• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • সাদাকো ওগাতা, ১৯৯৫ সালের বছরে সেরা নারী নির্বাচিত

    সাদাকো ওগাতা, টাইমের ১৯৯৫ সালের সেরা নারী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

    টাইম সাময়িকী, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার সাদাকো ওগাতাকে, বছরের ১শ সেরা নারীর অন্যতম হিসেবে নির্বাচিত করেছে। তিনি, গতবছর অক্টোবরে ৯২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

    সাময়িকীটি, ১৯২০ সাল থেকে গত ১শ বছরে প্রতি বছরের জন্য প্রভাবশালী ও কোন গ্রুপের প্রতিনিধিত্বকারী নারী নির্বাচনের প্রকল্পে ১৯৯৫ সালের জন্য ওগাতাকে একজন সেরা নারী হিসেবে নির্বাচিত করে।

    টাইম, বছরের সেরা ব্যক্তি থেকে নাম পরিবর্তন করে ১৯৯৯ সালে বছরের সেরা ব্যক্তি নামকরণ করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষদের বাছাই করা হয়েছে বলে জানায়।

    সাময়িকীটি, যুক্তরাষ্ট্রের নারীদের ভোটাধিকার লাভের শতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায়শ আড়ালে থেকে যাওয়া প্রভাবশালী নারীদের উপর আলোকপাত করতে ১শ নারী প্রকল্প হাতে নেয়া হয় বলে জানায়।

    ওগাতা, প্রথম জাপানী নাগরিক হিসেবে ১৯৯১ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন।

    টাইম সাময়িকী, ওগাতাকে ক্ষুদ্রাকারের দৈত্য হিসেবে অভিহিত করা হয় এবং তিনি দুর্দান্ত আলোচনাকারী হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেন বলে উল্লেখ করে।

    সাময়িকীটি, রুয়ান্ডা গণহত্যাসহ বিভিন্ন সংকটকালে তাঁর অবস্থানের বিষয় তুলে ধরে তিনি, বিশ্বের সবচেয়ে ভঙ্গুর লোকজনের সুরক্ষায় সহায়তা করেন বলে উল্লেখ করে।

    টাইম, ১৯৫২ সালের প্রতিনিধি হিসেবে ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথকে, ১৯৮৯ সালের জন্য পপ শিল্পী ম্যাডোনা এবং ২০০৯ সালের জন্য নোবেল শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফযাইকে নির্বাচিত করে।

    করোনাভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে

    এনএইচকের হিসেব অনুযায়ী, সারাবিশ্বে নতুন করোনাভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

    বিশেষ করে ইউরোপে নতুন করোনাভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। গতকাল ইতালিতে, ৭শ ৭৮টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত করা হয়।

    এপর্যন্ত বিশ্বের ৯২টি দেশ ও অঞ্চলে ১ লাখ ১ হাজার ৩শর বেশি সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত করা হয়।

    আবার এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃতের সংখ্যা, ১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ৩ হাজার ৪শ ছাড়িয়ে গেছে।

    Untitled Post

    Posted by admin on March 6
    Posted in Uncategorized 

    চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে জাপানে আসা ফ্লাইটের অর্ধেকের গন্তব্য পরিবর্তন

    চীনের মূল ভূখণ্ড, হংকং, ম্যাকাও এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসা সবগুলো যাত্রীবাহী বিমানকে কেবল টোকিও’র কাছের নারিতা এবং ওসাকা’র কাছের কানসাই বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি দেয়া হবে।

    পরিবহণ মন্ত্রী কাযুইয়োশি আকাবা শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ফ্লাইট নারিতা ও কানসাই বিমানবন্দরমুখী করার সরকারি অনুরোধের মাধ্যমে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসা প্রায় অর্ধেক ফ্লাইট প্রভাবিত হবে।

    আকাবা বলেন, বর্তমানে চীন, হংকং এবং ম্যাকাও থেকে আসা ৪৪০টি ফ্লাইটের মধ্যে ২৩০টি ১ সপ্তাহে নারিতা ও কানসাই বিমানবন্দর ছাড়া আরও ১৪টি বিমানবন্দর ব্যবহার করে।

