• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • চরম দারিদ্র্য’র মুখে পড়তে পারে ৬ কোটি মানুষ: বিশ্ব ব্যাংক

    করোনা ভাইরাস মহামারিতে ৬ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্য’র মুখে পড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস। যেসব মানুষের দৈনন্দিন আয় ১ দশমিক ৯০ ডলারের কম, তাদেরকেই ‘চরম দরিদ্র’ বলে বিবেচনা করে থাকে বিশ্ব ব্যাংক।

    সতর্কতা বার্তা দিয়ে মঙ্গলবার বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে চাকরি হারাচ্ছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে লোকসান হচ্ছে, গরিব দেশগুলো বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

    তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জীবিকা বন্ধ হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। আমাদের হিসাব অনুযায়ী, এ পরিস্থিতি ৬ কোটি মানুষকে চরম দারিদ্র্যের মুখে ঠেলে দেবে। গত তিনবছরে দারিদ্র্য বিমোচনে যে অগ্রগতি হয়েছিল তা মুখ থুবড়ে পড়বে।

    করোনা ভাইরাস ঠেকাতে হিমশিম এই বিশ্বে এবছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানান মালপাস।

    ওসাকা দুর্গের প্রধান দালান খুলে দেয়া হল

    করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রায় তিন মাস বন্ধ রাখার পর ওসাকা দুর্গের প্রধান দালানটি দর্শকদের সামনে খুলে দেয়া হয়েছে।

    বুধবার সকালে দালানের ফটক উন্মুক্ত করার সময় ড্রামের আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। দর্শনার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে দেখেন কর্মীরা এবং সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে তা শনাক্তকরণের লক্ষ্যে তাদের নাম এবং ঠিকানা লিখতে বলেন।

    পর্যবেক্ষণ ডেকে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার সময় দূরত্ব বজায় রেখে টেপ দিয়ে দাগ করে রাখা জায়গাগুলোতে দর্শনার্থীরা দাঁড়ান।

    ষাটের কোঠার বয়সী ওসাকার এক ব্যক্তি বলেন যে তিনি দালানটি খোলার অপেক্ষায় ছিলেন। প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে করতে তিনি বলেন যে এটি তাকে আবারো সতেজ করে তুলতে সাহায্য করছে।

    ওসাকা দুর্গের যাদুঘরের পরিচালক কিতাগাওয়া হিরোশি বলেন, দুর্গটি বন্ধ রাখার সময়সীমা তার প্রত্যাশার থেকে বেশি ছিল। অধিক সংখ্যক দর্শনার্থীদের তিনি অভ্যর্থনা জানাতে চান উল্লেখ করে বলেন যে ওসাকার ইতিহাস জানার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়েও তারা যেন মনোযোগ দেন তা তিনি এখন দেখতে চান।

    যুক্তরাষ্ট্রে আশা জাগাচ্ছে করোনার ভ্যাকসিন

    যুক্তরাষ্ট্রে বায়োটেক কোম্পানি মডার্নার তৈরি একটি ভ্যাকসিন আশা আলো দেখাচ্ছে। যাদের শরীরে এটি প্রয়োগ করা হয়েছিল তাদের কাছ থেকে পাওয়া প্রাথমিক ফল ভালই বলে জানা গেছে।

    ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ক্যামব্রিজ ভিত্তিক কোম্পানি মডার্নার চিফ মেডিক্যাল অফিসার ড. টাল জ্যাকস বলেন, যদি ভবিষ্যতে ফল ভালো আসে তাহলে জানুয়ারিতে বাজারে ভ্যাকসিনটি পাওয়া যাবে।

    প্রথম পর্যায়ে মানবদেহে চিকিৎসায় ভাল কাজ করেছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ভালভাবেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আটটি ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে তিনটিই যুক্তরাষ্ট্রের। একটি ব্রিটেনের অক্সফোর্ডের এবং চারটি চীনের। -সিএনএন

    টোকিও ও ওসাকা’র সংক্রমণ উপাত্তের উপর মনোযোগ দিবে জাপান সরকার

    টোকিও এবং ওসাকায় সংক্রমণ ঘনিষ্ঠভাবে বিশ্লেষণের মধ্যে দিয়ে বাকি আটটি জেলার উপর থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেয়া হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে জাপান সরকার।

    উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসের ৭ তারিখ প্রথম জরুরি অবস্থা জারি করে সরকার। আর গত বৃহস্পতিবার ৩৯টি জেলা থেকে সেটি তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয় তারা।

