• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  •  জরুরী অবস্থা ঘোষণার পর জাপানের শহরতলীগুলো শান্ত

    জাপানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকারের জরুরী অবস্থা ঘোষণার পর প্রথম সপ্তাহান্তে আজ, দেশের শহরতলীগুলোতে শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।

    স্বাভাবিক সময়ে তরুণদের ভীড়ে জমজমাট টোকিওর হারাজুকু এলাকার তাকেশিতা সড়কটিতে খুব কম সংখ্যক লোকজনের উপস্থিতি ছিল।

    সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ থাকার বিজ্ঞপ্তিসহ অধিকাংশ পোশাক ও রকমারি পণ্যের দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে।

    কিছু সংখ্যক খাবার ও ওষুধের দোকান সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য খোলা ছিল।

    ১৩ বছর পুরানো একটি রেস্তোরাঁয়, বাতাস আসা যাওয়ার জন্য জানালাগুলো খোলা রাখা ছিল এবং খাবারের টেবিলগুলো স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করা ছিল। তবে আজ দোকান খোলার এক ঘণ্টা পরও কোন ক্রেতা ছিল না।

    লাখ ছাড়ালো মৃত্যু

    Posted by admin on April 11
    Posted in Uncategorized 

    লাখ ছাড়ালো মৃত্যু 

    প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখ ছাড়ালো। সেইসঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লাখ ৭১ হাজার ৮৫৮ জন।

    আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৩৬৬ জন। মৃতের সংখ্যা ১৭ হাজার ৯২৭। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটি দ্বিতীয় স্থানে। তবে যে হারে দেশটিতে হু হু করে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে শিগগিরই প্রথম স্থানে অবস্থান করবে।

    করোনায় মৃতের দিক থেকে প্রথমে অবস্থান করা ইতালিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ১৮ হাজার ৮৯৪ জন। আক্রান্ত ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭৭ জন।

    এছাড়া স্পেনে আক্রান্ত ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫৩ জন। মারা গেছে ১৫ হাজার ৯৭০ জন।

    ফ্রান্সেও মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটিতে বর্তমানে করোনায় মারা যাওয়ার সংখ্যা ১২ হাজার ২১০ জন। আক্রান্ত ১ লাখ ১৭ হাজারের বেশি।

    তবে জার্মানিতে আক্রানের সংখ্যা ১ লাখ ১৯ হাজার হলেও মৃতের হার কম। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২ হাজার ৬০৭ জন।

    এদিকে করোনায় লাফিয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে ব্রিটেনেও। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ৯৫৮ জন। আক্রান্ত ৭০ হাজারের বেশি।

    ইরানে করোনায় আক্রান্ত ৬৮ হাজারের বেশি। মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৪ হাজার।

    প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ইতিমধ্যে বিশ্বের ১৮০ টির বেশি দেশে এখন পর্যন্ত ছড়িয়েছে।

    তবে গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে সর্বপ্রথম এই ভাইরাস ছড়িয়ে পরলেও দেশটি ইতিমধ্যে নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলে জানিয়েছে। ওয়াল্ডওমিটার ।

    ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রাখার টোকিও’র সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে শিনযো বলেছেন যে, করোনাভাইরাসের বিস্তার হ্রাসের জন্য জরুরি অবস্থার অধীনে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হবে যেসব ধরনের ব্যবসার উপর সেব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার এবং টোকিও মহানগর কর্তৃপক্ষ যে মতৈক্যে পৌঁছেছে তা ইতিবাচক।

    আবে শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, এই সংক্রমণের বিস্তার রোধের জন্য এ আইনের অধীনে সম্ভাব্য সবকিছু করাটা গুরুত্বপূর্ণ।

    তিনি এও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এবং টোকিও মহানগর কর্তৃপক্ষ এই অভিন্ন আশা পোষণ করছে যে, এই প্রাদুর্ভাবের অচিরেই অবসান হবে এবং সবাই হাসতে পারবেন এবং আবার কথা বলতে পারবেন।

    তিনি বলেন, যতটা বেশি করে সম্ভব লোকজনের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত এবং টেলিওয়ার্ক ও অন্যান্য পদ্ধতিতে সামাজিক সংস্পর্শ কমানোর জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