    তিনি এও বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে প্রতি সপ্তাহে আসা ৬২০টি ফ্লাইটের ৩০০টি অবতরণ করে ১৫টি বিমানবন্দরে।

    এর অর্থ হচ্ছে, মোট ৫৩০টি ফ্লাইটকে এর গতিপথ পরিবর্তন করতে হবে।

    সরকার নৌ-সেবা প্রদানের পরিষেবা কোম্পানিগুলোকে জাপান এবং চীন বা দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে তাদের যাত্রী-সেবাও স্থগিত রাখার আহ্বান জানাচ্ছে।

    করোনাভাইরাস মোকাবিলার পদক্ষেপ আরও জোরদার করছে জাপান সরকার

    জাপানের চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিহিদে সুগা বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীন থেকে আসা ব্যক্তিদের দু’সপ্তাহের জন্য কোয়ারেনটাইন ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে জাপান সরকারের এই অনুরোধের বিষয়টি তারা দক্ষিণ কোরিয়াকে ব্যাখ্যা করে বলবে।

    জাপানের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সউল প্রতিবাদ করবে জানানোর পরে সুগা শুক্রবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে একথা বলেন।

    তিনি বলেন, এইসব দেশ থেকে আসা লোকজনের সংখ্যা কমানোর মাধ্যমে এই ভাইরাসবাহীদের জাপানে প্রবেশ বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ কঠোর করাই এই অনুরোধের লক্ষ্য।

    তিনি এও বলেন, এখনই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সময়। তিনি আরও বলেন, এই মহামারী হ্রাস করতে সরকার সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

    সুগা বলেন, কেবল মঙ্গলবারেই চীন থেকে ৮০০ এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১ হাজার ৭০০ ব্যক্তি জাপানে এসেছেন।

    জাপানে পর্যটন শিল্প ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত

    জাপানের পর্যটন শিল্প, করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে ভ্রমণ ও হোটেল বুকিং তীব্র ভাবে হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছে।

    জাপান পর্যটন সংস্থা সমিতি, ব্যক্তিগত ক্রেতাদের কাছ থেকে বুকিং-এর যে সংখ্যা তারা পেয়েছে সেই বিষয়ে তাদের ৭টি বৃহদাকার সদস্য কোম্পানির উপর জরিপ চালায়।

    সমিতি বলছে, মার্চ মাসে অভ্যন্তরীণ ভ্রমণের সংখ্যা গত বছর একই সময়ের তুলনায় ৩৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এপ্রিল মাসে বুকিং-এর সংখ্যায় ৫০ শতাংশ হ্রাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

    বিদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই হ্রাসের পরিমাণ হল মার্চ মাসে ৩৯ শতাংশ এবং এপ্রিলে ৫০ শতাংশ।

    ৫১টি ট্যুর বাস পরিচালক কোম্পানির উপর জরিপে চালিয়ে দেখা গেছে যে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখা এবং স্কুল থেকে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ মিলে ১১ হাজারের বেশি ট্যুর বাতিল হয়ে গেছে।

    সম্প্রতি স্কুল বন্ধ করে দেয়া এবং বিরাট আকারের ক্রীড়া বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিল করে দেয়ার জন্য সরকারের জানানো আহ্বান, পর্যটন শিল্পের উপর অপর এক আঘাত হানতে পারে। আর্থিক সহযোগিতা প্রদান এবং পর্যটন এগিয়ে নিতে জোরালো পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে এই শিল্প খাত।

    চীনে নতুন করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ২,৯৮১ জনে উন্নীত

    চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে গতকাল তারা আরও ৩৮ জনের নতুন করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া নিশ্চিত করেছে। চীনের মূল ভূখণ্ডে মৃতের সংখ্যা এটা ২,৯৮১ জনে উন্নীত করে।

