• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • ব্রিটেনে প্রথমবারের মতো ‘বিচারক’ হলেন হিজাবধারী মুসলিম নারী 

    প্রথমবারের মতো একজন হিজাবধারী মুসলিম নারী ব্রিটেনের বিচারকের আসনে বসেছেন। ৪০ বছর বয়সী হিজাবধারী ওই মুসলিম জজের নাম রাফিয়া এরশাদ। তিনি তরুণ মুসলিমদের জানাতে চান যে, যদি তারা মনে করেন তাহলে সব কিছুই অর্জন করা সম্ভব।

    রাফিয়ার বয়স যখন ১১ বছর তখন থেকেই তিনি নিজেকে একজন বিচারক বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তখন প্রশ্ন উঠেছিল, তার মতো একজন সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের মুসলিম মেয়ের পক্ষে সেই ইচ্ছা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে তো? কিন্তু মাত্র ৩০ বছরের মধ্যেই তিনি একজন ব্যারিস্টার হয়েছেন এবং সেই সঙ্গে গত সপ্তাহে দেশটির মধ্য-ভূমিতে একজন উপজেলা জজ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

    তিনি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম মেট্রেকে বলেন, আমি একজন নারী হয়ে বিচারক হয়েছি, শুধু মুসলিম নারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা তা নয় বরং এটি সব নারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবুও এটি মুসলিম নারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি আমার অর্জন নিয়ে আনন্দিত। কিন্তু আমি তার চেয়ে বেশি আনন্দিত যখন আমি অন্যদের সঙ্গে আমার এই দীর্ঘ পথচলার বিষয়টা শেয়ার করতে পারি।

    তিনি বলেন, এটা ওইসব হিজাবধারী নারীদের বের করে আনতে সহায়তা করবে, যারা কিনা একজন জজ হওয়া তো দূরের কথা, একজন ব্যারিস্টার হওয়ার কথাও কল্পনা করতে পারেন না।

    ২০০১ সালে আইনের স্কুলে ভর্তি পরীক্ষায় ভাইবা দেওয়ার সময় তার পরিবারের লোকেরা তাকে হিজাব পড়তে বারণ করেছিলেন। যা তিনি জজ হিসেবে যোগদানের পর বর্ণনা করলেন। রাফিয়ার পরিবার বলেছিল যে, যদি সে হিজাব পড়ে তাহলে তার ভর্তির সুযোগ নাটকীয়ভাবে কমে আসতে পারতো। কিন্তু রাফিয়া তার পরিবারের এই চাপকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।

    তিনি বলেন, আমি এটি পড়ি আমার জন্য। কিন্তু অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে অন্যরা এটা কতটা গ্রহণ করছে। ভাইবায় যাওয়ার সময় ভেবেছিলাম যদি আমার পেশার জন্য আমাকে এই হিজাব পড়া থেকে বিরত থাকতে হয় তাহলে আমি তা চাই না। তাই আমি হিজাব পড়েই ভাইবা দিয়েছিলাম এবং সফল হয়েছিলাম। এবং আমাকে যথেষ্ট বৃত্তি দেওয়া হয়েছিল। আমি মনে করি এটা আমার ক্যারিয়ারের জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন। এটি দৃঢ় হয়ে উঠেছিলো যে, হ্যাঁ আমি পারবো।

    লন্ডনে প্রশিক্ষণ শেষ করে ২০০৪ সালে রাফিয়া নটিংহামে এস.টি ম্যারি,র পারিবারিক আইন চেম্বারে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ শুরু করেন। প্রায় ১৫ বছর যাবত তিনি ব্যক্তিগত ল চেম্বারের জোর করে বিয়ে, ইসলামিক আইনের কোনো কেস, নারী নির্যাতনের উপর চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই কারণে ইসলামি পারিবারিক আইনের একজন দক্ষ নেতৃত্বদানকারী আইনজীবী হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তিনি বলেন আমার সফলতার পরেও অনেকেই কোর্টে আমাকে প্রশ্ন করতেন আমি একজন ক্লাইন্ট কি না? আমি উত্তর দিতাম না। আবার প্রশ্ন করতো, তাহলে আপনি একজন দোভাষী? তখনও উত্তরে বলতাম না, আমি সেটাও নই। আবারও বলতো, আপনি এখানে কাজের অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য এসেছেন? আমি তখনও বলতাম না। আমি আসলে একজন ব্যারিস্টার। আসলে আমার ওই ব্যক্তির প্রতি কোন অভিযোগ নেই। কিন্তু এটা একটি সমাজের প্রতিচ্ছবি বটে।

    রাফিয়া বলেন, ব্রিটেনের আদালত আমাকে একজন হিজাবধারী মুসলিম নারী হিসেবে বিচারক নিয়োগ দেননি। বরং তারা আমাকে আমার মেধার মূল্যায়ন করে নিয়োগ দিয়েছেন। শুধু আমাকে, প্রত্যেক পেশার এমন সফলদেরকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে নারীরা এগিয়ে যেতে পারে।