    আবে আরও বলেন, রাত্রিকালীন বিনোদন এলাকায় কম লোকজনকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, তবে তিনি সতর্ক করে দেন যে, কিছু কিছু এলাকার জন্য আরও বেশি করে প্রচেষ্টা চালানোর প্রয়োজন রয়েছে, কেননা তা লোকজনের জীবন রক্ষায় সাহায্য করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    তিনি এও বলেন, লোকজন অসুবিধার মুখোমুখি হতে বাধ্য হচ্ছেন, তবে সামাজিক সংস্পর্শ যদি ন্যূনতম ৭০% এবং প্রত্যাশা অনুযায়ী ৮০% কমানো যায়, তাহলে এক মাস পরে জরুরি অবস্থা তুলে নেয়া হতে পারে।

    জাপানে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ৫,০০০ ছাড়িয়ে গেছে

    টোকিও এবং অন্যত্র করোনাভাইরাস সংক্রমণের নিশ্চিত হওয়া সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় জাপানের মোট সংখ্যাকে সেটা ৫,০০০’এর উপরে ঠেলে দিয়েছে।

    স্থানীয় সময় আজ বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত কমপক্ষে ৩২০টি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া যাওয়ায় সার্বিক হিসাব এর ফলে দাঁড়িয়েছে ৫,২৯২টি। এই সংখ্যার মধ্যে একটি ভাড়া করা বিমানে চীন থেকে ফিরে আসা ১৪ জন ও সেই সাথে বিমানবন্দরে কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় পরীক্ষায় ধরা পড়া সংক্রমণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

    প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ৭১২টি ঘটনা যোগ করা হলে মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৬,০০৪।

    মৃতের সংখ্যা হচ্ছে ১১৭। এর মধ্যে মধ্যে প্রমোদতরীর ১১ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    কর্মকর্তারা বলছেন গতকাল পর্যন্ত ১,২৭০ জন রোগমুক্ত হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন। এদের মধ্যে ৬৩২ জনের সংক্রমণ সনাক্ত করা হয় জাপানে এবং ৬৩৮ জন সংক্রমিত হয়েছেন প্রমোদতরীতে।

    স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠন দিবস আজ

    আজ ১০ এপ্রিল। একাত্তরের এদিন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন করা হয়েছিল। সরকার গঠনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র (প্রোক্লেমেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্স) পাঠ করা হয়। ১৯৭০ সালে জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠন করা হয় গণপরিষদ।

    একাত্তর সালের ২৫ মার্চ রাতে পাক সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাঙালির রক্তে হোলি খেলায় মেতে ওঠে পাকিস্তানি বাহিনী। চারিদিকে শুরু হয় শুধু ধ্বংস আর হত্যাকাণ্ড। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয়ে যায় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। মানুষের প্রতি মমতা, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এদিন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। এদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণাকে অনুমোদন করা হয়। ঘোষণায় বলা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপতি থাকবেন।

    সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দিন আহমেদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ভাষণ দেন। এ ভাষণ অবরুদ্ধ দেশবাসীকে আরো সাহস জোগায় ও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উজ্জীবিত করে। প্রধানমন্ত্রী তার এ ঐতিহাসিক ভাষণে বলেন, আমাদের এ মুক্তিযুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলে স্থির বিশ্বাস। প্রতিদিনই আমাদের শক্তি বাড়ছে। আর এ সংগ্রাম বিশ্ববাসীর স্বীকৃতি লাভ করছে। প্রধানমন্ত্রী তার বেতার ভাষণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধ পরিচালনায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের নামও ঘোষণা করেন। ভাষণে তিনি এ কথাও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোন এক স্থানে।

