফা সেন্টোরিই হলো সবচেয়ে কাছের নক্ষত্র যা টেলিস্কোপ ছাড়াই দৃশ্যমান। প্রক্সিমা অবস্থান করছে প্রায় আলফা সেন্টোরির এলাকাতেই, যা নিজেও একটি বাইনারি নক্ষত্র। এক্সোপ্লানেট যুগের শুরু থেকেই প্রক্সিমাকে গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

    নতুন আবিষ্কারটি করা হয়েছে ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরির ২০০০ থেকে ২০১৪ সালের পর্যবেক্ষণের সাহায্যে, আরো কিছু তথ্য নেওয়া হয়েছে এ বছরের ১৯ শে জানুয়ারি থেক ৩১ শে মার্চের মধ্যে। আবিষ্কারটির জন্য ব্যবহার করা হয়েছে Doppler Wobble পদ্ধতি, যাতে পর্যবেক্ষকরা একটি নক্ষত্রের লাইন-অফ-সাইট গতির সূ?ক্ষ্ম ও নির্ভুল পরিমাপ করেন এবং মহাকাশে সেটির এদিক সেদিক যে কোনো নড়াচড়ার দিকে কড়া নজর রাখেন। —সিএনএন

    করোনা ভাইরাস ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

    চিকিত্সার জন্য প্রস্তুত দুটি হাসপাতাল, চীনের উহান প্রদেশে ৪০০ বাংলাদেশি আটকা

    করোনা ভাইরাস ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। কারণ চীনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। প্রতিদিন অনেক মানুষ বাংলাদেশ থেকে চীনে যাওয়া-আসা করছে। এছাড়া অন্যান্য যেসব দেশে রোগটি সংক্রমিত হয়েছে, সে দেশগুলোর সঙ্গেও বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। তাই এখন পর্যন্ত কোনো রোগী পাওয়া না গেলেও বাংলাদেশকে ঝুঁকিমুক্ত বলা যাচ্ছে না।

    এদিকে চীনসহ ১৩টি দেশে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১৩শ’ মানুষ। এ পর্যন্ত ৪১ জন মারা গেছেন। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস ঝুঁকি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। চিকিত্সার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও মহাখালী সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতাল। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত করা হবে। যাতে যেখানে রোগী শনাক্ত হবে, সেখানেই চিকিত্সা দেওয়া যায়। এছাড়া সকল বিমানবন্দর ও স্থল বন্দরগুলোতে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চীনসহ বিদেশ থেকে যারা আসছেন তাদের মধ্যে সর্দি-কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট উপসর্গ থাকলে অবশ্যই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে। এ সকল উপসর্গই হচ্ছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের। এমন উপসর্গ দেখা দিলে তাদেরকে করোনা ভাইরাস আছে কিনা পরীক্ষা করে নিশ্চিত করতে হবে। পরবর্তীতে তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়।

    চীনের উহান প্রদেশ থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। সেখানে প্রায় ৫০০ বাংলাদেশি শিক্ষক-শিক্ষার্থী আটকা পড়েছেন। চীনের কয়েকটি শহরে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ কেউ বাংলাদেশে ফিরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করলেও দেশটির সরকার সেখানকার সব ধরণের গণপরিবহনে চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় এক প্রকার আটক অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের। তবে ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সব ধরণের সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ দূতাবাস।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সেখানে বাংলাদেশিরা ভাল আছেন। চীনে কোনো প্রবাসী বাংলাদেশি এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। এছাড়া চীনের উহানে থাকা প্রবাসীদের প্রতিনিয়ত খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে। শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে একটি হটলাইন খোলা হয়েছে। এই হটলাইন নম্বর হচ্ছে- (৮৬)-১৭৮০১১১৬০০৫।

    করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের বাসিন্দারা। এছাড়া চীনের বাইরে ১২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি। দেশগুলো হলো: থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, নেপাল, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। এরইমধ্যে চীনে কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনায় চাপা আতঙ্কের মধ্যে আছেন সেখানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তাদের একজন শামিমা সুলতানা, যিনি গত চার বছর ধরে তার দুই সন্তান নিয়ে উহান শহরে বসবাস করছেন। প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসতে চাইলেও শহরটির সব গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সেটাও সম্ভব হচ্ছে না। শামিমা সুলতানা বলেন, খুবই উদ্বেগ, আতঙ্ক আর মেন্টাল প্রেশারের মধ্যে আছি। বাজার করার জন্যও বাইরে যেতে পারছি না। যে খাবার দাবার আছে, সেটা শেষ হলে কি করবো জানি না। এখন যদি বাংলাদেশে ফেরার কোন সুযোগ থাকতো আমি এক মুহূর্তও এদেশে থাকতাম না। কিন্তু বাস, প্লেন, ট্রেন সবই বন্ধ। ফেরার কোন পথ নেই।’

    চীনে পড়তে যাওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের সতর্ক হয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। শুরুতে এমন উদ্বেগের মধ্যে ছিলেন মোহাম্মদ শাকিল আহমেদও। তিনি উহানের একটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তার মতো উহান শহরে বসবাসরত অন্যান্য শিক্ষার্থীরা শুরুতে ভাইরাসের আতঙ্কে থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাদেরকে সব ধরণের সহযোগিতা দেয়ার কথা আশ্বাস দেয়ায় উদ্বেগ কিছুটা কমেছে। কিন্তু চীনা সরকারের নির্দেশনা মানতে গিয়ে এক রকম আটক অবস্থায় সতর্ক হয়ে চলতে হচ্ছে তাদের। মোহাম্মদ শাকিল আহমেদ বলেন, ‘দূতাবাস থেকে আর ইউনিভার্সিটি থেকে সব সময় আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখছে। ইউনিভার্সিটি থেকে বলেছে যেন আমরা প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হই।’ শিক্ষার্থীরা যেন তাদের প্রয়োজনীয় বাজার সেরে নিতে পারে এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটা বাস সপ্তাহে দুই দিন এই শিক্ষার্থীদের ডর্মেটরি থেকে পাশের সুপার শপে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। এছাড়া কোন শিক্ষার্থীর যদি, জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, সর্দি বা বুকে ব্যথা হয়-তাহলে সাথে সাথে এই তথ্য ডর্মেটরির সুপারভাইজারকে জানানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজ নেওয়া হচ্ছে যে আমরা ঠিক আছি কিনা। তারপরও যদি কারও মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা যায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অ্যাম্বুলেন্স করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করবে।’

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরগুলোতে ইমিগ্রেশন ও আইএইচআর স্বাস্থ্য ডেস্কগুলোতে সতর্কতা ও রোগের সার্ভেইল্যান্স জোরদার করা হয়েছে। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরসহ দেশের বিভিন্ন প্রবেশপথে নতুন করোনা ভাইরাস স্ক্রিনিং কার্যক্রম চালু হয়েছে। নতুন ভাইরাস সম্পর্কে ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

    সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, করোনা ভাইরাস ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি বলেন, চিকিত্সার চেয়ে ব্যবস্থাপনা জরুরি। এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আইসিইউতে কর্মরত সকল ডাক্তার-নার্সদের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ব্যবস্থপনা সম্পর্কে প্রশিক্ষণের আওতায় রাখা হয়েছে। জেলা সদর হাসপাতাল পর্যন্ত ডাক্তার-নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য চিকিত্সক প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, করোনা ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে প্রথমে তার জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা এবং তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এ ধরনের উপসর্গ থাকলে ওই রোগীকে হাসপাতালে চিকিত্সা নেওয়া জরুরি বলে তিনি জানান। এদিকে করোনা ভাইরাস এখন ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপেও। ফ্রান্সে তিন জন আক্রান্ত হয়েছেন। ফরাসি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার রাতে জানিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে প্রথম জন বোরডক্সের এবং বাকি দুজন প্যারিসের বাসিন্দা। চীনের মিডিয়াগুলো বলছে, নতুন এক হাজার শয্যার হাসপাতালটি ছয় দিনের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে। এটি নির্মাণে ৩৫টি খনন যন্ত্র এবং ১০টি বুলডোজার কাজ করছে। এই প্রকল্পটি চিকিত্সা ব্যবস্থার যে সংকট তৈরি হয়েছে সেটির সমাধান করবে এবং দ্রুত নির্মাণে খরচও তেমন হবে না কারণ এটি আগেই তৈরি করা ভবনে নির্মাণ করা হচ্ছে। এদিকে উহানের ফার্মেসিগুলো ওষুধ ও চিকিত্সা সরঞ্জামাদির সংকটে পড়েছে এবং হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ভীত মানুষের সংখ্যা। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, রাজধানী বেইজিং এবং সাংহাইয়ে নির্দেশনা রয়েছে যে, যেসব বাসিন্দা ভাইরাস আক্রান্ত স্থান থেকে ভ্রমণ করে এসেছে তাদেরকে ১৪ দিন বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যাতে ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যায়।