    করোনা মোকাবিলায় সফল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে নিউজিল্যান্ড

    নিউজিল্যান্ডে করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর সঙ্গে সঙ্গে লকডাউন জারির পর এই প্রথম দেশটির কোনো হাসপাতালে একজনও করোনা রোগী চিকিৎসাধীন নেই। সরকারের তরফে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে এ সুসংবাদ জানানো হয়েছে।

    স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক ডা. অ্যাশলে ব্লুমফির্ড সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বর্তমানে দেশের কোনো হাসপাতালে আর কোনো করোনা রোগী নেই। সবশেষ সুস্থ হয়ে মিডলমোর হাসপাতাল থেকে একজন রোগী ছাড়া পাওয়ার পর এই সংখ্যাটা এখন শূন্য। বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২১, তারা বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

    গত একদিনে নতুন করে কোনো কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু হয়নি। এছাড়া টানা পঞ্চম দিন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে কেউ শনাক্ত হয়নি বলে জানান তিনি। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৫০৪। মারা গেছে ২১ জন; সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৬২ জন।

    করোনা মোকাবিলায় নিউজিল্যান্ড সফল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ দেশটিতে যখন মাত্র ছয়জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল তখনই অর্থাৎ ১৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ড আর্ডার্ন ঘোষণা দেন, নিউজিল্যান্ড ভ্রমণে যারা আসবেন তাদেরকে বাধ্যতামূলক দুই সপ্তাহের সেল্ফ আইসোলেশনে থাকতে হবে।

    ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন অন্য দেশের কোনো পর্যটকের নিউজিল্যান্ডে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। সেদিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৮ জন। এরপর ২৩ মার্চ দেশজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেন। অথচ তখনো দেশটিতে করোনায় কেউ মারা যায়নি; আক্রান্ত ছিল মাত্র ১০২ জন।

    টোকিও টাওয়ারে দর্শনার্থীদের সিঁড়ি বেছে নেয়ার আহ্বান জানানো হবে

    এনএইচকে জানতে পেরেছে যে বৃহস্পতিবার থেকে টোকিও টাওয়ার খুলে দেয়া হবে। তবে পর্যবেক্ষণ ডেকে পৌঁছাতে হলে বেশিরভাগ দর্শনার্থীদের লিফটের বদলে সিঁড়ি দিয়ে যেতে হবে। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

    জাপানের রাজধানীর বিশিষ্ট এক স্থান টোকিও টাওয়ার, এপ্রিল মাসের ৮ তারিখ থেকে বন্ধ রাখা হয়েছিল।

    ১৫০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত পর্যবেক্ষণ ডেকে পৌঁছানোর জন্য কর্মীরা দর্শনার্থীদের সিঁড়ি নিতে বলবেন। প্রায় ৬০০ টি সিঁড়ি পেরিয়ে তারা টাওয়ারের প্রায় অর্ধেক পর্যায়ে অবস্থিত পর্যবেক্ষণ ডেকে গিয়ে পৌঁছাবেন।

    শুধুমাত্র বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী লোকজন লিফট ব্যবহার করতে পারবেন এবং এই সংখ্যা প্রতিবার পাঁচজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হবে।

    সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে দর্শনার্থীদের। দুই মিটার ব্যবধান রেখে পর্যবেক্ষণ ডেকে দাঁড়ানোর স্থান নির্ধারণ করা থাকবে।

    সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত টাওয়ারটি খোলা থাকবে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় দুই ঘন্টা আগে এটি বন্ধ করা হচ্ছে।

    একজন কর্মকর্তা বলেন, টোকিওর এক বিখ্যাত প্রতীক হিসাবে টাওয়ারটির অভিজ্ঞতা লাভ করার সময় যেন দর্শনার্থীরা নিরাপদ অনুভব করতে পারেন, পরিচালক কোম্পানি সেই আশা করছে।

    ভাইরাসের বিরুদ্ধে জাপানের লড়াই একটি “সাফল্য”- ডব্লিউএইচও

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও’র প্রধান করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে জাপানের প্রচেষ্টাকে একটি “সাফল্য” বলে প্রশংসা করেছেন।

    সমগ্র জাপানের উপর থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার পর ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক তেদ্রোস আদহানোম ঘেব্রেইসাস সোমবার জেনেভায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।

    তিনি বলেন, প্রাদুর্ভাব তুঙ্গে থাকাকালীন জাপানে দৈনিক ৭শ’রও বেশি নতুন সংক্রমণের ঘটনা ঘটলেও এখন সেটি দৈনিক প্রায় ৪০’এ নেমে এসেছে। তিনি আরও বলেন, দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যাও কমের মধ্যে রাখা হয়েছে।

    ডব্লিউএইচও’র জরুরি কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক মাইকেল রায়ান বলেছেন, বিশ্বজুড়ে দেশগুলো এখন সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের মাঝখানে আছে।

    রায়ান সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে কয়েক মাস পর অনেক দেশেই এই প্রাদুর্ভাবের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।

    অভিবাসী কর্মীদের দেশে প্রেরিত অর্থের পরিমাণ কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে

    বিশ্ব ব্যাংক অনুমান করেছে যে, চলতি বছরে অভিবাসী কর্মীদের নিজ দেশে প্রেরিত অর্থের মোট পরিমাণ করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর দরুণ চাকরি হারানোর কারণে আংশিকভাবে কমে যাবে।

    বিশ্ব ব্যাংকের গতমাসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে পাঠানো অর্থের পরিমাণ গতবছরের তুলনায় ১০ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার বা ১৯.৭% কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    বিশ্ব ব্যাংক জানায়, এই হ্রাস হবে “সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যাপক পতন” এবং ২০০৯ সালে রেকর্ড করা পতনের থেকেও অনেক বেশি যখন বিশ্ব এক বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের কবলে পড়েছিল।

    বৈশ্বিক মহামারীর বয়ে আনা অর্থনৈতিক সংকট এবং পরবর্তী বিশ্বব্যাপী লকডাউনের মাঝে, বেতন কমে যাওয়ার পূর্বাভাস এবং অভিবাসী কর্মীদের কর্মসংস্থান হ্রাসকে বিশ্ব ব্যাংক প্রধানত দায়ী করে।

    যখন বিশ্বব্যাপী অভিবাসী কর্মীদের সংখ্যা বাড়ছিল, তখন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে প্রেরিত অর্থের পরিমাণ গত দশকের চেয়ে ১.৫ গুণেরও বেশি বেড়ে গিয়ে গত বছর এ যাবৎকালের রেকর্ড সর্বোচ্চ ৫৫ হাজার ৪২০ কোটি ডলারে দাঁড়ায়।

    এ ধরনের প্রেরিত অর্থ দেশে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের জীবনযাত্রায় সহায়তা করে এবং প্রাপ্ত পক্ষের দেশগুলোর জন্য বৈদেশিক মুদ্রার একটি উৎস হিসেবে কাজ করে থাকে।

    বিশ্ব ব্যাংকের অভিবাসন ও প্রেরিত অর্থ সংক্রান্ত নেতৃস্থানীয় অর্থনীতিবিদ দিলিপ রাঠা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর অনেক পরিবার হয়তো দারিদ্র্যের সম্মুখীন হতে পারে এবং হয়তো খাদ্য ও ওষুধের সংস্থান বা শিশুদের স্কুলে পাঠাতে অক্ষম হয়ে পড়তে পারে।

    সমগ্র জাপানের উপর থেকে করোনাভাইরাস জরুরি অবস্থা তুলে নেয়া হয়েছে

    টোকিও মেট্রোপলিটন এলাকা এবং সর্ব উত্তরের জেলা হোক্কাইদো’র উপর থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে শিনযো। গত সপ্তাহে ওসাকা ও কিয়োতো অন্তর্ভুক্ত থাকা পশ্চিমের তিনটি জেলার ক্ষেত্রে অনুরূপ পদক্ষেপ নেয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত এলো। এর ফলে এখন জাপানের কোন জেলাই আর জরুরি অবস্থার আওতাভুক্ত নয়।

    এক্ষেত্রে, পরিস্থিতি পর্যালোচনা সাপেক্ষে বিশেষজ্ঞদের মতামত সরকারি কর্মকর্তারা শোনার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হল।

    উল্লেখ্য, টোকিও ও এর আশেপাশের তিনটি জেলা- কানাগাওয়া, সাইতামা, চিবা এবং সর্বউত্তরের জেলা হোক্কাইদো ছিল সরকার ঘোষিত জরুরি অবস্থার আওতাধীন সর্বশেষ জেলা।

    এপ্রিল মাসের শুরুর দিক থেকে জাপান দেশব্যাপী জরুরি অবস্থার অধীনে ছিল। গত সপ্তাহে অন্য ৪২টি জেলা থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেয়া হয়।

    তবে, সংক্রমণের দ্বিতীয় একটি ঢেউ রোধে, সরাসরি পারস্পরিক সংযোগ কমিয়ে আনার মত সম্ভাব্য সবকিছু করা অব্যাহত রাখতে লোকজনের প্রতি কর্মকর্তারা আহ্বান জানিয়ে চলেছেন।

    সেবা গ্রহণ হ্রাসে বয়োবৃদ্ধদের উপর নেতিবাচক প্রভাব

    জাপানে পরিচালিত এক জরিপে, বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে নার্সিং সেবা গ্রহণ থেকে বিরত থাকা দেশের বয়োবৃদ্ধ নাগরিকরা দেহের পেশীর দুর্বলতা এবং বোধ বুদ্ধি হ্রাস পাওয়া সমস্যায় ভুগছেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

    শুকুতোকু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইউকি ইয়াসুহিরো, চলতি মাসে অনলাইনে বাড়ি ভিত্তিক সেবা দানের কাজে সহায়তা করা ৫শ ৩জন কর্মীর উপর একটি জরিপ পরিচালনা করেন।