    ১৩ এপ্রিল ৬ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম এবং মন্ত্রীদের মাঝে দপ্তর বণ্টন করা হয়। ১৪ এপ্রিল কর্নেল এমএজি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। সরকার গঠনের পর শপথগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ১৭ এপ্রিল আমাদের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। মেহেরপুরের সীমান্ত লাগোয়া বৈদ্যনাথ তলার এক বিশাল আমবাগানে অতি গোপনে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শপথগ্রহণের আয়োজন করা হয়। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে নতুন সরকার শপথ নেয়। স্থানটির নামকরণ করা হয় মুজিবনগর। প্রবাসী মুজিবনগর সরকার সফলতার সাথে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। ১৬ ডিসেম্বর আমাদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।

    করোনার উত্পত্তিস্থল উহান থেকে লকডাউন প্রত্যাহার

    চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে তিয়ানহি বিমানবন্দর পুনরায় খুলে দেওয়ার পর গতকাল বহু যাত্রীকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। দুই মাস পর গতকাল উহান থেকে লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে ।—এএফপি, রয়টার্স ও বিবিসি

    করোনা ভাইরাসের মহামারি প্রথম চীনের যে শহরে শুরু হয়েছিল, সেই উহান থেকে লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে। দুই মাস লকডাউনে থাকার পর বুধবার প্রথমবারের মতো লোকজনকে শহর ছাড়ার অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে চীনের ?মূল ভূখণ্ডে আক্রান্তের সংখ্যা ফের কিছুটা বাড়ায় সংক্রমণের আরেকটি প্রবাহ শুরু হতে পারে, এমন আশঙ্কায় শুধু সুস্থ লোকজনকেই শহর ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

    চীনের অন্যান্য অংশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে জানুয়ারির শেষ দিকে ১ কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার শহরটি অবরুদ্ধ করে চীন। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উহানের ৫০ হাজারেরও বেশি লোক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল এবং এতে আড়াই হাজারেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়। সম্প্রতি নতুন আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে আসায় আরোপ করা কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করা শুরু হয়। হুবেই প্রদেশের এই রাজধানী শহরে গত ২১ দিনে নতুন নিশ্চিত সংক্রমণের মাত্র তিনটি ঘটনা ঘটেছে।

    উহানের তিয়ানহে বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু হওয়ার পর ১০ হাজারেরও বেশি ভ্রমণকারী শহরটি ছেড়েছেন। শিয়াংজিয়াং শহরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে উহানের হানকৌ রেল স্টেশনে সুটকেস নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পরিযায়ী শ্রমিক লিউ শিয়াওমিন বলেন, ‘আজ আমি বাড়িতে যাচ্ছি, আমি খুব খুশি।’ তবে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া উহানের বাসিন্দাদের তাদের আবাসিক এলাকা, শহর ও এমনকি প্রদেশও না ছাড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। উহান থেকে বেইজিংয়ে যাওয়া লোকজনকে দুই রাউন্ড ভাইরাস পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। কোনো ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়নি, এমন ভাইরাস বাহক ও বিদেশ থেকে আসা সংক্রমিতদের মাধ্যমে কোনো সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়ে যায় কি না, এমন উদ্বেগ থেকে কঠোর স্ক্রিনিং প্রটোকল মেনে চলছে চীন। লক্ষণ প্রকাশ হয়নি, এমন আক্রান্ত ও বিদেশফেরত আক্রান্তরাই এখন চীনের প্রধান উদ্বেগের বিষয়।

    এদিকে উহানে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হওয়া শুরু করলেও চীনের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত-প্রদেশ হেইলংজিয়াংয়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। সেখানে মঙ্গলবার ২৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এমন অবস্থায় সুইফেনহি শহরে উহানের মতো নাগরিকদের চলাচলে বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেখানকার এক বাসিন্দা প্রশ্ন করেছেন, সুইফেনহি একটি ছোটো শহর যেখানে কোনো আধুনিক হাসপাতাল নেই। এভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে এই শহরটি কীভাবে তা মোকাবিলা করবে।

    বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ছাড়াল

    বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

    জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৮৮ হাজার ৫৩৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ২৯ হাজার মানুষ। এদিকে বুধবারও করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নতুন করে মারা গেছেন ১ হাজার ৮৫০ জন। এছাড়া যুক্তরাজ্যেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে নতুন করে মারা গেছেন ৯৫০ জন।

    করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে মারা গেছেন ১৪ হাজার ৭৯৫ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১২৮ জন।

    গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হয়।

    জাপানের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজন

    জাপানের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা দিতে আরও বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসকের জরুরী প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন।

    গত বুধবার জাপানের নিবিড় পরিচর্যা চিকিৎসা সমিতির প্রদত্ত এক বিবৃতিতে, জার্মানি ও ইতালিতে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের প্রাণ হারানোর হারের পার্থক্যের উল্লেখ করা হয়।

    এতে, মার্চের শেষ নাগাদ পর্যন্ত জার্মানির মৃত্যুর হার ১.১ শতাংশ হলেও ইতালির মৃত্যুর হার ১১.৭ শতাংশ ছিল বলে উল্লেখ করা হয়। বিশেষজ্ঞরা, জার্মানির উন্নত মানের নিবিড় পরিচর্যা ব্যবস্থা এর কারণ বলে অনুমান করছেন।

    বিবৃতিতে, ইতালিতে জাপানের তুলনায় দ্বিগুণ বেশী প্রতি ১ লাখ জনের জন্য একটি নিবিড় পরিচর্যা শয্যা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

    এতে, গুরুতর রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে চলায় জাপানের হাসপাতালগুলোর নিবিড় পরিচর্যা বিভাগগুলো দ্রুত ভারাবনত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়।

    সমিতি, নিবিড় চিকিৎসা প্রদানের জন্য বর্তমানের চেয়ে সর্বোচ্চ চারগুণ বেশী নার্সের প্রয়োজন রয়েছে এবং ভেন্টিলেটর বা শ্বাস প্রশ্বাস ও হৃদ ক্রিয়ার সহায়তাকারী একমো যন্ত্র ব্যবহার করতে সক্ষম আরও বিপুল সংখ্যক চিকিৎসকের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানায়।

    এতে, সমগ্র জাপানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোর আনুমানিক সাড়ে ছয় হাজার শয্যার মধ্যে বর্তমানে করোনাভাইরাসে সংক্রমিতদের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে এমন মাত্র প্রায় ১ হাজার শয্যা রয়েছে এবং আরও যন্ত্রপাতি স্থাপনই এই সমস্যার সমাধান করবে না উল্লেখ করা হয়।

    সমিতিটি, মারাত্মক রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসক নিশ্চিত করার মত নিবিড় পরিচর্যা ব্যবস্থা বজায় রাখার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানায়।

    টোকিও’তে সংক্রমণের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে

    টোকিও মেট্রোপলিটন সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রসমূহ বলছে, আজ ১শ ৪৩টি নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। এই সংখ্যা টোকিও’তে দৈনিক সংক্রমণের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

    গতকালের ১শ ১৮ জনের পর উপর্যুপরি দু’দিন ১শ’র বেশি নতুন সংক্রমণ ঘটল।

    এর মাধ্যমে রাজধানীতে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ১ হাজার ৩৪’এ উন্নীত হয়েছে।

    টোকিওর কর্মকর্তারা লোকজনকে অনাবশ্যক কোন কাজে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য জোরালো আহ্বান জানিয়ে চলেছেন।

    আজ এনএইচকে’র একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে টোকিও’র গভর্নর কোইকে ইউরিকো বলেন, তিনি চাইছেন লোকজন যেন নিজেদের পাশাপাশি তাদের পরিবার এবং সমাজের সুরক্ষার জন্য নতুন পদক্ষেপ নিয়ে ভাবেন।

    টোকিও কর্মকর্তারা লোকজনের প্রতি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় বা চিকিৎসকের কাছে যাওয়া থেকে বিরত থাকার কোন অনুরোধ অবশ্য করেননি।

    তবে, তারা বলছেন, সংক্রমণের পথ অস্পষ্ট থাকা ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি তরুণদের মাঝেও সংক্রমণ বেড়ে চলেছে।

    এক্ষেত্রে, বাইরে যাওয়ার আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা সেটি বিবেচনায় নিয়ে নিজস্ব পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে অধিবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