    আগামী বৃহস্পতিবারের দিকে আটটি জেলার উপর থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেয়া হবে কিনা, সেটি নির্ধারণের জন্য সরকার একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মতামত জানতে চাওয়ার পরিকল্পনা করছে।

    জরুরি ঘোষণাটি এখনও টোকিও এবং এর আশেপাশের পূর্বদিককার জেলা সাইতামা, চিবা ও কানাগাওয়া’র পাশাপাশি উত্তরের জেলা হোক্কাইদো এবং পশ্চিমের প্রতিবেশী জেলা ওসাকা, কিয়োতো এবং হিয়োগো’র উপর বলবৎ রয়েছে।

    সরকার সংশ্লিষ্ট দুই অঞ্চলের উপর থেকে জরুরি অবস্থা কবে তুলে নেয়া হবে সেটি বিবেচনার জন্য টোকিও ও ওসাকা’র সংক্রমণ পরিসংখ্যানের উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    সরকার সংশ্লিষ্ট আটটি জেলার লোকজনকে সংক্রমণ প্রতিরোধে বাড়ির অভ্যন্তরে থাকার পাশাপাশি অন্যান্য পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানাচ্ছে। এছাড়া, অন্যান্য অঞ্চলের অধিবাসীদেরও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছে তারা।

    প্রথম ত্রৈমাসিকে জাপানের জিডিপি’র ৩.৪ শতাংশ সংকোচন

    জানুয়ারি থেকে মার্চ ত্রৈমাসিকে জাপানের জিডিপি বা মোট দেশজ উৎপাদনের বড় ধরনের হ্রাসের মধ্যে দিয়ে করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারী একটি উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রভাব রাখা অব্যাহত রেখেছে।

    মন্ত্রিপরিষদ দপ্তর বলছে, এর পূর্ববর্তী ত্রৈমাসিক হতে বার্ষিক ৩.৪ শতাংশ হারে প্রকৃত জিডিপি সংকুচিত হয়েছে। এটি টানা দ্বিতীয় সংকোচন।

    জাপানের জিডিপির অর্ধেকেরও বেশি স্থান দখল করা ব্যক্তিগত ভোক্তা ব্যয় ০.৭ শতাংশ কমেছে। লোকজন বাইরে গিয়ে আহার এবং পর্যটন কার্যক্রম থেকে বিরত থেকেছে। গাড়ি বিক্রিও বেশ তীক্ষ্ণভাবে হ্রাস পেয়েছে।

    বৈশ্বিকভাবে অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ায় রপ্তানি ৬ শতাংশ কমেছে। আবাসন বিনিয়োগ হ্রাস পেয়েছে ৪.৫ শতাংশ যখন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগও কমেছে ০.৫ শতাংশ।

    এদিকে, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে অর্থনীতি বৈশ্বিক মহামারীর কারণে আরও বড় ধরনের ধাক্কা খাবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

    জাপানের তরুণেরা শহরের বাইরে কাজ খুঁজছেন

    জাপানের একটি কর্মসংস্থান তথ্য সেবা কোম্পানি বলছে, চলমান করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারী শুরু হওয়ার পর ক্রমবর্ধমান সংখ্যক শহরে বসবাসরত তরুণ কর্মী নগর এলাকা থেকে দুরে কাজের প্রত্যাশা করছেন।

    গাকুজো কোম্পানি বয়স বিশের কোঠায় থাকা নতুন কাজ খোঁজা তরুণদের উপর চালানো এক জরিপে জানতে চায় এই প্রাদুর্ভাব তাদের উপর কিভাবে প্রভাব ফেলছে। এপ্রিল মাসের ২৪ তারিখ থেকে মে মাসের ১ তারিখ পর্যন্ত অনলাইনে এই জরিপ চালানো হয়। প্রায় ৩শ ৬০ ব্যক্তি এতে সাড়া দেন।

    তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ জানায় যে তারা গ্রামীণ এলাকায় কাজ করতে চান। এটি ফেব্রুয়ারি মাসে পরিচালিত এর পূর্বের সমীক্ষার চাইতে প্রায় ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি।

    এর কারণ জানতে চাওয়া হলে কেউ কেউ বলেন, বাড়ি থেকে কাজ করার সময় তারা এটি অনুধাবন করেছেন যে তারা যে কোন স্থান থেকেই কাজ করতে সমর্থ হবেন।