    উত্তরদাতাদের ৮২ শতাংশ, তাঁদের সেবা গ্রহীতাদের মধ্যে এক বা ততোধিক জ্যেষ্ঠ নাগরিক সেবা গ্রহণ কমিয়ে দিয়েছেন বলে জানান।

    ৬২ শতাংশ উত্তরদাতা, সেবা গ্রহণ হ্রাস করা লোকজনের মধ্যে দৈহিক ও বোধ বুদ্ধি হ্রাস পাওয়ার বিষয় শনাক্ত করতে পেরেছেন বলে জানান। এঁদের মধ্যে ২১ শতাংশ, এইধরনের ঘটনার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উচ্চ বা উচ্চ বলে উল্লেখ করেন।

    প্রশ্নপত্রটিতে জনৈক উত্তরদাতা, সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার ফলে বয়োবৃদ্ধদের মধ্যে একধরনের হতাশা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন।

    অপর একজন উত্তরদাতা, নিজেদের জীবনযাত্রার ধরন পাল্টে যাওয়ায় বয়োবৃদ্ধদের দৈহিক এবং বোধ বুদ্ধি হ্রাস পেয়ে চলেছে বলে উল্লেখ করেন।

    অধ্যাপক ইউকি, এই ফলাফল থেকে এমনকি অল্প সময়ের জন্য নার্সিং সেবা বন্ধ রাখা হলে সেটি বয়োবৃদ্ধদের দৈহিক ও বোধ বুদ্ধির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে উল্লেখ করেন।

    তিনি, সংক্রমণ প্রতিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সেবাদানকারী কর্মীরা যাতে সেবা প্রদান অব্যাহত রেখে যেতে সক্ষম হয় সেজন্য এই খাতে আরও সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান।

    বাদুড়ের জীবন্ত ৩টি করোনা ভাইরাস ছিল উহানের সেই ল্যাবে!

    গত বছর ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে উৎপত্তি হয় প্রাণঘাতী নোভেল করোনা ভাইরাসের। করোনার উৎপত্তির পর অভিযোগ উঠে যে উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজি থেকে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। তবে নতুন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে আগে কোনও ধারণাই ছিল না বলে জানিয়েছেন উহান ভাইরোলজি ইন্সটিটিউটের পরিচালক ওয়াং ইয়ানয়ি।

    চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিজিটিএনকে দেয়া সাক্ষাতকারে ওয়াং ইয়ানয়ি জানায়, উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজিতে বাদুড়ের জীবন্ত তিনটি করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চলছিল। তবে ওগুলোর সঙ্গে নতুন করোনা ভাইরাসের মিল নেই। উহানের ভাইরাস ল্যাব থেকে করোনা ছড়িয়েছে এমন অভিযোগকে খাঁটি বানোয়াট গল্প বলে আখ্যায়িত করেন ওয়াং ইয়ানয়ি।

    ভাইরাস নিয়ে অন্যতম শীর্ষ গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইয়ানয়ি সাক্ষাতকারে বলেন, আমরা বাদুড়ের তিনটি জীবন্ত করোনা ভাইরাস নিয়ে কাজ করছিলাম। আমরা সার্স ভাইরাসের উৎস খোঁজার জন্যই গবেষণা করছিলাম। কিন্তু ওই সব ভাইরাসের সঙ্গে নতুন করোনা ভাইরাসেরর মিল প্রায় ৮০ শতাংশ। আর আমরা জানি নতুন করোনা ভাইরাসের সঙ্গে সার্সেরও ৮০ শতাংশ মিল রয়েছে। তবে ৮০ শতাংশ মিল মানে এখানে অবশ্যই পার্থক্য আছে।

    ওয়ার্ল্ডওমিটারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ লাখ ৮ হাজার ১৮৭ জন। মারা গেছেন ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৪১ জন।

    ১১ দিন পর রোগী থেকে সংক্রিমত হয় না করোনা

    প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ১১ দিন পর থেকে ভাইরাসটি রোগীদের শরীর থেকে আর সংক্রমিত হয় না। এমনটি জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের একদল গবেষক।

    সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশিয়াস ডিজিজ এবং দ্য অ্যাকাডেমি অব মেডিসিনের যৌথ গবেষণায় বলা হয়, অসুস্থ হওয়ার ১১ দিন পর আক্রান্ত রোগী থেকে অন্য কারো শরীরে এই ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে না।

    সিঙ্গাপুরের করোনা আক্রান্ত ৭৩ জন রোগীর ওপর পর্যবেক্ষণের পর এই ফল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এই গবেষণার ওপর ভিত্তি করে এখন থেকে সিঙ্গাপুরে করোনা রোগীদের চিকিৎসা এবং ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে নেগেটিভ রেজাল্ট না আসা পর্যন্ত রোগীদের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় না।

    সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে তারা এই গবেষণাটি মূল্যায়ন করে দেখবে এবং পরবর্তীতে এটি রোগীদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে।

    সিঙ্গাপুরে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৬৮ জন। মারা গেছেন ২৩ জন। ব্লুমবার্গ।

