• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • ভাইরাস মোকাবেলায় বিধিনিষেধ কঠোর করছে ইউরোপ

    ইউরোপ বৈশ্বিক মহামারির কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এরকম ঘোষণা দেয়ার পর সেখানকার দেশগুলো করোনাভাইরাসের বিস্তারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে বিধিনিষেধ কঠোর করে নিচ্ছে।

    ইতালি গতকাল সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ প্রত্যক্ষ করেছে। দেশটিতে এখন ২০ হাজারেরও বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।

    এছাড়া, স্পেন এবং ফ্রান্সে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় স্ত্রীর ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ গতরাতে টেলিভিশনের মাধ্যমে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, ঘোষিত একটি জরুরি অবস্থার আওতায় লোকজনের চলাচল সীমিত করা হবে।

    তিনি আরও বলেন, জরুরি পরিস্থিতি, কাজ, হাসপাতালে গমন এবং ঔষধ বা খাবার কেনা ব্যতিরেকে স্পেনে অবস্থান করা সবাইকে বাড়ির অভ্যন্তরে থাকতে হবে।

    এছাড়া, খাদ্য, ঔষধ’সহ অন্যান্য মৌলিক প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির দোকান ছাড়া সকল রেস্তোরাঁ, বার এবং দোকান বন্ধ থাকবে।

    উল্লেখ্য, ইতালির পরে স্পেন হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। আর ইতালির মতই দেশটি এখন জাতীয় লকডাউন বা লোকজনকে বাড়ির অভ্যন্তরে থাকার ব্যবস্থা কার্যকর করেছে।

    এদিকে, গতকাল রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে ফরাসি প্রধানমন্ত্রী এদুয়ার্দো ফিলিপ্পেও নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন।

    তিনি বলেন, খাবার, ঔষধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিক্রির দোকান ব্যতিরেকে সকল রেস্তোরাঁ, ক্যাফে এবং দোকান অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে।

    তিনি লোকজনকে যতটা সম্ভব বাড়িতে থেকে কাজ করার পাশাপাশি খাবার এবং অন্যান্য আবশ্যকীয় দ্রব্যাদি কেনা ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ করেছেন।

    ফিলিপ্পে এক্ষেত্রে জনগণের অনুধাবন এবং সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি যে কতটা গুরুতর, নাগরিকরা সেটি অনুধাবন করতে পারছেন বলে তিনি নিশ্চিত।

    জাপানে কোভিড-১৯ এর নতুন সংক্রমণের রেকর্ড

    জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকারগুলোর সংগৃহীত উপাত্ত অনুযায়ী আজ রাত ৮টা পর্যন্ত আরও নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য জানা যাওয়ায় দেশে সংক্রমণের মোট সংখ্যা ৮শ ৩’এ উন্নীত হয়েছে।

    এই সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত প্রমোদতরীতে সংক্রমিত ৬শ ৯৭ জন বা চীনের উহান থেকে ভাড়া করা বিমানে জাপান ফিরে আসা অপর ১৪ ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

    মোট মৃত্যুর সংখ্যা হচ্ছে ৩১ যাদের মধ্যে ২৪ জন জাপানে এবং অপর ৭ জনের সংক্রমণ ঘটেছে প্রমোদতরীতে।

    সর্ব-উত্তরের জেলা হোক্কাইদো’তে সবচেয়ে বেশি ১শ ৪৮ জন সংক্রমিত হয়েছেন। এরপর সংক্রমণের তালিকায় যথাক্রমে ১শ ২১ জন নিয়ে আইচি, ১শ ৬ জন নিয়ে ওসাকা এবং ৯০ জন নিয়ে আছে টোকিও। এছাড়া, হিয়োগো’তে ৭৮ এবং কানাগাওয়ায় ৫৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন।

    টোকিও অলিম্পিকের জন্য ভাইরাস প্রতিরোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