    কর্তৃপক্ষ এছাড়া আরও ১১৯টি সংক্রমণের খবর দিয়েছে। এর ফলে সংক্রমণের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮০,২৭০। নতুন সংক্রমণের মধ্যে ১১৫টি হুবেই প্রদেশে নিশ্চিত করা হয়।

    রোগের বিস্তার মন্থর হয়ে আসার চিহ্ন দেশে পাওয়া যাচ্ছে। তবে ইরান ও ইতালি থেকে ফিরে আসা লোকজনের মধ্যে রোগ সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে সম্প্রতি জানা গেছে।

    জাপানের গিফু ও হিয়োগো জেলায় করোনাভাইরাস হটলাইন

    জাপানের আরও কিছু জেলায় বিদেশি পর্যটক ও অধিবাসীদের পরামর্শ সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

    গিফু জেলায়, বিদেশি পর্যটকদের জন্য গিফু জেলা পরামর্শ কেন্দ্র ইংরেজি, চীনা ও নেপালি সহ ১৪টি ভাষায় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কর্মদিবসে পরামর্শ প্রদান করছে।
    ফোন নাম্বারটি হচ্ছে 058-263-8066.

    হিয়োগো জেলায়, হিয়োগো আন্তর্জাতিক তথ্য ও পরামর্শ সেবা সমিতি ইংরেজি ও চীনা সহ ৪টি ভাষায় কর্মদিবসের সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পরামর্শ প্রদান করছে। ফোন নাম্বারটি হচ্ছে 078-382-2052.

    অনুগ্রহ করে আরও তথ্যের জন্য এনএইচকে ওয়ার্ল্ডের ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লগঅন করুন।

    করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ এখনও সম্ভব: ডব্লিউএইচও

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও’র প্রধান দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, ইরান এবং জাপানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও জোর দিয়ে বলেছেন যে এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

    ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক তেদ্রোস আদহানোম গেব্রেইসুস সোমবার জেনেভায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।

    মহাপরিচালক বলেন, প্রায় ৮টি দেশ দু’সপ্তাহ ধরে নতুন কোন সংক্রমণের খবর দেয়নি। তিনি আরও বলেন, তারা এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে সমর্থ হয়েছে।

    তেদ্রোস চীনে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার দিকে দিকনির্দেশ করেন।

    তিনি বলেন, এটি এই ইঙ্গিত দেয় যে এমনকি অনেক বড় সংখ্যক সংক্রমণ ঘটা অঞ্চলগুলোতেও এটি নিয়ন্ত্রণে সফল হওয়া উচিত।

    তেদ্রোস আরও বলেন, ডব্লিউএইচও’র একটি বিশেষজ্ঞ দল ইরানে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, এই দল চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের পাশাপাশি এই প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবে।

    অপ্রতুল বাতাস চলাচলের স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ জাপানি বিশেষজ্ঞদের

    একদল বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন ধারণা করা হচ্ছে জাপানে মৃদু লক্ষণ থাকা লোকজন অনিচ্ছাকৃতভাবে নতুন করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটাচ্ছে এবং তাদের যেখানে বাতাস চলাচল অপ্রতুল সেসব জনবহুল স্থান এড়িয়ে চলা উচিত।

    সোমবার কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের জন্য গঠিত একটি সরকারি টাস্ক ফোর্সের একটি বিশেষজ্ঞ দল সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং করণীয় শীর্ষক তাদের মতামত প্রকাশ করেছে।

    দলটি বলছে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে লক্ষ্য করা গেছে যে মৃদু লক্ষণ থাকা তরুণ লোকজন হয়তো জনসমাগম স্থানে অজান্তে ভাইরাসের বিস্তার ঘটানোর ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করছে।

    তারা বলছে প্রায় ৮০ শতাংশ সংক্রমিত ব্যক্তি ভাইরাসের বিস্তার ঘটাচ্ছে না। তবে এটি কিছু ঘটনার তালিকা করেছে যেখানে একজন ব্যক্তি লাইভ সঙ্গীত কনসার্ট, স্পোর্টস জিম এবং বুফে রেস্তোরাঁর মত বদ্ধ স্থানে কাছাকাছি সংস্পর্শে আসা একাধিক ব্যক্তিকে সংক্রমিত করেছেন।