    টিকার উন্নয়নে জাপানের অগ্রগতি

    জাপানের বৃহৎ ওষুধ উৎপাদন কোম্পানি, ভেঞ্চার কোম্পানি এবং বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত থাকা গবেষণা সংস্থাগুলো করোনাভাইরাস রোধী টিকার উন্নয়নে কাজ করছে।

    টিকার উন্নয়নে সরকার ওষুধ কোম্পানির নেতৃত্ব দেয়া চারটির পাশাপাশি কয়েকটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে পাঁচটি গবেষণায় সহায়তার জন্য মোট প্রায় ৬ কোটি ৭০ লক্ষ মার্কিন ডলার ভর্তুকি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    দ্রুত হলে এই গ্রীষ্মে ক্লিনিকাল বা মানবদেহে প্রয়োগের পরীক্ষা শুরুর প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

    মুরগির ডিম এবং প্রাণীর কোষ ব্যবহারের মাধ্যমে ভাইরাসের চাষ করে সেগুলোর ক্ষতিকর উপাদান মুক্ত করার মধ্যে দিয়ে টিকা তৈরি করা হয়।

    উচ্চ নিরাপত্তা মানের যন্ত্রপাতি থাকা স্থাপনায় বারংবার পরীক্ষা করতে হয় বিধায় একটি টিকার গণহারে উৎপাদনের জন্য সাধারণত এক বছর বা তার চাইতে বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়।

    তবে করোনাভাইরাসের জন্য এই সময় কমাতে গবেষকরা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে উজ্জীবিত করার জন্য ভাইরাসের জিনের অংশ বা অ্যান্টিজেন নামে পরিচিত মানব নির্মিত প্রোটিন ব্যবহার করার মত নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করছেন।

    করোনা ভাইরাস : বর্তমান সম্পর্কে সচেতন থাকি, সামনের আমলের প্রস্তুতি নিই

    আমরা সবাই একটি বিশেষ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ভীতি ও শঙ্কা সারা বিশ্বকে গ্রাস করেছে। বিশ্বব্যাপী যাতায়াত ব্যবস্থা ও অন্যান্য ব্যবস্থায় বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। কোনো কোনো আধুনিক রাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘লক-ডাউন’ ঘোষিত হয়েছে। তবে এই সব কিছুর পেছনে খুবই ক্ষুদ্র একটি ভাইরাস। হাঁ, করোনা ভাইরাস। ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, অনেকের মৃত্যু ঘটেছে। বাংলাদেশেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মারা যাওয়ার সংবাদও পাওয়া যাচ্ছে। নিঃসন্দেহে পরিস্থিতি ভয়ের, তবে তার চেয়েও বেশি চিন্তা-ভাবনা ও সচেতনতার। এ পরিস্থিতিতেও উদাসীন-অমনোযোগী থাকা ভালো নয়। আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে সচেতন হওয়া মানে কী?

    এ ধরনের পরিস্থিতিতে সচেতন হওয়া মানে আল্লাহকে ভয় করা, আল্লাহ-অভিমুখী হওয়া, নিজের কর্ম ও আচরণের মুহাসাবা করা, কর্ম-আচরণে যদি আল্লাহ তাআলার অবাধ্যতার কোনো কিছু থাকে তাহলে অনুতপ্ত হয়ে তাওবা করা। এটি প্রথম কাজ। এর পাশাপাশি সাধারণ সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করাও কাম্য। এক্ষেত্রে সংক্রমণ এড়াতে যে স্বাভাবিক সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যেমন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সাবান-পানি দিয়ে নিয়মানুযায়ী হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশির ক্ষেত্রে সাধারণ শিষ্টাচার মেনে চলা, আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে মেলামেশা এড়িয়ে চলা ইত্যাদি নিয়ম মেনে চলতে কোনো বাধা নেই। এই সাধারণ স্বাস্থ্য-বিধি বা বিশেষ অবস্থায় বিশেষ নিয়মকানুন মেনে চলার শিক্ষা ইসলামী শরীয়তে আছে।

    গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, উপরোক্ত স্বাভাবিক সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি তাকদীরে বিশ্বাস রাখা এবং আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট ও সমর্পিত থাকা। এতেই মুমিনের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ। রোগ-ব্যাধি, সুস্থতা-অসুস্থতা, জীবন-মৃত্যু সব কিছুই আল্লাহর ইচ্ছায়। তাঁর ইচ্ছাকে রদ করার কেউ নেই। রোগ-ব্যাধির কারণগুলোও তাঁর সৃষ্টি, তাঁরই ইচ্ছায় সেগুলো কাজ করে। মুমিনের কর্তব্য এই দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে তাঁর ইচ্ছায় পূর্ণ সমর্পিত থাকা যে, আল্লাহ তাআলা যা লিখে রেখেছেন তার অন্যথা কিছুতেই হবে না। সুস্থতা লিখিত থাকলে সুস্থ থাকব, অসুস্থতা লিখিত থাকলে তা-ই ঘটবে। তবে বিষয়টি যেহেতু আমাদের জানা নেই তাই তাকদীরে বিশ্বাসের সাথে স্বাভাবিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে যাওয়াও ইসলামেরই নির্দেশ। এই অটল বিশ্বাস ও সওয়াবের প্রত্যাশা নিয়ে দিন-গুজরানকারী মুমিনের যাই ঘটুক সেটি তার জন্য কল্যাণের হবে। সুস্থতাও কল্যাণের, অসুস্থতাও কল্যাণের, এমনকি মৃত্যু ঘটলে সেটিও হবে কল্যাণের। আল্লাহ তাআলা এই বান্দাকে দান করবেন শাহাদাতের মর্যাদা। কাজেই অতি মাত্রায় ভয়ের কিছু নেই।