    বিশ্বব্যাপী নতুন করোনাভাইরাসের প্রসার সম্পর্কে উদ্বেগের মাঝে, জাপান সরকার পরিকল্পনা অনুযায়ী টোকিও অলিম্পিক এবং প্যারালিম্পিক গেমসের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের পরিকল্পনা করছে।

    গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন যে, এই অলিম্পিক এক বছর বিলম্বিত করা বিচক্ষণতার পরিচায়ক হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই প্রাদুর্ভাবকে বিশ্বব্যাপী মহামারী বলে ঘোষণা করার পর তিনি এই মন্তব্য করেন।

    পরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে ট্রাম্পের সাথে টেলিফোনে কথা বলেন এবং তিনি জোর দিয়ে উল্লেখ করেন যে পরিকল্পনা অনুযায়ী অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠানের জন্য জাপান সম্ভাব্য সব কিছুই করছে।

    জাপান সরকারের সূত্রে বলা হয় যে, ট্রাম্প সম্ভাব্য বিলম্বের কথা উল্লেখ করেননি। তিনি, জাপানের স্বচ্ছ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন বলে প্রকাশ।

    অপর দিকে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সভাপতি, পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৪শে জুলাই অলিম্পিক শুরু করার লক্ষ্যে সবধরনের প্রচেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি দেন।

    কিন্তু গত বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে টমাস বাখ ইঙ্গিত দেন যে, ডাব্লিউএইচও অলিম্পিক বাতিল করার সুপারিশ করলে আইওসি সেই উপদেশ গ্রহণ করবে।

    জাপান সরকারের সূত্রে স্বীকার করা হয় যে, মে মাসের প্রথম দিক পর্যন্ত জাপান এবং বিদেশে পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে অলিম্পিক অনুষ্ঠান করা কঠিন হতে পারে।

    জুলাই মাসে টোকিও যাতে ক্রীড়াবিদ এবং দর্শকদেরকে স্বাগত জানাতে পারে সেই লক্ষ্যে জাপান সরকার, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশসমূহের আরও বেশী সহযোগিতা কামনা করার পরিকল্পনা করছে।

    জাপানে জরুরি অবস্থা ঘোষণার মত পরিস্থিতি নেই-আবে

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে, নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মোকাবিলায় আজ থেকে কার্যকর হওয়া আইনের আওতায় দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রয়োজনীয়তার মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছেন।

    আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আবে, জাপান অন্যান্য দেশের তুলনায় সংক্রমণের ঘটনা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

    ১৫ মিনিটে নতুন করোনাভাইরাস সনাক্ত করার কিটস্‌ আমদানি করবে জাপান

    বস্ত্র এবং রাসায়নিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক একটি জাপানী কম্পানি জানিয়েছে যে তারা দ্রুত নতুন করোনাভাইরাস সনাক্ত করতে সক্ষম কিটস আমদানি ক’রে তা বাজারে সরবরাহ করতে শুরু করবে।

    বর্তমানে জাপানে নতুন করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় সময় লাগে কমবেশি ছয় ঘন্টা। কুরাবোও ইন্ডাসট্রিজ জানায় দ্রুততর সনাক্তকরণের কিটস্‌ দিয়ে এই কাজটি মাত্র ১৫ মিনিটে করা যাবে এবং এরজন্য কোনো বিশেষ যন্ত্রপাতিও লাগবে না।

    কম্পানিটি এই কিটস্‌ আমাদানি করবে এর চীনা শরিক কম্পানির কাছ থেকে যারা এই কিটস্‌ তৈরি করেছে। এই কিটস্‌ এ মাসেই জাপানের বাজারে আসবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

    এই কিট্‌সে মানুষের শরীরের রক্তের সামান্য পরিমাণ নমুনার মধ্যে অ্যান্টিবডি আছে কি না, দেখার জন্য রি-এজেন্ট ব্যবহার করা হয়। কুরাবোও ইন্ডাসট্রিজের কর্মকর্তারা বলেন, এই কিটস্‌ চীনে ব্যবহার ক’রে শতকরা ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রে সঠিক ফল পাওয়া গেছে। জাপানের বাজারে এই কিটস্‌ দৈনিক ১০ হাজার ক’রে সরবরাহ করা যাবে বলে কম্পানিটি জানায়।