    জাপানের প্রধান শহরগুলোর সড়কে লোকজনের স্বল্প উপস্থিতি

    করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্রুত বিস্তার হ্রাসের জন্য অধিবাসীদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহের আহ্বান জানানোর পর জাপানের প্রধান শহরগুলোর সড়কসমূহে আজ লোকজনের উপস্থিতি স্বাভাবিকের তুলনায় কম লক্ষ্য করা গেছে।

    টোকিও’র শিনজুকু এলাকায়, বৃহৎ ডিপার্টমেন্ট স্টোর এবং কাপড়ের দোকান সমূহ বন্ধ আছে। এছাড়া, কারাওকে পার্লারগুলোতে অস্থায়ী বন্ধের বিজ্ঞপ্তি ঝোলানো হয়েছে।

    শিনজুকু স্টেশনের পূর্ব দিকের বহির্গমন পথের সম্মুখে থাকা একটি চত্বর স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ক্রেতা এবং বন্ধুদের জন্য অপেক্ষমাণ ব্যক্তিদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে থাকলেও আজ সেটি কোলাহল মুক্ত ছিল।

    বয়স ২০’এর কোঠায় থাকা শিনজুকুর এক অধিবাসী বলেন, আজ লোকজনের এত স্বল্প উপস্থিতি বেশ অদ্ভুত মনে হয়েছিল। তিনি বলেন, একটি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ পত্র নেয়ার জন্য তিনি বের হয়েছিলেন এবং অবিলম্বে বাড়ি ফিরে যাবেন।

    পশ্চিম জাপানের ওসাকা দুর্গ পার্কে প্রায় ৩ হাজার চেরি গাছের পূর্ণ প্রস্ফুটন ঘটেছে। এই প্রস্ফুটনকে উদযাপন করতে এসময় সাধারণত বনভোজনের চাদর পেতে নানা পার্টিতে মেতে ওঠা লোকজনের ভিড়ে স্থানটি পরিপূর্ণ থাকে। তবে, এ বছর লোকজনকে সেটি না করার পরামর্শ দেয়া হয়। খুবই অল্প সংখ্যক দর্শনার্থী হেঁটে শান্তভাবে চেরি প্রস্ফুটন প্রত্যক্ষ করেছেন।

    বয়স ২০’এর কোঠায় থাকা এক জুটি বলেন, তারা আগামী মাসে নির্ধারিত তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান স্থগিত করার পরিকল্পনা করছেন। তারা বলেন, নিজেদের মধুচন্দ্রিমার ভ্রমণ বাতিল করে বিবাহের পোষাকে ছবি তোলার প্রত্যাশা নিয়ে তারা পার্কটিতে এসেছেন। তারা এও বলেন যে অতি দ্রুত ছবি তোলার কাজ শেষ করে তারা বাড়ি ফিরে যাবেন।

    এছাড়া, পার্কে চেরি ফুলের আলোকসজ্জাও এবার বাতিল করা হয়েছে।

    টোকিওতে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা ১শ ১০ ছাড়িয়ে গেছে

    টোকিও মহানগর সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো এনএইচকেকে, আজ করোনাভাইরাসে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ১শ ১৮টি বলে জানিয়েছে।

    উল্লেখ্য, এই প্রথমবারের মত একদিনে জাপানের রাজধানীতে সংক্রমণের সংখ্যা ১শ ছাড়াল। এখন টোকিওর মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৮শ ৯১তে পৌঁছেছে।

    টোকিও মহানগরের কর্মকর্তারা, পরপর ২য় সপ্তাহের মত সপ্তাহান্তে অনাবশ্যক ভাবে বাড়ির বাইরে যাওয়া পরিহার করতে লোকজনের প্রতি জোর আহ্বান জানান। তবে তাঁরা, দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কেনাকাটা বা চিকিৎসকের কাছে যাওয়া পরিহার করতে লোকজনদের অনুরোধ জানান নি।

    মহানগরের কর্মকর্তারা, সংক্রমণের উৎস অজানা থাকা লোকজনের সংখ্যা উর্ধ্বমুখি রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। আবার তরুণ লোকজনের মধ্যেও সংক্রমণ প্রতীয়মান হচ্ছে।