    মানুষের জীবনে কখনো কখনো এই রকমের অবস্থা ও পরিস্থিতি আসে। মূলত তা পরীক্ষারই নানা রূপ। মুমিনের কর্তব্য, পরিস্থিতি বুঝে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার চেষ্টা করা।

    সচেতনতার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হচ্ছে, কোন অবস্থায় কুরআন-সুন্নাহ্র কী বিধান কী শিক্ষা তা সঠিকভাবে জেনে আমলে আনা। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কুরআন-সুন্নাহ্র শিক্ষা জানতে হবে হক্কানী-রব্বানী উলামায়ে কেরামের কাছ থেকে। জীবনের সকল ক্ষেত্রে এই গুরুত্বপূর্ণ নীতির অনুসরণ আমাদেরকে সত্যিকারের কল্যাণের অধিকারী করতে পারে। জীবনের ভালো-মন্দ সব কিছুই আমাদের জন্য কল্যাণকর হয়ে উঠতে পারে।

    সাময়িক বা তাৎক্ষণিক পরিস্থিতির বিশেষ করণীয় সম্পর্কে সচেতনতা ও আমলের পাশাপাশি সাধারণ করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কেও স্বাভাবিক কর্ম-ধারা, যিকির-তিলাওয়াত, সামনের আমলের স্বাভাবিক প্রস্তুতিও কাম্য। আমাদের সবারই জানা আছে যে, মাহে রমযান সমাগতপ্রায়। দেখতে দেখতে রহমত ও মাগফিরাতের এই মাস আমাদের মধ্যে উপস্থিত হবে। এই মাসের ইবাদত-বন্দেগীর জন্য এখন থেকেই মানসিক প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা কর্তব্য।

    মুমিনের প্রতিটি দিন হতে হবে তার বিগত দিনের চেয়ে ভালো। নিজের ও সংশ্লিষ্টদের জীবন ও কর্মগঠনে প্রতিদিনই তার কিছু কিছু উন্নতি হবে। তার উন্নতির সূচক হবে ঊর্ধ্বমুখী।

    দ্বীনী জীবন গঠনের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ দ্বীনী ইলম। দ্বীনী ইলম অর্জন করা ছাড়া দ্বীনী জীবন গঠনের ও উন্নতি সাধনের চিন্তা বাতুলতা মাত্র। তাই মুমিন প্রতিদিনই শিখতে থাকবে, জানতে থাকবে। দ্বীন সম্পর্কে, ঈমান সম্পর্কে জানার ধারাবাহিকতায় কখনই ছেদ পড়বে না। হাঁ, ব্যস্ততা-অবসরের পার্থক্যে সময় দেয়ার ক্ষেত্রে পার্থক্য হতে পারে কিন্তু যাকে বলে ‘পাঠ চুকিয়ে ফেলা’Ñ অন্তত দ্বীনী ইলমের ক্ষেত্রে  তো কখনো ঘটবে না।