    অন্যদের মতে, নগর এলাকায় কাজ তাদের কাছে খুব ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়েছে। আর অন্যরা বলেছেন, তারা তাদের নিজ শহরে ফিরে যেতে চান।

    কোম্পানি কর্মকর্তারা বলছেন, সংক্রমণ রোধে লোকজনের প্রতি জানানো আন্তঃজেলা সীমানা অতিক্রম না করার অনুরোধ তুলে নেয়ার পর আরও বেশি সংখ্যক তরুণ কাজের জন্য আঞ্চলিক এলাকার দিকে যাবে।

    জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পরও সতর্ক থাকার আহ্বান

    জাপান সরকার, দেশের অধিকাংশ জেলা থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পরও করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রাখতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

    উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার, টোকিও ও ওসাকা সহ অন্যান্য ৮টি জেলা ছাড়া অবশিষ্ট ৩৯টি জেলা থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

    তবে গত শুক্রবার, জরুরি অবস্থা বিরাজমান থাকা ৮টি জেলাতেও একদিন আগের তুলনায় বেশি সংখ্যক লোকজনকে বাইরে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।

    শনিবার অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন বিষয়ক মন্ত্রী নিশিমুরা ইয়াসুতোশি, দৃশ্যত লোকজনের মধ্যে কিছুটা প্রসন্নতা প্রত্যক্ষ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

    তিনি, দক্ষিণ কোরিয়া ও জার্মানিতে প্রতীয়মান হওয়া পরিস্থিতির মত প্রথমবারের সদৃশ সংক্রমণের ২য় ঢেউ আসার সম্ভাবনা থাকার বিষয়েও সতর্কতা উচ্চারণ করেন।

    সরকার আগামী বৃহস্পতিবার অবশিষ্ট ৮টি জেলা থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পরিকল্পনা বিবেচনা করায় সংক্রমণের ঘটনার পুনরুত্থানের সম্ভাবনা পর্যবেক্ষণ করছে।

    সরকার, বিশেষ করে নাইটক্লাব, লাইভ সঙ্গীতানুষ্ঠান, কারাওকে পারলার এবং স্পোর্টস জিমসহ অন্যান্য স্থানে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানোরও ইচ্ছা পোষণ করছে।

    অনেক এলাকা থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নিচ্ছে জাপান

    জাপান সরকার সারা দেশ জুড়ে জারী করা জরুরি অবস্থা দুই তৃতীয়াংশের বেশি জেলা থেকে মূল পরিকল্পনার দু’সপ্তাহ আগে তুলে নিচ্ছে।

    জাপানের সবগুলো জেলা প্রায় এক মাস ধরে জরুরি অবস্থার আওতাধীনে আছে।

    টোকিও, ওসাকা এবং অন্য ছয়টি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় জরুরি অবস্থা বহাল থাকবে।

    মহামারী শেষ হওয়ার আগে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে: ডব্লিউএইচও

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘ সময় লেগে যাবে বলে সতর্ক করে দেয়ার পাশাপাশি নতুন সংক্রমণের ঘটনা শনাক্তকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা রাখার জন্য তাদের জানানো আহ্বানের পুনরাবৃত্তি করেছে।

    ভাইরাসটির বিস্তার রোধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য ক্রমবর্ধমান সংখ্যক দেশ যেখানে পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে, এমন এক পরিস্থিতির মুখে ডব্লিউএইচও’র জরুরি স্বাস্থ্য কর্মসূচীর নির্বাহী পরিচালক মাইকেল রায়ান বুধবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছিলেন।

    রায়ান উল্লেখ করেন যে অল্প পরিমাণে ভাইরাসটির পুনরাবর্তন দেখা দিলেও তা মোকাবেলায় জনস্বাস্থ্য বিভাগের গুরুতর রকমের প্রতিক্রিয়ার প্রয়োজন হতে পারে, যেমনটি কয়েকটি দেশে দেখা যাচ্ছে।

    ভাইরাসটির উপস্থিতি হয়তো মানবসমাজে সবসময় থেকে যাবে এবং কখনোই সেটা উধাও হয়ে যাবে না, এমন সম্ভাবনা রয়েছে বলে রায়ান উল্লেখ করেন।

    প্রতিষেধক টিকা উন্নয়নে আর্ন্তজাতিক সহযোগিতার গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন যে এইচআইভি ভাইরাস উধাও হয়ে যায়নি। তবে চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা খুঁজে পাওয়ার কারণে ভাইরাসটি আগের মত লোকজনের মধ্যে আর ভীতির সঞ্চার করে না।

    অ্যামাজন থেকে আসতে পারে পরবর্তী মহামারি ভাইরাস!

    বিশ্বের পরবর্তী মহামারি ভাইরাস অ্যামাজন বন থেকে আসতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন ব্রাজিলের পরিবেশবিদ ডেভিড লাপোলা। ডেভিড লাপোলা মনে করেন প্রাণীর আবাসস্থলে মানুষের আক্রমনের কারণেই করোনা ভাইরাসের সৃষ্টি হয়েছে। আর অ্যামাজনে যেভাবে বন উজার করা হচ্ছে এতে অচিরেই আরেকটি মহামারি দেখা দিতে পারে বলে জানান ডেভিড লাপোলা।

    গবেষকরা বলছেন, বন্য অঞ্চলে নগরায়ন করলে প্রাণী থেকে বিভিন্ন রোগ মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, বাদুড়ের মধ্যেই নতুন করোনা ভাইরাসের সৃষ্টি হয়েছিল। যা অন্য কোন প্রাণীর মাধ্যমে মানুষের দেহে পৌঁছেছে।

    পরবর্তী মহামারি ভাইরাসের বিষয়ে পরিবেশবিড ডেভিড লাপোলা বলেন, অ্যামাজন অনেক বিশাল ভাইরাসের ঘাঁটি। আপনি যখন পরিবেশগত বৈষম্য তৈরি করবেন তখনই একটি ভাইরাস সামনে চলে আসতে পারে। আমাদের উচিৎ হবে আমাদের ভাগ্যকে পরীক্ষা না করা।

    জানা গেছে, গত বছর অ্যামাজনের ব্রাজিলিয়ান অংশে বন উজার করার হার বেড়েছে ৮৫ শতাংশ। ব্রাজিলিয়ান অ্যামাজনের ওই অংশে গত বছর প্রায় ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার বন উজার করা হয়েছে। যা আকারে প্রায় লেবাননের সমান।

    ব্রাজিল ন্যাশনাল স্পেস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত অ্যামাজনের ব্রাজিলিয়ান অংশের ১ হাজার ২০২ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় বন উজার করা হয়েছে। এএফপি।

    বিশেষ সতর্ক এলাকায় জরুরি অবস্থা আংশিকভাবে শেষ হতে পারে

    জাপান সরকার জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার সময় দেশের অবশিষ্ট অংশের সাথে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মুখে বিশেষ সতর্ক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত ১৩টি জেলার কয়েকটিকে অন্তর্ভুক্ত রাখা বিবেচনা করে দেখছে।

    বর্তমানে নির্ধারিত সময়সীমা চলতি মাসের ৩১ তারিখে জরুরি অবস্থার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগে তা তুলে নেয়া নিয়ে আলোচনা করার জন্য সরকারের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল বৃহস্পতিবার বৈঠকে মিলিত হবে। গত দু’সপ্তাহে প্রতি এক লক্ষ জনের মধ্যে নতুন সংক্রমণের সংখ্যার মত বিভিন্ন উপাদান প্যানেল বিবেচনা করে দেখবে।

    ১৩টি বিশেষ সতর্ক এলাকার বাইরের ৩৪টি জেলার সবকয়টি থেকে জরুরি অবস্থা সরকার তুলে নেবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। একই সাথে ১৩টি জেলার মধ্যে কয়েকটি; বিশেষত আইচি, ফুকুওকা, ইবারাকি, ইশিকাওয়া এবং গিফু জেলাকেও এতে অন্তর্ভুক্ত করা সরকার বিবেচনা করে দেখছে।

    টোকিও এবং প্রতিবেশী জেলাগুলোতে, প্রচুর সংখ্যক যাত্রীর নিয়মিতভাবে ওসাকা ভ্রমণ করা হিওগো জেলা এবং নতুন সংক্রমণ দেখা দেয়া এখনও অব্যাহত থাকা হোক্কাইদো জেলায় জরুরি অবস্থা অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

    প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারের আরেকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে পর্যন্ত এসব এলাকার লোকজনকে এখনও বাড়িতে থাকতে বলা হবে।

    এশিয়ায় সর্বোচ্চ ঝুঁকির দিকে বাংলাদেশ

    বিশ্ব জুড়ে এখন সবচেয়ে বড়ো আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গত সাত দিনে ৪২ হাজার ২৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে সংক্রমিত হন ৫ হাজার ৭৩১ জন। এক সপ্তাহে আক্রান্তের হার ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ।