    তাঁরা, বাড়ির বাইরে যাওয়া অত্যাবশ্যক কিনা সেবিষয় নিজেরাই বিবেচনা করতে নগরবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান।

    কর্মকর্তারা, শহরের বিনোদন এবং প্রমোদ এলাকাগুলোতে বেশ কয়েকটি গুচ্ছ সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত করায় রাতের বেলা বাড়ির বাইরে যাওয়া পরিহার করতেও লোকজনের প্রতি আহ্বান জানান।

    তাঁরা, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তৃত হওয়া প্রতিরোধ করতে বদ্ধ জায়গা, জনবহুল এলাকা এবং ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ পরিহার করতে লোকজনদের সতর্ক করে দেন।

    জাপান করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশসমূহকে বিনামূল্যে অ্যাভিগান প্রদান করবে

    জাপান সরকার করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী বিস্তার লাভ করা দেশসমূহে জাপানের একটি রাসায়নিক কোম্পানির উদ্ভাবিত ফ্লু-রোধী ওষুধ অ্যাভিগান সরবরাহ করার পরিকল্পনা করেছে।

    নতুন করোনাভাইরাসের উপসর্গের চিকিৎসায় সম্ভাব্য ব্যবহারের লক্ষ্যে অ্যাভিগান ওষুধের কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা যাচাই করে দেখার জন্য বর্তমানে জাপানে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

    চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি সুগা ইয়োশিহিদে শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, সরকার এখন পর্যন্ত এই ওষুধটির জন্য প্রায় ৩০টি দেশ থেকে অনুরোধ পেয়েছে।

    সুগা বলেন, সরকার অ্যাভিগান ওষুধটির ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা আরও ব্যাপক পরিসরে করে দেখার পরিকল্পনা করছে এবং এর পাশাপাশি অনুরোধ জানানো দেশগুলোর সাথে আলোচনাও চালিয়ে যাচ্ছে।

    তিনি এও বলেন, সরকার বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণ ওষুধ অনুরোধ জানানো প্রতিটি দেশকে সরবরাহ করবে।

    জাপান দেশে প্রবেশের বিধিনিষেধ আরও কঠোর করে নিচ্ছে

    জাপান করোনাভাইরাস মোকাবিলার এক প্রচেষ্টা হিসেবে শুক্রবার থেকে দেশে প্রবেশের বিধিনিষেধ আরও কঠোর করে নিয়েছে।

    সরকার বিশ্বের যেকোন অংশ থেকে জাপানে এসে পৌঁছানো সবাইকে দু’সপ্তাহের জন্য বাড়ি, হোটেল বা অন্য কোন স্থানে নিজেকে স্ব-কোয়ারেন্টাইন করে রাখার আহ্বান জানাচ্ছে। ভ্রমণকারীদের এইসব স্থানে যাওয়ার জন্য গণ-পরিবহণ ব্যবস্থার ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এই ব্যবস্থা চলতি মাসের শেষ নাগাদ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

    সরকার জাপানে প্রবেশ করতে না পারা নাগরিকদের দেশ ও ভূখণ্ডের তালিকাও ব্যাপক মাত্রায় সম্প্রসারিত করে ৭৩-এ উন্নীত করে নেয়। জাপানে প্রবেশের আগের দু’সপ্তাহ এইসব স্থানে ভ্রমণ করা বিদেশি নাগরিকদেরও বর্তমানে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
    এই তালিকায় নতুন করে সংযুক্ত হওয়া দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং বৃটেন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, ইউরোপের প্রায় সমস্ত এলাকা থেকে আসা লোকজনকে জাপানে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এই তালিকায় চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পুরো এলাকাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

    এই ৭৩টি দেশ ও ভূখণ্ড থেকে দেশে ফেরা জাপানিদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ দেখা দিলেও বা না দিলেও পরীক্ষা করা হবে।

    এই একই ব্যবস্থা বিদেশি নাগরিকদের জন্যও কার্যকর হবে যারা জাপানি স্বামী বা স্ত্রী থাকার মত বিশেষ কারণে জাপানে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।