    দলটি জাপানের সর্বোচ্চ আক্রান্ত উত্তরাঞ্চলীয় জেলা হোক্কাইদোর পরিস্থিতি বিশ্লেষন করেছে। দলটি লক্ষ্য করে যে শহরাঞ্চলে সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে সক্রিয় লোকজনের সমবেত হওয়ার স্থানে সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে।

    দলটি জানায় আগামী দু’সপ্তাহ এধরণের জনবহুল স্থান এড়িয়ে চলাই রোগের বিস্তার রোধ করতে পারে।

    বিশেষজ্ঞরা যদি সাধারণ সর্দি-জ্বরের মত মৃদু লক্ষণ থাকে তবে বাতাস চলাচল অপ্রতুল থাকা স্থানের অনুষ্ঠান এবং ছোট জায়গায় একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা লোকজনকে এড়িয়ে চলতে বলেছে এবং বাড়ির বাইরে যাওয়া হতে বিরত থাকতে সেসব লোকজনের প্রতি আহবান জানিয়েছে।

    দলটি জানিয়েছে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যাবে যদি লোকজন এর পরিবর্তে কম লোকের সংশ্লিষ্টতা থাকা স্থানে বেড়ানো বা কাজকর্ম করে। তারা কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে অন্য লোকের সাথে কথা বলতে তাদের উপদেশ দেন।

    দলটি জানায় ১০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী লোকেরা অন্য লোকজনের মধ্যে ভাইরাস ছড়াতে পারে যাদের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা বলেন অপ্রতুল বাতাস চলাচলের স্থানে ভীড় এড়িয়ে তরুণ লোকজন সংবেদনশীল লোকদের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে।

    করোনাভাইরাসের চিকিৎসা নীতি হালনাগাদ করেছে জাপান

    জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নতুন করোনাভাইরাসের বিস্তারের পথ বন্ধ করতে নতুন নির্দেশিকার সমন্বয় করেছে। এরমধ্যে মন্ত্রণালয় মৃদু লক্ষণ দেখা দেওয়া রোগীদের নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকতে বলার জন্য স্থানীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে।

    নতুন করোনাভাইরাসের সামাল দিতে জাপান সরকার গত মাসে পরিকল্পনা দিয়েছিল। তবে বলেছিল যে কিছু নীতির পরিবর্তন হতে পারে যদি কিছু অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য হারে রোগীর সংখ্যা বাড়ে।

    স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক পরিকল্পনায় বলা হয়েছে ব্যাপকভাবে প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়া স্থানে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ভাইরাসের পরীক্ষা করা হবে এবং মৃদু লক্ষণ দেখা যাওয়া রোগীদের পরীক্ষা করা হবে না।

    যদি হাসপাতালে শয্যাসংখ্যার স্বল্পতা দেখা দেয় তবে মৃদু লক্ষণ দেখা দেওয়া রোগীদের বাড়িতে থেকে নিরাময়ের জন্য আহবান জানানো হতে পারে। বর্তমানে যেসব রোগীরা নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত তাদের হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

    পরিকল্পনায় প্রত্যেক অঞ্চলে চিকিৎসা স্থাপনা স্থাপনের আহবান জানানো হয়েছে যেখানে সংক্রমিত কিডনি রোগীদের এবং গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে।

    স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় উল্লেখ করে যে অঞ্চলভেদে যেহেতু স্বাস্থ্য সেবা ভিন্ন, তাই মন্ত্রণালয় চায় জেলা সরকারগুলো বাসিন্দাদের ব্যাখ্যা করবেন এবং নিজেদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন।

    জাপানের তোয়ামায় জোনাকি স্কুইড মাছ ধরার মৌসুম শুরু

    জাপান সাগর উপকূলের তোয়ামা উপসাগরে আজ ফায়ার-ফ্লাই বা জোনাকি স্কুইড মাছ ধরার মৌসুম শুরু হয়েছে।