    টোকিও অলিম্পিক আরম্ভ হতে আর ঠিক ছয় মাস

    জাপানে ২০২০ টোকিও অলিম্পিক আরম্ভ হতে আর ঠিক ছয় মাস বাকি। ১৭ দিন ব্যাপী এই ক্রীড়া মহাযজ্ঞে ৩৩ ধরনের ক্রীড়ার রেকর্ড সংখ্যক ৩শো ৩৯টি ইভেন্টে প্রতিযোগিতা করবেন কয়েক হাজার ক্রীড়াবিদ।

    এখন অলিম্পিকের প্রস্তুতিপর্ব চলছে জোরকদমে। নববর্ষের দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে নতুন জাতীয় স্টেডিয়াম।

    টোকিও অ্যাকুয়াটিকস্‌ সেন্টার, যেখানে সাঁতার ও ডাইভিং’এর প্রতিযোগিতাগুলো অনুষ্ঠিত হবে, সেই জায়গায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

    টোকিও মহানগর কর্তৃপক্ষ এবং উদ্যোক্তারা প্রত্যাশিত প্রচুর সংখ্যক দর্শককে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন।

    ওদিকে নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের ফলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্বেগ একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিচ্ছে। কর্মকর্তারা লোকজনকে মুখে মাস্ক পরতে, ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রতিষেধক নিতে এবং বার বার হাত ধুতে পরামর্শ দিচ্ছেন।

    গ্রীষ্মে অলিম্পিকের সময় যে প্রবল দাবদাহের পূর্বাভাষ করা হয়েছে, তার সাথে মোকাবেলার উপায় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা স্থল অপেক্ষাকৃত শীতল আবহাওয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর হোক্কাইদো’তে স্থানান্তরের ঘোষণা দিয়ে অলিম্পিক ব্যবস্থাপকরা গত বছর সবাই অবাক ক’রে দেন।

    আসল ক্রীড়া টোকিও এবং আশপাশেই কেন্দ্রীভূত থাকলেও, দেশের বাকি অংশেরও ভূমিকা থাকবে এতে। আর এক মাসের একটু বেশি সময়ের মধ্যে ১০ হাজারের ওপর রানার অলিম্পিক মশাল নিয়ে জাপানের ৪৭টি জেলার প্রত্যেকটি অতিক্রম করবে।

    জাপান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার দ্বিতীয় ঘটনার কথা নিশ্চিত করেছে

    জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বর্তমানে চীনে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের নতুন এক ধরনের স্ট্রেইনে দ্বিতীয় এক ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। উহান থেকে টোকিও’তে আসা ৪০ এর কোঠার এক ব্যক্তির দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত করা হয়।

    অভ্যন্তরীণ চীনা শহর উহানে এক ধরনের নিউমোনিয়া ছড়িয়ে পড়েছে যা এই ভাইরাসের কারণেই হয়তো ছড়াচ্ছে।

    মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, চীন ছেড়ে আসার আগে ১৪ই জানুয়ারি এই ব্যক্তির জ্বর আসে। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, তিনি দু’বার সেখানে ডাক্তার দেখালেও, তার নিউমোনিয়া হয়েছে বলে শনাক্ত করা যায়নি।