    টোকিওতে কোরোনাভাইরাসে আক্রান্তদের বড় অংশ তরুণ প্রজন্মের

    টোকিওতে নতুন কোরোনাভাইরাস বিস্তার সংক্রান্ত উপাত্ত থেকে দেখা গেছে যে সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত বলে জানা যাওয়া লোকজনের বড় এক অংশ হল তরুণ প্রজন্মের।

    সাম্প্রতিক দিনগুলোতে কোরোনাভাইরাস বিস্তারের ঘটনা জাপানের রাজধানীতে বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্চ মাসের ২৫ তারিখ ৪১ জন রোগে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করা হয়েছিল এবং তখন থেকেই সংক্রমণের দৈনন্দিন সংখ্যা ওঠানামা করছে। মঙ্গলবার এই সংখ্যা ৭৮-এ এবং বুধবার ৬৬ তে উন্নীত হয়েছিল।

    এই সময়ের মধ্যে সংক্রমিত ৪১৬ জনের মধ্যে বেশিরভাগের বয়স হল তিরিশের কোঠায় বলে এনএইচকে জানতে পেরেছে। আক্রান্তদের সংখ্যা হল ৮৯। বিশের কোঠায় বয়সের ৬৩ জন এবং ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সের ৮ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত। ১০ বছরের চেয়ে কম বয়সীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা হল ৪।

    ৪০ এর নীচে বয়স, এমন তরুণ লোকজনের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা হল ১৬৩ যা হল মোট সংখ্যার ৪০ শতাংশ।

    টোকিও পৌরসভা সরকারের কর্মকর্তারা বলছেন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেখতে পাওয়া সংক্রমণ হতে পারে শুধুমাত্র আগাম সঙ্কেত। দ্রুত সংক্রমণ শনাক্ত করার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন তাঁরা যাতে করে বয়স্ক লোকজন এতে সংক্রমিত না হন কেননা এঁদের ক্ষেত্রে গুরুতর ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি।

    সতর্কতার সাথে চলাফেরার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি তাঁরা আহ্বান জানিয়েছেন।

    কোরোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা শিগগিরি ১০ লক্ষে পৌঁছাবে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কোরোনাভাইরাসে নিশ্চিত করে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষে এবং মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজারে গিয়ে পৌঁছাবে। বুধবার জেনিভাতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার মহাপরিচালক টেডরস আডহানম ঘেব্রিয়েসাস বক্তব্য রাখছিলেন।

    চীনা কর্তৃপক্ষ সংস্থার কাছে সংক্রমণের প্রথম ঘটনাটি জানানোর পর থেকে তিন মাস অতিবাহিত হয়েছে।

    টেডরস বলেন, দ্রুত ভাইরাসের বিস্তার বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়া বিষয়ে তিনি গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন।

    বেশিরভাগ দেশই তাদের জনগণের প্রতি বাড়িতে থাকার আবেদন জানানোর ফলে ঝুঁকিপূর্ণ লোকজনের কাছে যেন খাদ্য এবং জীবণযাত্রার জন্য অপরিহার্য সামগ্রী যোগান দেয়া হয় তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে তিনি দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    কোন উপসর্গ নেই অথচ ভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষার ফল ইতিবাচক, চীন বুধবার থেকে এমন লোকজনের হিসাব প্রকাশ করা শুরু করেছে। তবে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে কত সংখ্যক লোকজনের মধ্যে এমন অবস্থা নিশ্চিত করা গেছে তা নিয়ে কোন তথ্য তারা উন্মোচন করেনি।

    সংবাদ সম্মেলনের সময় চীনের অবস্থান নিয়ে অনেক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি কর্মসূচির প্রযুক্তিগত প্রধান মারিয়া ভ্যান কারখোভে বলেন, সংস্থার সংজ্ঞা অনুযায়ী উপসর্গ থাকুক কি না থাকুক তা বিবেচনা না করে ভাইরাস পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল এলেই সেটা কোরোনাভাইরাস সংক্রমণ বলে গণ্য করা হচ্ছে। তবে চীনের পরিসংখ্যান প্রণয়ণের বিষয়টি যথাযথ কিনা সে বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।