    প্রতি বছর মার্চ মাসের ১ তারিখ এই মৌসুম শুরু হয়। আজ ভোর ৪টার দিকে তিনটি মাছ ধরার জাহাজ নামেরিকাওয়ার একটি বন্দর ত্যাগ করে। উল্লেখ্য, ঐতিহ্যগতভাবে এলাকার সবচেয়ে বড় মাছ ধরে আনার স্থান হিসেবে এই বন্দরের গৌরব রয়েছে।

    যখন জেলেরা উপকূলের দেড় কিলোমিটার দূরে স্থাপন করা স্থায়ী জাল তুলে নেন, তখন রাতের কালো আধারে জোনাকি স্কুইডগুলো নিয়নের নীল আলোর দ্যুতি ছড়ায়।

    কর্মকর্তারা বলছেন, আজ ধরা পড়া ৩শ ৬৫ কিলোগ্রাম মাছ গতবছরের মৌসুম শুরুর প্রথম দিনে ধরা পড়া মাছের পরিমাণ থেকে অনেক বেশি।

    একটি মৎস্য শিকার সমিতির উপ-প্রধান কাযুহিতো মিযুহাশি বলেন, মৌসুমের একটি ভাল শুরু হওয়ায় তিনি আনন্দিত। তিনি বলেন, অনেক লোকই জোনাকি স্কুইডের স্বাদ নিতে চাইবেন বলে তার প্রত্যাশা।

    আগামী মাস পর্যন্ত তোয়ামা উপসাগরে জোনাকি স্কুইড মাছ ধরার মৌসুম তুঙ্গে থাকবে। আর এই মৌসুম মধ্য-জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

    যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যু নিশ্চিত

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দেশটিতে নতুন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। ৫০এর কোঠার বয়সী এই পুরুষ রোগী হচ্ছেন ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের অধিবাসী। কর্তৃপক্ষ, উক্ত ব্যক্তির আগে থেকেই স্বাস্থ্যগত সমস্যা ছিল বলে জানায়।

    সংক্রমিত হয়েছেন বলে ধারণা করা দুই ব্যক্তি, অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর সিয়াটলের অদূরে অবস্থিত একটি সেবা স্থাপনায় রয়েছেন। অন্যান্য ৫০ জনের বেশী লোকজনের মধ্যে কাশিসহ অন্যান্য লক্ষণ রয়েছে বলে জানা গেছে।

    মার্কিন প্রশাসন, দক্ষিণ কোরিয়ার একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল এবং ইতালির জন্য, ভ্রমণ না করার উল্লেখ থাকা সতর্কতার মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করে নিয়েছে।

    এতে, গত ১৪ দিনের মধ্যে ইরান সফরকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে বলেও ঘোষণা দেয়া হয়।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই উল্লেখ করে আতঙ্ক উস্কে দেয়ার মত কোন কিছু না করার জন্য সংবাদ মাধ্যম ও রাজনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।

    ইতালির সরকার, দেশটিতে নতুন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত লোকজনের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানায়। উল্লেখ্য, এটি হচ্ছে ইউরোপে সংঘটিত প্রথম ঘটনা।

    ইতালীয় সরকারের কর্মকর্তারা, দেশটিতে ১ হাজার ১২৮টি সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং সংক্রমণের ঘটনাগুলো প্রধানত উত্তরাঞ্চলীয় লোম্বার্দি শহরের বলে জানান। সংক্রমিতদের ২৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুবরণকারী অধিকাংশের বয়স ৮০র কোঠায়। ইতালির উত্তরাঞ্চলের ১১টি শহর কার্যত বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে।

    ফরাসী স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ের ভেরান, সরকার ৫ হাজার বা ততোধিক লোকজন সংশ্লিষ্ট থাকা ঘরের ভেতরে অথবা বাইরের যেকোনো অনুষ্ঠান বাতিল করবে বলে জানান।

    জাপানে, ৯শর বেশী সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে এবং এঁদের মধ্যে ১১ জন মৃত্যুবরণ করেন। উল্লেখ্য, প্রমোদ তরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ৭শর বেশী সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৬ জন প্রমোদ তরীটির যাত্রী ছিলেন।

    বিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত অনুধাবনের জন্য আবের আহ্বান

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে, সারাদেশের বিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে সরকারের অনুরোধ অনুধাবন করার জন্য লোকজনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি, শিশুদের মাতাপিতাকে সহায়তা প্রদানের বিষয়েও নিজের দৃঢ় প্রত্যয় প্রদর্শন করেন।

    আবে আজ টোকিওতে, সমগ্র জাপানে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার মাঝে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

    তিনি, এই সংক্রমণ প্রতিহত করতে লোকজনের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি, এই যুদ্ধ সরকারের একার পক্ষে জয়লাভ করা সম্ভবপর নয় বলে উল্লেখ করেন।

    আবে, সংক্রমণ প্রতিহত করতে সরকার আগামী প্রায় ১০ দিনের মধ্যে ২য় একগুচ্ছ জরুরী পদক্ষেপ প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে বলে জানান। তিনি, এতে চলতি বছরের বাজেটের রিজার্ভ তহবিল থেকে প্রায় ২৭ হাজার কোটি ইয়েন বা প্রায় আড়াইশ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হবে বলে উল্লেখ করেন।

    করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় রক্তের প্লাজমা ফলপ্রসূ

    চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির রক্তের প্লাজমা অন্যান্য রোগীদের আরোগ্য লাভের পক্ষে সহায়ক বলে জানিয়েছেন।

    গতকাল জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের কর্মকর্তা গুয়ো ইয়ানহং, এমন চিকিৎসার আওতায় ১৫৭ জন রোগীকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের পর দেখা যায় যে ৯১ জন রোগীর অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানান।

    তিনি আরও বলেন যে, এই ভাইরাসে সংক্রমিত ৩৬ হাজার ব্যক্তিকে রোগমুক্ত বলে ঘোষণা করে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এই সংখ্যা হচ্ছে, সংক্রমিত বলে নিশ্চিত ব্যক্তিদের মোট সংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ।

    কর্তৃপক্ষ, আরোগ্য লাভের আগে প্রায় ৮ হাজার ৪০০ জন ব্যক্তির অবস্থা বিশ্লেষণ করে। তাঁদের মধ্যে ৯০ দশমিক ৮ শতাংশের লক্ষণ তুলনামূলক ভাবে গুরুতর ছিল না অপরদিকে ৭.২ শতাংশের অবস্থা গুরুতর এবং ২ শতাংশের অবস্থা মারাত্মক ছিল।

    এই বিশেষজ্ঞ, ২ দশমিক ৮ শতাংশ রোগীর আগে থেকেই একাধিক রোগের লক্ষণ পরিলক্ষিত হয় বলে জানান।

    অবশেষে তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত

    সুদীর্ঘ আলোচনা ও বিশ্লেষণের পর অবশেষে শান্তির পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তান। শনিবার আমেরিকার কর্তকর্তাদের সঙ্গে তালেবান প্রতিনিধিদের বহুল প্রত্যাশিত এ শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। দীর্ঘ একমাসের আলোচনার পর কাতারের রাজধানী দোহায় শান্তি চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হল।

    পাকিস্তান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, উজবেকিস্তান এবং তাজিকিস্তানসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতেই এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। যার ফলে মার্কিন শাসক তাদের সৈন্যদের আফগান থেকে ধীরে ধীরে ফিরিয়ে নিবে বলে জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও তালেবান প্রতিনিধিদের মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

    যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানরাদের স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী শর্ত মেনে চললে আগামী ১৪ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহার করবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার নেটো মিত্ররা।

    আল জাজিরার খবরে বলা হয়. শনিবার আফগানিস্তান তাদের সৈনিকদের যুদ্ধ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় এবং নানামুখী আক্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলে।

    তালেবান প্রতিনিধি মোহাম্মদ নাঈম আল জাজিরাকে বলেন, আফগানের শান্তি ফেরানোতে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলাম আমরা। এ চুক্তি মাধ্যমে আফগানিস্তানের যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।