    জাপানে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত একটি জরুরি আইন কার্যকর

    জাপানের সংসদ একটি আইন অনুমোদন করেছে যেটি প্রধানমন্ত্রীকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার জন্য একটি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে সক্ষম করবে।

    জাপান সংসদের উচ্চ কক্ষে ক্ষমতাসীন কোয়ালিশন এবং কয়েকটি বিরোধী দলের সমর্থনে আইনটি শুক্রবার অনুমোদিত হয়। নিম্ন কক্ষে বিলটি বৃহস্পতিবার অনুমোদিত হয়।

    জরুরি অবস্থার ঘোষণা জেলা-গভর্নরদের বিভিন্ন ধরনের অনুরোধ জানাতে বা আদেশ দিতে সক্ষম করবে। এই অনুরোধ বা আদেশের মধ্যে লোকজনকে ঘরে থাকার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি স্কুল বন্ধ রাখার মত সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

    আইনপ্রণেতারা একটি সম্পূরক প্রস্তাবও অনুমোদন করেন যেখানে একটি জরুরি অবস্থা ঘোষণার আগাম নোটিশ সংসদকে দেয়া এবং পরে পরিস্থিতির উপর একটি রিপোর্ট তৈরি করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
    এই আইনটি শনিবার থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে।

    চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিহিদে সুগা সাংবাদিকদের বলেন, একটি জরুরি অবস্থার ঘোষণা দিতে হবে কিনা সেব্যাপারে সরকার সতর্কতার সাথে সিদ্ধান্ত নেবে, কেননা এই ঘোষণা লোকজনের জীবনযাত্রার উপর এক মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

    জাপানে ভাইরাস সংক্রমণের দ্রুত বৃদ্ধি দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা

    জাপানের করোনাভাইরাস প্রতিহত করার পদক্ষেপ পর্যালোচনা করে দেখা বিশেষজ্ঞদের একটি সরকারি প্যানেল বলছে দেশে নতুন সংক্রমণের “বিস্ফোরণমুখী” বৃদ্ধি দেখা যায়নি এবং রোগ ছড়িয়ে পড়া কোন এক পর্যায় পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। তবে দেশে সংক্রমণের আরও ঘটনা প্রত্যাশিত হওয়ায় জনগণের সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তার উপর প্যানেল গুরুত্ব আরোপ করেছে।

    গত সোমবার প্যানেল এই অভিমত প্রকাশ করে। দু’সপ্তাহ আগে প্যানেল সতর্ক করে দিয়েছিল যে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পরবর্তী দু’সপ্তাহ হবে জাপানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক সময়।

    তিনটি শর্ত পূরণ করছে সেরকম স্থান ও অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলার আহ্বান প্যানেল জনগণের প্রতি জানাচ্ছে। প্যানেল বলছে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সংক্রমণ যেখানে ঘটেছে, এই তিনের সমন্বয় সেখানে সাধারণত দেখা গেছে। শর্ত তিনটি হল: বাতাস চলাচলের অপর্যাপ্ত ব্যবস্থা সহ বন্ধ কোন জায়গা, জনবহুল এলাকা, এবং খুব কাছে থেকে কথা বলার মত মানুষের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ।

    বর্তমানে বড় অনুষ্ঠানগুলো স্বেচ্ছামূলকভাবে বাতিল কিংবা স্থগিত করা হয়েছে এবং সরকারের অনুরোধে সারা দিয়ে জাপান জুড়ে স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। উত্তরের হোক্কাইদো জেলা ভাইরাসের বিস্তারের কারণে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে এবং এরপর থেকে প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