    কর্মকর্তারা এও বলছেন, এই ব্যক্তি জাপানে এসে পৌঁছানোর পর ২০শে জানুয়ারি ডাক্তারের কাছে যান। তবে তারা আরও বলছেন, তখন তাকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়নি।

    কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যক্তিটি বুধবার আবার ডাক্তারের কাছে যান, কেননা অব্যাহতভাবে তার জ্বর এবং গলায় ব্যথা ছিল। তখন তাকে নিউমোনিয়ার লক্ষণ থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করে নেয়া হয় বলে জানা যায়।

    কর্মকর্তারা এও বলছেন, শুক্রবার সকালের দিকে তারা নিশ্চিত করেন যে, এই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তিনি টোকিও’র একটি হাসপাতালে রয়েছেন এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানা যায়।

    ব্যক্তিটি একথা বলেছেন বলে জানা যায়, তিনি উহানের সামুদ্রিক খাবারের বাজারের কাছে যাননি। এই বাজারটি আক্রান্ত হওয়া অধিকাংশ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট। তিনি এও বলেন, ভ্রমণের সময়ে তিনি মুখে মাস্ক পরেছেন।

    জাপানের বড় সুপারমার্কেটগুলোতে বিক্রি কমেছে

    খারাপ আবহাওয়া এবং একটি ভোগ্যপণ্য করের বৃদ্ধির কারণে পরপর চারবছর জাপানের বৃহৎ সুপারমার্কেটগুলোতে বিক্রি কমেছে।

    জাপানের চেইন স্টোর বা দোকান সমিতির ভাষ্যানুযায়ী, গতবছর দেশজুড়ে বড় সুপারমার্কেটগুলোর ১০ হাজার ৫শ ৫০টি শাখায় মোট বিক্রি ছিল ১২ লক্ষ ৪৩ হাজার ২শ ৪০ কোটি ইয়েন বা ১১ হাজার ৪শ কোটি ডলার।

    তাদের মধ্যে তুলনামূলক দোকানগুলোতে গত বছরের তুলনায় ১.৮ শতাংশ বিক্রি কমেছে।

    সমিতি বলছে, মূলত, গ্রীষ্মে খারাপ আবহাওয়া এবং উষ্ণ শীতের কারণে খাবার এবং কাপড়ের মন্থর বিক্রির জন্য এটি ঘটেছে।

    তারা আরও বলছে যে শুধুমাত্র উচ্চ ভোগ্যপণ্য করের আওতায় থাকা এলকোহল জাতীয় পানীয় এবং প্রসাধন সামগ্রীই নয়, কর বৃদ্ধি থেকে অব্যাহতি পাওয়া খাদ্য-পণ্যসমূহের বিক্রিও হ্রাস পেয়েছে।

    করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জাপান সরকারের অবস্থান

    জাপানের চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিহিদে সুগা বলেছেন যে নতুন ধরনের করোনা ভাইরাসের কারণে সংক্রামিত নিউমোনিয়া রোগের বিস্তার প্রতিরোধে জাপান পদক্ষেপ নেয়া অব্যাহত রাখবে।

    বুধবার সুগা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছিলেন। তিনি বলেন, রোগটি চীনে বিস্তার লাভ করছে এবং জাপানে এর সম্ভাব্য প্রাদুর্ভাব রোধ করতে দেশটিকে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। দেশে প্রবেশের বিভিন্ন প্রবেশ পথগুলোতে সরকার পরীক্ষা করে দেখার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করবে বলে তিনি জানান।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনের শেষের দিকে জরুরি এক বৈঠকে মিলিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। বৈঠকের আলোচনার উপর ঘনিষ্ট নজর রাখার মাধ্যমে সংক্রামণ রোধে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে বলে সুগা আরও উল্লেখ করেন।

    বিশ্বব্যাপী বেকারত্ব বাড়বে

    গত প্রায় ৯ বছর ধরে বিশ্বব্যাপী বেকারত্বের হার স্থিতিশীল থাকলেও চলতি বছর তা বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। আইএলও প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক : ট্রেন্ডস ২০২০’ শীর্ষক ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী বেকারত্ব ২৫ লাখ বাড়তে পারে।