    মাহে রমযান একদিক থেকে কুরআনের মাস। তাই এ মাসে মুমিন বিশেষভাবে কুরআনের বিষয়ে মনোযোগী হতে পারেন। কুরআনের সাথে নিজের ও সংশ্লিষ্টজনদের সম্পর্কের দিকটি মূল্যায়ন করতে পারেন। জীবনের যে দিনগুলো কেটে গেছে সে হিসেবে কুরআন মাজীদের সাথে সম্পর্ক কতটুকু হয়েছে তার হিসাব মেলাতে পারেন। সহীহ-শুদ্ধভাবে কুরআন পড়া কতটুকু শেখা হয়েছে, স্ত্রী-সন্তানেরাও শিখেছে কি না, নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াতের অভ্যাস হয়েছে কি না, কুরআন মাজীদের কয়টি সূরা বা কতটুকু অংশ হিফয হয়েছে, পূর্ণ কুরআন মাজীদ হিফয করার ইচ্ছা ও পরিকল্পনা আছে কি না, কুরআন মাজীদের মৌলিক শিক্ষা হক্কানী-রব্বানী উলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে স্বচ্ছভাবে জানার ইচ্ছা ও পরিকল্পনা আছে কি না, কুরআন মাজীদের আদেশ-নিষেধ, করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা কতটুকু তৈরি হয়েছে, নিজের ও সংশ্লিষ্টদের জীবনে তা কতটুকু প্রতিফলিত হয়েছে, কুরআনে কারীমের আকীদা-ব্যবস্থা, ইবাদত-ব্যবস্থা, আখলাক-ব্যবস্থা, লেনদেন-ব্যবস্থা, সামাজিক-ব্যবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে জানাশোনার পরিধি বিস্তৃত হচ্ছে কি না, অন্তরে আল্লাহর ভয়, আল্লাহর প্রতি ভরসা, দুনিয়ার মোহমুক্তি, আখিরাতমুখিতা তৈরি হচ্ছে কি না, কুরআনে কারীমের প্রতিশ্রæতি ও হুঁশিয়ারি সম্পর্কে বিশ্বাস ও সংবেদন কতটুকু তৈরি হয়েছে, স্বাভাবিক জীবন-যাত্রায় ও পরস্পরের সম্পর্কে সেই সংবেদনের প্রতিফলন ঘটছে কি না, কুরআনের ইলমের ধারক-বাহকদের প্রতি অন্তরে শ্রদ্ধা-ভক্তি ও নম্রতা তৈরি হচ্ছে কি না, কুরআনের শিক্ষা-বিস্তারে অংশগ্রহণের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, আখিরাতের জীবনে চলে যাওয়ার পরও পুণ্যের ধারা অবিচ্ছিন্ন রাখতে পারার কোনো চিন্তা ও পরিকল্পনা করা হয়েছে কি না, করে থাকলে হক্কানী-রব্বানী উলামায়ে কেরামের সাথে পরামর্শের ভিত্তিতে স্বচ্ছ-সঠিক রূপরেখা প্রণীত হয়েছে কি নাÑ ইত্যাদি অনেক কিছুই ভেবে দেখার মতো আছে। এইসকল চিন্তা-ভাবনাও খোদাভীতি ও আখিরাত-মুখিতার প্রকাশ।

    মুমিনের জীবন কখনো ‘বেঘোর নিদ্রার জীবন’ হতে পারে না। প্রাত্যহিক পরিস্থিতি, রুযি-রোযগারের দৌড়ঝাঁপ, অসুস্থতা-সংকট কোনো কিছুই তার উন্নতির পথে পথচলাকে থামিয়ে দিতে পারে না। দেহের বাহ্যিক সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিচিত্র কর্ম-ব্যস্ততার মধ্যেও অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাজ, শ্বাস-প্রশাস, রক্ত-সঞ্চালন যেমন চলমান থাকে তেমনি বাহ্যিক সকল অবস্থা ও পরিস্থিতিতে সাড়া দেওয়ার মধ্যেই চলতে থাকবে মুমিনের আখিরাত-অভিমুখী উন্নতির অভিযাত্রা।

    মাহে রমযান আমাদের মাঝে হাজির হয় সেই উন্নতি-চেষ্টার জ্বালানী নিয়ে। এ মাসের হক্ক আদায়ের মাধ্যমে আমরা অর্জন করে নিতে পারি আমাদের আগামী জীবনের পথচলার শক্তি।

    আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে সুস্থ ও সক্রিয় রাখুন, কর্মক্ষম ও কর্মচঞ্চল রাখুন, কল্যাণের পথের অভিযাত্রী হওয়ার ও সেই যাত্রাকে অব্যাহত রাখার তাওফীক দান করুনÑ আমীন।

    ক্ষতিকর ভুল তথ্য প্রচার বন্ধ করার চেষ্টা করছে ফেসবুক

    ফেসবুকের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, তাঁর সামাজিক নেটওয়ার্ক কম্পানি করোনাভাইরাস সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রচার বন্ধ করার চেষ্টা করছে।

    বৃহস্পতিবার জাকারবার্গ বিবিসি’কে বলেন, তাঁর কম্পানি নেটওয়ার্ক থেকে এমন সব তথ্য সরিয়ে ফেলছে যে তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে কারুর ক্ষতি করতে পারে বা যা থেকে আসন্ন ক্ষতির আশংকা আছে।

    তিনি বলেন, “এমনকি সেই তথ্যে যদি বস্তুগত ক্ষতি আসন্ন নাও হয়, তবু আমরা কোনো ভুল তথ্য ব্যাপক ভাবে প্রচার হতে দিতে চাই না”। তিনি আরও বলেন, ভুল তথ্য প্রচার রোধ করার জন্য ফেসবুক তথ্য যাচাইয়ের স্বাধীন সংস্থা’র সাথে কাজ করছে।

    জাকারবার্গ বলেন, ফাইভ-জি ডিজিটাল নেটওয়ার্ক ভাইরাস বিস্তারে মদত দিচ্ছে, এমনটা দাবি করা খবর ফেসবুক তার নেটওয়ার্ক থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এই তথ্য গতমাসে বৃটেনে ব্যাপকভাবে বিনিময় হয়, যার ফলে ফাইভ-জি’র অবকাঠামোর কিছু ক্ষতি হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

    তবে সমালোচকরা বলছেন, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত প্রচুর পরিমাণ ভুল তথ্য এখনও ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে এবং তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা এখনও অপ্রতুল।

    লকডাউনের সময়ে বিশ্ব জুড়ে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ হ্রাস