    প্যানেল বলছে আগামী বৃহস্পতিবারের দিকে তারা এসব পদক্ষেপ বহাল রাখা হবে কিনা সে বিষয়ে তাদের মতামত দেবে।

    সোমবার প্যানেলের উপস্থাপন করা মূল্যায়নের সারসংক্ষেপ হচ্ছে নিম্নরূপ:

    বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বলা যায় যে অনেক ক্ষেত্রেই সংক্রমণের কেন্দ্রীভূতকরণ যথেষ্ট আগাম অবস্থায় সনাক্ত করা গেছে। সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে থাকা অন্যান্য দেশের তুলনায় জাপানে আগাম সনাক্তকরণ বৃদ্ধির মাত্রা হ্রাসে সহায়ক হয়। গত মাসের ২৪ তারিখে প্যানেল উল্লেখ করেছিল যে আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহ হবে ভাইরাস সামালা দেয়ার বেলায় গুরুত্বপূর্ণ এক সময়।

    সোমবার ৯ মার্চ পর্যন্ত জাপানে নতুন সংক্রমণের “বিস্ফোরণমুখী” বৃদ্ধি দেখা যায়নি। রোগের বিস্তার কোন এক পর্যায় পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম দেশ হিসেবে জাপানকে প্যানেল দেখছে। তবে দেশে আরও সংক্রমণ ঘটার সম্ভাবনা থাকায় জনগণকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। জাপানে রোগ বিস্তারের সার্বিক ছবি এখনও অজানা রয়ে গেছে।

    হোক্কাইদোর গভর্নর গত মাসের ২৮ তারিখে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছেন। জেলার নেয়া সেই পদক্ষেপের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করে দেখার উপর আগামী সপ্তাহের বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পরিকল্পনা প্যানেল করছে।

    সংক্রমণ বিস্তারের বেলায় প্যানেল মনে করছে, এমনকি জাপান দেশের ভেতরে এর দ্রুত সম্প্রসারণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও বিশ্ব জুড়ে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া সামাল দেয়া কঠিন হবে। মহামারী এখন বৈশ্বিক আকার নিতে থাকায় ভাইরাস কেবল দেশের ভেতরেই ছড়াবে না, সেই সাথে দেশের বাইরে থেকেও বারবার তা নিয়ে আসা হবে।

    ভাইরাসের আরও বিস্তার প্রতিহত করার বেলায় প্যানেল তিনটি শর্ত পূরণ করছে সেরকম জায়গা থেকে দূরে সরে থাকার উপদেশ লোকজনকে দিচ্ছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সংক্রমণ যেখানে ঘটেছে, এই তিনের সমন্বয় সেখানে সাধারণভাবে দেখা গেছে।

    তিনটি শর্ত হল: বাতাস চলাচলের অপর্যাপ্ত ব্যবস্থা সহ বন্ধ কোন জায়গা, জনবহুল এলাকা, এবং মুখোমুখি কথা বলার মত মানুষের সংযোগে আসা।

    সংক্ষেপে বলা যায় ঘরে ঘন ঘন বাতাস প্রবাহের সুযোগ করে দেয়া এবং জনবহুল জায়গা এড়িয়ে চলা ও কাছে থেকে কথা বলা এড়িয়ে চলার উপদেশ প্যানেল জনগণকে দিচ্ছে।

    জাপানে সরকারি মজুত থেকে হাসপাতালে মাস্ক পাঠানো হবে

    করোনাভাইরাসের বিস্তারে সার্জিকাল মাস্কের ঘাটতি দেখা দেয়ায় জাপান সরকারের কর্মকর্তারা তাদের মজুত থেকে ২৫ লক্ষ মাস্ক হাসপাতাল ও অন্যান্য স্থাপনায় পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

    দুর্যোগ ও অন্যান্য জরুরী অবস্থার জন্য মন্ত্রণালয় ও এজেন্সিতে জমা করে রাখা ৬৪ লক্ষ মাস্কের থেকে এগুলো বিতরণের সিদ্ধান্ত সরকার নেয়।