    বিশ্বব্যাপী শ্রমশক্তি বাড়লেও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নতুন কর্মসংস্থান বাড়ছে না। প্রতিবেদনে বলা হয়, যথাযথ মজুরি না পেয়ে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০ কোটি শ্রমিক সামান্য মজুরিতেই কাজ করছে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে বিশ্বব্যাপী একযোগে আজ প্রতিবেদনটি প্রকাশ হচ্ছে।

    প্রতিবেদনে এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের বিষয়ে বলা হয়, শোভন কাজের যথাযথ ক্ষেত্রে তৈরি না হওয়া এবং যথাযথ অন্তর্ভুক্তির ঘাটতির কারণে কাজের পরিবেশের উন্নয়ন করা কঠিন হয়ে পড়ছে। ফলে এসব অঞ্চলে দারিদ্র্য কমানোও কঠিন হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রমিকের সরবরাহ ও চাহিদার অসামঞ্জস্যতার কারণে বেকারত্ব বাড়ছে। একই সঙ্গে শ্রমশক্তিকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৯ কোটি লোক কর্মহীন। এছাড়া সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ কাজের যথাযথ পারিশ্রমিক পাচ্ছে না, আর ১২ কোটি মানুষ কাজে প্রবেশের চেষ্টা করছে। সবমিলিয়ে কাজের যথাযথ সুযোগ না থাকায় বিশ্বব্যাপী ৪৭ কোটি মানুষের ওপর এর প্রভাব পড়েছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রমবাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে নারী ও অপেক্ষাকৃত তরুণরা অতিরিক্ত বাধার মুখে পড়েন। এছাড়া বিশ্বব্যাপী শ্রম আয়ের ক্ষেত্রে আগের প্রাক্কলনের চাইতে বৈষম্য বাড়ছে। আইএলওর মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের জন্য কাজের মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান বাড়ানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ঢাকায় আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পুটিআইনেন বলেন, মানুষের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিনিয়োগ বাড়ানো দরকার। বিশেষত শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়ে বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন।

    মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের কথা নিশ্চিত করেছে চীন

    করোনা ভাইরাসের নতুন এক ধরনের স্ট্রেইনের মারাত্মক সংক্রমণে চীনে আরেক জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

    এখন পর্যন্ত ২৯১ ব্যক্তি সংক্রমিত হয়েছেন এবং এই সংখ্যা হঠাৎ করে ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে যেতে পারে, কেননা চীনা কর্তৃপক্ষ এই ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হতে পারে বলে নিশ্চিত করে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও’র পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলিক দপ্তর মঙ্গলবার টুইট করে, “সাম্প্রতিক তথ্য থেকে এটা অত্যন্ত স্পষ্ট যে, চীনা শহর উহান’এর মহামারী সংশ্লিষ্ট করোনা ভাইরাসের নতুন ধরনের স্ট্রেইনের অন্ততপক্ষে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হওয়ার কিছু ঘটনা ঘটেছে।

    ডব্লিউএইচও এও জানায়, “স্বাস্থ্য কর্মীদের এই রোগে সংক্রমিত হওয়া এই ঘটনার প্রমাণকে জোরালো করছে”।

    উহান’এ এই মহামারী প্রথম শুরু হয়। সেখানকার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ঘোষণা করেন, ৮৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি এ সপ্তাহে মারা যাওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪ জনে। তারা এও বলছেন, চলতি মাসের গোড়ার দিকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে এই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

    অধিকাংশ সংক্রমণের খবর এই শহর থেকে পাওয়া গেছে। তবে, কর্তৃপক্ষ বেইজিং, শাংহাই এবং গুয়াংদং প্রদেশ সহ চীনের অন্যান্য অংশেও এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার খবর নিশ্চিত করে।

    এক স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফল থেকে ১৫ জন স্বাস্থ্য কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