    গবেষকরা বলছেন করোনাভাইরাস মহামারীর মুখে বিশ্ব জুড়ে লোকজন ঘরে থাকতে বাধ্য হওয়ায় দৈনিক কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের পরিমাণ ১৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।

    ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের একটি দল এই ফলাফল খুঁজে পায়। ন্যাচার ক্লাইমেট চেঞ্জ সাময়িকীতে তাদের এই প্রতিবেদন তারা মঙ্গলবার প্রকাশ করেছেন।

    ৬৯টি প্রধান কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণকারী দেশের ঘরবন্দী থাকার সরকারি নীতি দলটি বিশ্লেষণ করেছে। এরপর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত সময়ে প্রতিটি দেশে প্রতিদিনের জীবাশ্ম কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণে পরিবর্তন দল হিসাব করে দেখে।

    চীনের দৈনিক নিঃসরণ গত বছরের তুলনায় ২৩.৯ শতাংশ হ্রাস পাওয়া হিসাব করা হয়েছে।

    বিজ্ঞানীরা আরও বলছেন ২০২০ সালে নিঃসরণ মাত্রার উপর ঘরবন্দী থাকার প্রতিক্রিয়া ঘরবন্দী অবস্থার স্থায়িত্বের উপর নির্ভর করবে। কিছু কিছু নিষেধাজ্ঞা বিশ্ব জুড়ে চলতি বছরের শেষ নাগাদ পর্যন্ত বজায় থাকলে সর্বোচ্চ মাইনাস ৭ শতাংশ হিসাব তারা করছেন।

    তারা বলছেন এই হ্রাস বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বন্ধ করার মত পর্যাপ্ত নয় এবং বিভিন্ন দেশের সরকারের উচিৎ হবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার লাভ করতে থাকা অবস্থায় কাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়িত করা।

    ভারতের পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান

    শক্তিশালী একটি ঘূর্ণিঝড় ভারতের পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশের ভূমিতে আঘাত হেনেছে এবং আশ্রয় কেন্দ্রে সরে আসা লোকজনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    আম্পান এক পর্যায়ে প্রচণ্ড শক্তিশালী হয়ে উঠে মারাত্মক ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিলেও ভারতের পূর্ব উপকূলের অদূর দিয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে থাকা অবস্থায় কিছু শক্তি সেটা হারিয়ে ফেলে।

    বুধবার রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ভূমিতে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে।

    ভারত ও বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া অবস্থায় খুব খারাপ এক সময়ে চরম এই আবহাওয়া পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

    ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় দুটি রাজ্যে ৪ হাজারের কাছাকাছি এবং বাংলাদেশে ২৫ হাজারের বেশি নতুন সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে।

    উভয় দেশে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    আভিগান ওষুধটি কার্যকর কিনা তা প্রমাণ করতে আরো পরীক্ষার প্রয়োজন

    জাপানের সূত্র সমূহ জানাচ্ছে যে আভিগান নামক ওষুধটির মানব দেহে পরীক্ষা বা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়ে থাকা তৃতীয় পক্ষ হিসাবে জাপানি একটি কমিটি বলেছে যে কোভিড-১৯ রোগের কার্যকর এক চিকিৎসা হিসাবে ওষুধটিকে গণ্য করার সময় এখনো আসেনি। আভিগান হল জাপানের একটি কোম্পানি উৎপাদিত ফ্লু প্রতিরোধক এক ওষুধ।

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৮৬ জন ব্যক্তির উপর ওষুধটির ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এদের সকলের শরীরেই খুব মৃদু বা রোগের কোন ধরনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। দুটি গ্রুপে এদেরকে ভাগ করা হয়েছে। একটি গ্রুপের উপর হাসপাতালে ভর্তির প্রথম দিন থেকে শুরু করে ১০ দিন পর্যন্ত আভিগান ওষুধটি প্রয়োগ করা হয়। অন্য গ্রুপটিকে হাসপাতালে ভর্তির ষষ্ঠ দিন থেকে ওষুধটি দেয়া হয়। দুটি গ্রুপের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি কতটা কমেছে তা গবেষকরা ষষ্ঠ দিনে তুলনা করে দেখেন।

    ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল তৃতীয় পক্ষ হিসাবে এক কমিটির মূল্যায়ন করে দেখার কথা।

    পরীক্ষা চালিয়ে থাকা কমিটির সাথে পরিচিতি রয়েছে এমন সূত্র সমূহ জানিয়েছে যে প্রায় ৪০ জন ব্যক্তির উপর চালানো পরীক্ষার মধ্য মেয়াদী ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখার পর কমিটি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে ওষুধের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করতে হলে গবেষকদের পরীক্ষা চালিয়ে যেতে হবে।

    স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে করোনাভাইরাসের এক চিকিৎসা হিসাবে চলতি মাসেই আভিগানকে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার পরিকল্পনা করছে তারা।

    মার্চ মাসে চীন ঘোষণা দিয়েছিল যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ওষুধটির কার্যকারিতা প্রমাণ করা সম্ভব হয়েছে।