    জেলা সরকারগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন হাসপাতাল ও নার্সিং সেবা কেন্দ্রে এগুলো দেয়া হবে। এই সপ্তাহান্তের মত দ্রুত সময়ে সেগুলো বিতরণের কাজ শুরু হবে।

    আগামী রবিবার থেকে জাপানে মাস্কের পুনর্বিক্রয় নিষিদ্ধ

    জাপানে বেশি দামে মুখের সুরক্ষামূলক মাস্ক পুনর্বিক্রয়ের উপর একটি নিষেধাজ্ঞা আগামী রবিবার থেকে কার্যকর হবে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মাঝে মাস্কের সরবরাহে স্বল্পতা চলাকালীন সরকার এই পদক্ষেপের অনুমোদন দিয়েছে।

    নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনকারীরা এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ১০ লক্ষ ইয়েনের মত বা প্রায় ৯ হাজার ৭শ ডলার পর্যন্ত জরিমানার মুখোমুখি হবেন।

    কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, মাস্ক মজুদ করে অনলাইনে বেশি মূল্যে বিক্রি চলমান সরবরাহ সংকটকে আরও নাজুক করে তুলছে।

    সরকারি এই অধ্যাদেশ ক্রয়মূল্যের চেয়ে বেশি দামে মাস্ক পুনরায় বিক্রি নিষিদ্ধ করবে। এই পদক্ষেপ অনলাইন নিলামের উপরও প্রযোজ্য হবে।

    করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জাপান সরকারের দ্বিতীয় আর্থিক প্যাকেজ

    জাপান সরকার করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রভাব কমিয়ে আনার জন্য দ্বিতীয় একটি আর্থিক প্যাকেজ অনুমোদন করেছে।

    সরকার এই প্রাদুর্ভাব সামাল দেয়ার জন্য গঠন করা এক টাস্কফোর্সের মঙ্গলবারের বৈঠকে ৪৩ হাজার কোটি ইয়েন বা ৪০০ কোটির বেশি মার্কিন ডলারের সমতুল্য এই পদক্ষেপগুচ্ছের প্যাকেজ অনুমোদন করে।

    এই নতুন প্যাকেজের পদক্ষেপসমূহের মধ্যে স্কুল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার মধ্যে কাজ থেকে ছুটি নিতে বাধ্য হওয়া বাবা-মায়েদের জন্য সহায়তা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই বাবা-মায়েরা যে বেতন পাবেন না তার জন্য তাদের সহায়তায় নতুন একটি ভর্তুকি কর্মসূচি প্রণয়ন করা হবে।

    এই প্যাকেজের মধ্যে এই প্রাদুর্ভাবের কারণে বিক্রি কমে যাওয়া ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য কার্যকরভাবে শূন্য সুদের হার এবং কোনরকম অতিরিক্ত জামানত ছাড়াই বিশেষ ঋণ প্রদানের একটি পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

    প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে বলেন, তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজকদের প্রতি আরও প্রায় ১০ দিন বড় ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা থেকে বিরত থাকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাবেন।

    আবে এও বলেন, ইতালির উত্তরে বসবাসরত বিদেশিদেরও জাপানে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। এই নিষেধাজ্ঞা বুধবার থেকে চালু হবে।

    করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে এবারই প্রথম জাপান ইউরোপ থেকে আসা ভ্রমণকারীদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল।
    জাপান বর্তমানে চীনের হুবেই প্রদেশ এবং ঝেজিয়াং প্রদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরানের কিছু অংশে বসবাস করা বিদেশিদের দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে রেখেছে।

    বিশ্বব্যাপী আরও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত করা হয়েছে

    এনএইচকে’র এক গণনায় দেখা গেছে যে, এই নতুন করোনাভাইরাস এখন চীনের মূল ভূখণ্ড ও জাপানের বাইরে ৯৯টি দেশ ও ভূখণ্ডে নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করা হয়েছে।