    তবে এই হার এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমই। কারণ এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ৪০ শতাংশ, চতুর্থ সপ্তাহে এই হার ছিল ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আর এপ্রিলের শেষ সাত দিনে এই হার ছিল ১২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম ‘করোনা’ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মেলে। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। দেশে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৬৬০ জন।

    গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৩৮টি ল্যাবে ৬ হাজার ৭৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সংক্রমিত হয়েছেন ৯৬৯ জন। ১১ মে সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৭টি ল্যাবে ৭ হাজার ২০৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে রেকর্ড ১ হাজার ৩৪ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত ১০ মে সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৭৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৮৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হন। গত ৯ মে সকাল ৮টা পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয় ৫ হাজার ৪৬৫টি নমুনা। এর মধ্যে ৬৩৬ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ৮ মে সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৯৪১টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৭০৯ জনের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ৭ মে সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৮৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সংক্রমিত হন ৭০৬ জন। গত ৬ মে সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ২৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আক্রান্ত শনাক্ত হন ৭৯০ জন। গত ৫ মে সকাল ৮টা পর্যন্ত ৫ হাজার ৭১১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৮৬ জন সংক্রমিত শনাক্ত হন। দেশে প্রথম করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হওয়ার দুই মাস চার দিন পূর্ণ হয়েছে গতকাল। বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা যেমন ছিল, বাংলাদেশেও একই রকম প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে, বাড়ছে সংক্রমণের পরিমাণ। শুধু তাই নয়, গত দুই সপ্তাহের কোনো দিনই নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ৫০০-এর নিচে ছিল না। গত ১১ মে রেকর্ড ১ হাজার ৩৪ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। দেশে প্রথম সংক্রমণের দুই মাস তিন দিনের মাথায় এক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২১ জানুয়ারি। দেশটিতে ৫৬ দিনের মাথায় প্রথম এক দিনে হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়। স্পেনে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ৩১ জানুয়ারি। দেশেটিতে ৪১ দিনের মাথায় প্রথম এক দিনে হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, চলতি মে মাসের আরো ১৮ দিন বাকি আছে। করোনার অবস্থা বুঝতে জুন মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন বলেন, করোনা ভাইরাস এ পর্যন্ত নয়বার চরিত্র পরিবর্তন করেছে। এ কারণে বিশ্বের গবেষকেরা এর টিকা বের করতে পারেননি। টিকা বের হওয়া অনিশ্চিত। এর কোনো ওষুধ নেই। আগামী জুন মাস না গেলে দেশের অবস্থা বোঝা যাবে না। পরীক্ষা যত বাড়ছে, আক্রান্তের সংখ্যা তত বাড়ছে। মে মাস ক্রিটিক্যাল হবে।

    ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. খান মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগামী জুন মাস কীভাবে যাবে বলা মুশকিল। মানুষের আচরণ দেখে বোঝা যায় সংক্রমণের সংখ্যা আরো বাড়বে। দেশের মানুষের সবকিছুতেই এলোমেলো ভাব। মানুষ আড্ডা দিতে পছন্দ করে। নিয়ম মানতে চায় না। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছে না অনেকেই। তিনি বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের তুলনায় যেহেতু দেশে চিকিত্সার ব্যবস্থা নেই, তাই সবারই উচিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। নইলে সামনে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, নমুনা পরীক্ষার মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২ ভাগ সংক্রমিত হন। করোনায় বেশি আক্রান্ত ঢাকা বিভাগে। মোট আক্রান্তের ৮৩ ভাগই ঢাকায়। এরপর পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগ রয়েছে।

    বৃহস্পতিবার জাপানে বিধিনিষেধ আংশিকভাবে তুলে নেয়া হতে পারে

    দেশের কিছু অংশে নির্ধারিত সময়ের আগেই জরুরি অবস্থা তুলে নেয়া হবে কিনা আগামী বৃহস্পতিবার সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার পরিকল্পনা করছে জাপান সরকার।

    করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসা ৩০টিরও বেশি জেলায় বিধিনিষেধ শিথিল করা হতে পারে।

    প্রধানমন্ত্রী আবে শিনযো গতকাল সাংবাদিকদের বলেন যে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সাথে পরামর্শ করার পর তিনি এ সম্পর্কে একটি ঘোষণা দিবেন।