    চীনের বাইরেও ৪ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ২ জন থাইল্যান্ডের, ১ জন জাপানের এবং ১ জন দক্ষিণ কোরিয়ার।

    রহস্যজনক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে চীনে, আক্রান্ত আরো ১৩৯

    চীনে গত কয়েকদিন ধরেই রহস্যজনক ভাইরাসে নতুন করে আরো বহু মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। গত দু‘দিনে নতুন করে আরও ১৩৯ জনের এই ভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। এতোদিন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন উহান প্রদেশের বাসিন্দারা। এবার উহান ছাড়াও চীনের অন্যান্য স্থানেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
    নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ১৩৯ জন উহান, বেইজিং এবং শেনজেনের বাসিন্দা। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ২শ জনের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৭০০। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
    গত ডিসেম্বরে উহান শহরে এই ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। সম্প্রতি থাইল্যান্ড এবং জাপানে দু’জনের এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ে গবেষণা করা অধ্যাপক নেইল ফার্গুসন বলেন, এক সপ্তাহ আগের চেয়ে আমি এখন এই বিষয়ে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন।
    চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানিয়েছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রথমেই যে লক্ষণগুলো পাওয়া গেছে সেগুলো হলো, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশি। এ থেকে প্রথমেই মনে হতে পারে যে রোগী নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকটা নিউমোনিয়ার মতোই এই ভাইরাসটি এক ধরনের করোনা ভাইরাস।
    কেন্দ্রীয় উহান শহরের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে নতুন করে ১৩৬ জনের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
    গতকাল রোববার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উহানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৭০ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে নয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    ২২ জানুয়ারি ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন

    ২২ জানুয়ারি বুধবার ইলেকট্রনিকস পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন করবেন।

    রবিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ই-পাসপোর্ট ভবন ও ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    তিনি বলেন, এই পাসপোর্ট বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করবে এবং পাসপোর্টের নিরাপত্তা অধিকতর নিশ্চিতকরণসহ ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমণ ও ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজ হবে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতাধীন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় জার্মান কোম্পানি ভেরিডোস জিএমবিএইচ কর্তৃক ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ৫ থেকে ১০ বছর।

    আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর প্রাথমিকভাবে রাজধানীর আগারগাঁও, উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী থেকে ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করা হবে।

    সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৩৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৫৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫০০০ টাকা, জরুরি ফি ৭০০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৯০০০ টাকা।

    নতুন পাসপোর্টের ক্ষেত্রে অতীব জরুরিতে ৩ দিনে, জরুরিতে ৭ দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে ২১ দিনের পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। তবে পুরনো অথবা মেয়দোত্তীর্ণ পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার ক্ষেত্রে অতীব জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনে, জরুরি পাসপোর্ট ৩ দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট ৭ দিনের মধ্যে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

    এছাড়া, বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারী, শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা ই-পাসপোর্ট ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১০০ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ১৫০ মার্কিন ডলার। ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১২৫ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ১৭৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

    ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মনিবন্ধন সনদ (বিআরসি) অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ডিজিটালাইজড আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে। সেটি নিবন্ধন রয়েছে। কাজেই তথ্য গোপন করে কোনও রোহিঙ্গাদের ই-পাসপোর্ট গ্রহণের সুযোগ নাই। তারপরও রোহিঙ্গারা যদি বিভিন্ন ধরনের ফাঁক-ফোকরের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট করতে যায় তাহলে বিভিন্ন প্রশ্নে তারা ধরা পড়বে।

    তিনি বলেন, ই-পাসপোর্টের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে তবে বিভিন্ন ধরনের নাজেহাল এড়াতে এটি অনলাইনে করার চেষ্টা করছি যেন অতীতের তুলনায় সহজ হয়।

    আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে দেশের সর্বত্র ই-পাসপোর্ট চালু হবে। বাংলাদেশে প্রথম ই-পাসপোর্ট পাবে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী। প্রতিদিন ২৫ হাজার পাসপোর্ট ইস্যু করা যাবে।’

    সংবাদ সম্মেলনে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। বাসস

    জাপানে আগত বিদেশী পর্যটকের ব্যয়ের পরিমাণ রেকর্ড সর্বোচ্চ

    জাপানে, গতবছর আগত বিদেশী পর্যটকদের ব্যয়ের পরিমাণ রেকর্ড সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

    জাপান পর্যটন সংস্থা, গতবছর বিদেশী পর্যটকরা জাপানে থাকা, কেনাকাটাসহ অন্যান্য কাজে আনুমানিক ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি ইয়েন বা প্রায় ৪ হাজার ৩৭০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় করেন বলে জানায়।

    সংস্থা, এ সংখ্যা গতবছরের চেয়ে প্রায় ৬ শতাংশ বেশী এবং পরপর সাত বছর পূর্ববর্তী বছরের রেকর্ড নবায়নের ঘটনা বলে উল্লেখ করে।

    এটি হচ্ছে প্রত্যেক পর্যটকের গড় ব্যয়ের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩ শতাংশ বেশী প্রায় ১ হাজার ৪৩৮ ডলার নিয়ে গত চার বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত বৃদ্ধির ঘটনা।

    পর্যটকদের ব্যয়ের পরিমাণ, প্রায় ১ হাজার ৬শ কোটি ডলার নিয়ে চীন শীর্ষে এবং এরপর ৫শ কোটি ডলার নিয়ে তাইওয়ান ২য় এবং প্রায় ৩শ ৮০ কোটি ডলার নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ৩য় অবস্থানে রয়েছে।

    ক্রমাবনতীশীল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ফলে পর্যটকের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় দক্ষিণ কোরীয়দের ব্যয়ের পরিমাণ প্রায় ২৮ শতাংশ হ্রাস পায়।

    সংস্থা, জাপানে গতবছর অনুষ্ঠিত রাগবি বিশ্বকাপ পর্যটকদের ব্যয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে বলে জানায়।

    সংস্থাটি, চলতি বছরের টোকিও অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিকের কারণে পর্যটকদের ব্যয় কি পরিমাণ বৃদ্ধি পায় সেদিকে নজর রাখবে বলে উল্লেখ করে।

    জাপানে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার পক্ষে ৮১ শতাংশ

    জাপান সরকারের পরিচালিত এক জরীপে, উত্তরদাতাদের প্রায় ৮০ শতাংশ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন।

    মন্ত্রী পরিষদ দপ্তর ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে, সর্বোচ্চ শাস্তিটির ব্যবহার সম্পর্কে তদূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সী ৩ হাজার লোকজনের উপর এই জরীপ পরিচালনা করে। এতে ১ হাজার ৫৭২ জন উত্তর দেন।

    উত্তরদাতাদের ৮১ শতাংশ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার পক্ষে মত দিলেও ৯ শতাংশ সর্বোচ্চ শাস্তিটি বাতিল করে দেয়ার কথা বলেন।

    মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনকারী লোকজনের কাছে এমন চিন্তা করার কারণ জানতে চেয়ে বেছে নেয়ার জন্য কয়েকটি উত্তর রাখা হয়।

    উত্তরদাতাদের ৫৭ শতাংশ, অন্যান্য শাস্তির মাধ্যমে অপরাধে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের আবেগ প্রশমিত হবে না বলে উল্লেখ করেন। ৫৪ শতাংশ, মৃত্যুর মাধ্যমে ঘৃণ্য অপরাধের জন্য অপরাধীদের দায় মেটানো উচিত বলে উল্লেখ করেন।

    উত্তরদাতাদের কাছে, মৃত্যুদণ্ড বাতিল করা হলে ঘৃণ্য অপরাধ বৃদ্ধি পাবে কিনা তা জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে, ৫৮ শতাংশ হাঁ সূচক এবং ১৪ শতাংশ না সূচক উত্তর দেন।

    জরীপে, দেশে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রবর্তন করা হলেও মৃত্যুদণ্ড রাখা উচিত হবে কিনা জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে ৫২ শতাংশ বহাল রাখার পক্ষে এবং ৩৫ শতাংশ বাতিল করা উচিত হবে বলে উল্লেখ বলেন।