    রবিবার আন্তর্জাতিকমান সময় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মোট সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ২৬ হাজার ৯৭১ এবং মৃতের সংখ্যা ৬৭৬।

    ইতালি ৭ হাজার ৩৭৫টি সংক্রমণের ঘটনা নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এরপর রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৩১৩ এবং এরপর ৬ হাজার ৫৬৬ জন আক্রান্ত রোগী নিয়ে রয়েছে ইরান। ফ্রান্সে ১ হাজার ১২৬টি সংক্রমণ শনাক্ত করা হয় এবং জার্মানি’তে ৯০২। বাংলাদেশ তাদের প্রথম সংক্রমণের খবর দিয়েছে, ৩ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

    এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতালিতে ৩৬৬ জন। বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মধ্যে ইরানে মারা গেছে ১৯৪ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৫০ জন, ফ্রান্সে ১৯ জন, স্পেনে ১৭ জন এবং যুক্তরাষ্ট্রে ১১ জন।

    করোনাভাইরাস আতঙ্কের মাঝে ইয়েনের মূল্যমান বেড়ে চলেছে

    টোকিও বৈদেশিক বিনিময় বাজারে সোমবার জাপানি ইয়েনের মূল্যমান মার্কিন ডলারের বিপরীতে ৩ শতাংশেরও বেশি বেড়ে গেছে যা ২০১৬ সালের নভেম্বর মাস থেকে ডলারের বিপরীতে সর্বোচ্চ পর্যায়।

    বাজার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ডলার বিক্রি করে দেয়া এবং ইয়েন কেনার হিড়িক পড়ে যায় এই উদ্বেগের কারণে যে, যুক্তরাষ্ট্র সহ বৈশ্বিক অর্থনীতির উপর করোনাভাইরাসের প্রভাব মারাত্মকভাবে বিস্তার লাভ করতে পারে।

    কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে ৬ দেশ থেকে আসা যাত্রীদের

    করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ছয়টি দেশ থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের কোয়ারান্টাইনে থাকতেই হবে। দেশগুলো হচ্ছে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, ইরান, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড। হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ এ তথ্য জানান।

    ডা. মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, এ ছয়টি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানারে পরীক্ষা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে স্ক্যানার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। অবতরণের পর ‘হেলথ ডিক্লারেশন’ ফরম দেয়া হচ্ছে। এখানে তাদের শারীরিক বিষয়সহ বিভিন্ন তথ্য পূরণ করতে হবে। স্বাস্থ্য তথ্য কার্ড দেয়া হচ্ছে। ছয়টি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের শরীরে জ্বর না থাকলেও তাদের বাধ্যতামূলকভাবে নিজ বাড়িতে বা তারা যেখানে থাকবেন, সেখানে ১৪ দিন কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে। তবে বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় যদি যাত্রীর শরীরে তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা এর বেশি তাপমাত্রা থাকে, তাহলে তাকে সরাসরি কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে কোয়ারান্টাইনে রাখা হবে। তিনি আরো জানান, বিমানবন্দরে বিভিন্ন সংস্থার হয়ে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের হ্যান্ড গ্ল্যাভস ও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।

    জানা গেছে, গত ২১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত হযরত শাহজালাল (র.) বিমানবন্দরে ২ লাখ ৬ হাজার ১০ জন যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬১ জনের জ্বর ছিল। আর পাঁচজনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    উল্লেখ্য, রোববার বিকালে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন শনাক্তের কথা জানিয়েছেন। এ তিনজনের মধ্যে দুজন ইতালি থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। তাদের কাছ থেকে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের বয়স ২৫ থেকে ৩৫-এর মধ্যে।

    জাপান করোনাভাইরাসের পরীক্ষা দৈনিক ৭ হাজারে বৃদ্ধি করছে

    জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, চলতি মাসের শেষ নাগাদ পর্যন্ত দেশে নতুন করোনাভাইরাসের পরীক্ষার সক্ষমতা দৈনিক ৭ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