    সংক্রমণ রোধ এবং অর্থনীতি খুলে দেয়ার মাঝে একটি ভারসাম্য বজায় রাখতে সরকারকে সহায়তা করার জন্য এই প্যানেলে এখন থেকে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও অন্তর্ভুক্ত হবেন।

    উল্লেখ্য, গত মাসের ৭ তারিখ সরকার টোকিও’সহ আরও ছয়টি জেলায় জরুরি অবস্থার ঘোষণা দেয়। পরে এটি দেশব্যাপী বিস্তৃত করে নেয়া হয় এবং চলতি মাসের ৩১ তারিখ সেটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

    তবে, টোকিও’সহ অন্যান্য ১৭টি জেলায় বিধিনিষেধ বহাল থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    গতকাল রাজধানীতে ১৫টি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। গভর্নর কোইকে ইউরিকো অধিবাসীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “জাপান এবং বিদেশের উদাহরণের দিকে তাকালে আমরা ঠিক জানিনা যে কখন আবার দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের ঢেউ উঠবে।”

    করোনাভাইরাসে মৃতদের ৩০ শতাংশের মৃত্যু ঘটেছে পরিচর্যা গৃহে: যুক্তরাষ্ট্র

    বয়োবৃদ্ধ নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য নার্সিং হোম বা পরিচর্যা গৃহগুলোর জন্য নতুন নিয়ম চালু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। দেশটিতে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যার ৩০ শতাংশেরও বেশি বর্ধিত পরিচর্যা গৃহগুলোতে হওয়ার কারণে এই পদক্ষেপ নেয়া হল।

    গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ঘটা মোট মৃত্যুর প্রায় ৩৮ শতাংশ বা প্রায় ২৫ হাজার মৃত্যু পরিচর্যা গৃহগুলোতে হওয়ার খবর জানিয়েছে স্বাস্থ্য সেবার পরিসংখ্যান রাখা একটি মার্কিন সংস্থা। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে এখন মৃতের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ।

    গভর্নর এন্ড্রু কুওমো রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন যে সর্বপ্রথম অগ্রাধিকার হল পরিচর্যা গৃহের লোকদের সুরক্ষা দেয়া।

    সকল পরিচর্যা কেন্দ্রের কর্মীদের সপ্তাহে দু’বার করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরীক্ষা করানোর অনুমতি দেয়া একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন কুওমো।

    সংক্রমিত ব্যক্তিদের আলাদা করে রাখা বা আরও বেশি সংক্রমণ রোধের যথেষ্ট সক্ষমতা না থাকা স্থাপনাগুলোকে অবশ্যই সেখান থেকে অধিবাসীদের অন্য স্থাপনায় সরিয়ে নিতে হবে।

    এই নির্বাহী আদেশ না মানলে সংশ্লিষ্ট পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোর কাজের লাইসেন্স স্থগিত বা প্রত্যাহার করে নেয়া হতে পারে।

    উল্লেখ্য, শুধুমাত্র নিজেদের আপনজনকে চিরবিদায় জানানো ব্যতিরেকে পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকা অধিবাসীদের সাথে তাদের পরিবারের সাক্ষাৎ বর্তমানে নিষিদ্ধ করেছে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য।

    জুলাই মাসে করোনাভাইরাসের টিকার পরীক্ষা শুরু হতে পারে: জাপানের প্রধানমন্ত্রী

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে শিনযো বলেছেন, দেশে করোনাভাইরাসের একটি টিকার ক্লিনিকাল বা মানবদেহে প্রয়োগের পরীক্ষা দ্রুত হলে আগামী জুলাই মাসে শুরু হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

    সোমবার সংসদের নিম্ন কক্ষের বাজেট কমিটিতে আবে এই তথ্য উন্মোচন করেন।

    তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই মানবদেহে টিকার পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে।

    আবে বলেন, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়, ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় সংক্রামক রোগ ইন্সটিটিউট’সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে টিকার উন্নয়ন কাজ চলছে।

    আবে বলেন, সারা বিশ্বের প্রজ্ঞাকে একত্রিত করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে টিকা কর্মসূচি শুরুর প্রত্যাশা তিনি করেন।

    তিনি এটিও পুনর্ব্যক্ত করেন যে চলতি মাসের শেষ নাগাদ কোভিড-১৯’এর চিকিৎসায় ফ্লু-রোধী ওষুধ এভিগানের অনুমোদন দেয়ার লক্ষ্য ধরে নিয়েছে সরকার।