    আজ সম্প্রচারিত এনএইচকের এক অনুষ্ঠানে কাৎসুনোবু কাতো, উক্ত মন্তব্য করেন।

    কাতো, গত সপ্তাহ থেকে জাতীয় স্বাস্থ্য বীমার আওতায় ব্যয় নির্বাহ করে আসা ভাইরাস পরীক্ষার বিষয়ে কথা বলেন।

    তিনি, ব্যয় নির্বাহের অর্থ হচ্ছে সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়াই চিকিৎসকরা বেসরকারি পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করাতে সক্ষম হবেন বলে উল্লেখ করেন।

    তিনি, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জাপানের দৈনিক পরীক্ষা করার সক্ষমতা ৪ হাজার ২শ থেকে ৬ হাজার ২শতে উন্নীত হয়েছে বলে জানান।

    তিনি, এই সক্ষমতা বেসরকারি পরীক্ষাগারে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার সংখ্যাসহ দৈনিক ৭ হাজারে উন্নীত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    এর আগে সরকারের একটি উপদেষ্টা প্যানেল, ভাইরাসটি প্রতিরোধের জন্য আগামী ১ অথবা ২ সপ্তাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জোর দিয়ে উল্লেখ করেছিল। তবে ইতোমধ্যে, উল্লেখিত দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে।

    কাতো, পরীক্ষায় সংক্রমিত বলে নিশ্চিত লোকজনের সংখ্যা দিয়ে ভাইরাস প্রতিরোধ প্রচেষ্টার সফলতা পরিমাপ করা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন। তিনি, ফলাফল পেতে ১০ থেকে ১৪ দিনের প্রয়োজন হয় বলে জানান।

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী, গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রভাব মূল্যায়ন করতে পুনরায় প্যানেলটির বৈঠক আহ্বান করা হবে বলে জানান।

    কাতো, প্যানেলের পর্যালোচনার উপর ভিত্তি করে সরকার বৃহদাকারের সমাবেশ অনুষ্ঠান পুনরারম্ভের অনুমতি প্রদান করা হবে কিনা সেবিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে উল্লেখ করেন।

    সরকার, এইধরনের অনুষ্ঠানের বিষয়ে দুবার ভেবে দেখতে লোকজনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল।

    জাপানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি

    আজ স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত জাপানে নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে ৪শ ৫৬’তে উন্নীত হয়েছে। এর পাশাপাশি ডায়মন্ড প্রিন্সেস প্রমোদতরীর ৬শ ৯৬ ব্যক্তিও সংক্রমিত হয়েছেন এবং চীনের হুবেই প্রদেশে থেকে ভাড়া করা বিমানে জাপানে ফিরিয়ে আনা ব্যক্তিদের মাঝেও ১৪ ব্যক্তির সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে।

    স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকারের সংগৃহীত উপাত্তের ভিত্তিতে এই সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে।

    এ পর্যন্ত ১৪ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭ জন ঐ প্রমোদতরীর।

    জেলা ওয়ারী হিসেবে হোক্কাইদো’তে সর্বোচ্চ ১০১টি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এরপর যথাক্রমে ৭০টি সংক্রমণ নিয়ে আছে আইচি এবং ৬৪টি নিয়ে আছে টোকিও। কানাগাওয়া এবং ওসাকা জেলার প্রতিটিতে ৪১ ব্যক্তির দেহে সংক্রমণ ঘটেছে।

    এদিকে, ১১জন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তার সংক্রমণও নিশ্চিত করা হয়েছে।

    স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গতকাল পর্যন্ত ৬১ জন গুরুতর রোগী হয় কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস যন্ত্রের সাহায্য নিচ্ছিলেন বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসারত অবস্থায় ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩১ জন প্রমোদতরী থেকে আসা।

    অন্যদিকে, গতকাল পর্যন্ত মোট ৩শ ১১ ব্যক্তি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন।