• Bangla Dailies

    Prothom alo
    undefined
    Songbad
    daily destiny
    shaptahik
  • Weeklies

  • Resources

  • Entertainment

  • Sports Links

  • বিভিন্ন দেশের প্রতি ভাইরাস রোধী পদক্ষেপ গ্রহণ বৃদ্ধি করার আহ্বান ডব্লিউএইচও’র

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও আবারও করোনাভাইরাস রোধী পদক্ষেপ জোরদার করার জন্য বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

    ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক তেদ্রোস অ্যাডহানোম ঘেব্রেইসাস সোমবার জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ নতুন করে সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে রবিবার তার সংস্থায় জানানো হয়।

    তিনি সন্দেহজনক ঘটনা পরীক্ষণ, সংক্রমিতদের বিচ্ছিন্নকরণ এবং সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ সহ ভাইরাস রোধী পদক্ষেপসমূহ জোরদার করার জন্য বিভিন্ন দেশের প্রতি আবারও আহ্বান জানান।

    ডব্লিউএইচও’র জরুরি স্বাস্থ্য কর্মসূচিসমূহের প্রধান মাইক রায়ান আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া এবং অন্যান্য জন-অধ্যুষিত দেশে সংক্রমণ বেড়ে চলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

    তিনি বলেন, “এই বৈশ্বিক মহামারী এখন একই সময়ে বেশ কিছু বড় বড় দেশে তুঙ্গে রয়েছে বা শীর্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে”।

    এদিকে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে।

    যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় প্রণীত সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, সোমবার আন্তর্জাতিকমান সময় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ৯০ লক্ষ ৬ হাজার ৭৫৭। মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪ লক্ষ ৬৯ হাজার ২২০।

    শ্রীলংকায় মৃত মুসলিমদের কবর না দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে

    শ্রীলংকার সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় বলছে, করোনাভাইরাস মহামারির সুযোগ নিয়ে সেদেশের কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। মুসলিম কেউ মারা গেলে তার মৃতদেহ দাহ করতে বাধ্য করা হচ্ছে– যা ইসলাম ধর্মে নিষিদ্ধ।

    মে মাসের ৪ তারিখ তিন সন্তানের মা ৪৪ বছর বয়স্ক মুসলিম মহিলা ফাতিমা রিনোজাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি কোভিড -১৯ সংক্রমিত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

    পুরো পরিবারটির ওপর চড়াও হয় কর্তৃপক্ষ

    ফাতিমা শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোর বাসিন্দা। তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন বলে তার করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করে।

    যেদিন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সেদিন থেকেই কর্তৃপক্ষ তাদের পরিবারের ওপর ‘চড়াও হয়‌’ বলে অভিযোগ করেন ফাতিমার স্বামী মোহামেদ শফিক।

    “পুলিশ এবং সামরিক বাহিনী কর্মকর্তাদের নিয়ে আমাদের বাড়ির দরজায় এসে হাজির হয়” – বলছিলেন শফিক।

    “আমাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়, সবখানে জীবাণুনাশক ছিটানো হয়, আমরা সবাই ভয় পেয়েছিলাম কিন্তু তারা আমাদের কিছু বলেনি।

    এমনকি তিন মাসের বাচ্চাকেও ভাইরাস টেস্ট করা হয় -তারপর তারা আমাদেরকে কুকুরের মত করে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে নিযে যায়।”

    পুরো পরিবারটিকে এক রাত সেখানে আটকে রাখা হয়, কিন্তু পরদিন তাদের ছেড়ে দিয়ে বলা হয়, তাদের দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

    এর মধ্যেই খবর আসে যে ফাতিমা মারা গেছেন। তিনি একাই হাসপাতালে ছিলেন।

    কিছু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হলো

    ফাতিমার প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেকে বলা হলো হাসপাতালে গিয়ে তার মায়ের মৃতদেহ সনাক্ত করতে।

    তাকে বলা হলো, যেহেতু কোভিড-১৯এ ফাতিমার মৃত্যু হয়েছে তাই তার মৃতদেহ পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া হবে না।

    ফাতিমার ছেলে বলছে, তার মায়ের মৃতদেহ দাহ করার অনুমতিসূচক কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে তাকে বাধ্য করা হয় – যদিও মুসলিম আইনে মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলাকে মানবদেহের অবমাননা বলে মনে করা হয়।

    “আমার ছেলেকে বলা হয়, আরো কিছু পরীক্ষা করার জন্য ফাতিমার দেহের কিছু অংশ কেটে নিতে হবে। তার যদি করোনাই হয়ে থাকে তাহলে তার শরীরের অংশ কেটে নেয়ার দরকার কী?” – বলছিলেন শফিক।

    শফিক মনে করেন, আসলে কী ঘটেছিল তা তার পরিবারকে পুরোপুরি জানানো হয়নি।

    ফাতিমার পরিবারসহ শ্রীলংকার আরো কিছু মুসলিম পরিবার মিলে তাদের বিরুদ্ধে “মহামারিকে ব্যবহার করে বৈষম্যমূলক আচরণ করার জন্য” সরকারের সমালোচনা করেছে।

    বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা কী বলছে

    এই মুসলিম পরিবারগুলো বলছে, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনায় কোভিড-১৯ এ মারা যাওয়া লোকদের কবর দেয়া যাবে বলে বলা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ তাদের মৃতদেহ দাহ করতে বাধ্য করছে।

    তারা বলছে, দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলী জনগোষ্ঠী যেরকম ধারাবাহিকভাবে হয়রানি এবং ভীতি সৃষ্টি করছে – এটি তার সবশেষ উদাহরণ।

    ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে, স্থানীয় কিছু গোষ্ঠীর সাথে সংশ্লিষ্ট ইসলামপন্থীরা শ্রীলংকার পূর্বাঞ্চল ও রাজধানী কলম্বোর কিছু নামীদামী হোটেল ও গির্জা লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায় – যাতে বিদেশী সহ ২৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়।

    ওই মারাত্মক হামলা পুরো দেশটিকে স্তম্ভিত করে দেয়। ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী এর কৃতিত্ব দাবি করে।

    শ্রীলংকার অনেক মুসলিমই মনে করেন – ওই আত্মঘাতী হামলার পর থেকে তাদেরকে ‌‘দানব’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

    শ্রীলংকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মুসলিম ব্যক্তি মারা যান ৩১শে মার্চ।

    এর পর থেকে কিছু সংবাদমাধ্যমে খোলাখুলিভাবেই মুসলিমদের ওই মহামারি ছড়ানোর জন্য দায়ী করা হতে থাকে – যদিও ওই সম্প্রদায়ের মধ্যে থেকে সরকারিভাবে মাত্র ১১ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।

    এই ১১ জনের সবার মৃতদেহই দাহ করা হয়েছে।

    সরকারের প্রধান সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ড. সুগত সামারাবীরা বলেছেন, সরকারের নীতি হচ্ছে কোভিড-১৯এ আক্রান্ত বা আক্রান্ত সন্দেহে যারাই মারা যাবে – তাদের মৃতদেহ দাহ করা হবে।

    কারণ কবর দেয়া হলে তা ভূগর্ভস্থ সুপেয় পানির স্তরকে দূষিত করতে পারে। ড. সামারাবীরা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ক্লিনিক্যাল বিশেষজ্ঞরা সমাজের কল্যাণের জন্য এই নীতি গ্রহণ করেছেন।

    কিন্তু মুসলিম অধিকারকর্মী, কমিউনিটি নেতা এবং রাজনীতিবিদরা শ্রীলংকার সরকারকে এ নীতি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।

    একমাত্র দেশ

    শ্রীলংকা হচ্ছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ১৮২টি সদস্যের মধ্যে একমাত্র দেশ – যেখানে কোভিড-১৯এ মৃত মুসলিমদের দাহ করা হচ্ছে, এক আবেদনে এ কথা বলেছেন আলি জহির মওলানা – যিনি একজন সাবেক মন্ত্রী এবং আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে একজন প্রার্থী।

    বিবিসি সিনহালাকে তিনি বলেন, মৃতদেহ কবর দেয়াটা যে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এর কোন বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণ থাকলে শ্রীলংকার মুসলিম জনগোষ্ঠী সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নেবে।

    শ্রীলংকার মুসলিম কংগ্রেসের উর্ধতন নেতারা তার এ বক্তব্য সমর্থন করেছেন।

    তারা বলছেন, এটা স্পষ্ট যে দাহ করার পক্ষে কোন বৈজ্ঞানিক বা স্বাস্থ্যগত ভিত্তি নেই, এবং সরকারের সিদ্ধান্তটি আসলে দেশটিকে জাতিগতভাবে বিভক্ত করার এক সুগভীর এজেন্ডার ভিত্তিতেই নেয়া হয়েছে।

    ভিন্ন নিয়ম

    ফাতিমা যেদিন মারা যান, সেদিনই কলম্বোয় তার বোনের বাড়িতে মারা যান ৬৪ বছর বয়স্ক আবদুল হামিদ মোহামেদ রাফাইদিন। চার সন্তানের পিতা এই শ্রমিক শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

    তার কনিষ্ঠ পুত্র নওশাদ রাফাইদিন বিবিসিকে বলেন, ওই একই দিনে তাদের একজন প্রতিবেশীও মারা যান – যিনি শ্রীলংকার সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনহালা সম্প্রদায়ের।

    লকডাউনের কারণে যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় পুলিশ তাদের পরিবারকে পরামর্শ দেয় দুটি মৃতদেহ এক সাথেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে। তারা তাই করলেন।

    হাসপাতালের মর্চুয়ারিতে নিয়ে যাবার পর ডাক্তার নওশাদকে বললেন, তিনি তার পিতার মৃতদেহ স্পর্শ করতে পারবেন না। যদিও কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণেই তিনি মারা গিয়েছিলেন কিনা তা স্পষ্ট ছিল না।

    বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ভয়

    নওশাদ লেখাপড়া জানেন না। তাকে বলা হলো তার পিতার মৃতদেহ দাহ করা অনুমতিসূচক কিছু কাগজপত্রে সই করতে।

    নওশাদ বলছেন, সই না করলে কি হবে সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত ছিলেন না।

    কিন্তু তিনি ভয় পাচ্ছিলেন যদি তিনি এটা করতে অস্বীকার করেন তাহলে তার পরিবার ও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ক্রদ্ধ প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

    তার প্রতিবেশীর সাথে অবশ্য ভিন্ন আচরণ করা হলো।

    “অন্য যার মৃতদেহ আমরা হাসপাতালে নিয়ে গেলাম – তাকে শেষকৃত্যের জন্য একটি আলাদা জায়গায় নিযে যাওয়া হলো। সেখানে তার আত্মীয়স্বজন যথারীতি মৃতকে বিদায় জানাবার সুযোগ পেলেন। তাকে কবরও দেয়া হলো” – বলছিলেন নওশাদ।

    নওশাদের পিতাকে দাহ করার সময় উপস্থিত থাকতে পেরেছিলেন তিনি নিজে এবং তার অল্প কয়েকজন আত্মীয় । অন্যদিকে শফিকের স্ত্রীর মৃত্যুর পর ছয় সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। তিনি এখনো সেই আঘাত সামলে উঠতে পারেননি।

    যে চিকিৎসাকর্মীরা ভাইরাস পরীক্ষা করেছেন, তারা বলেছেন ফাতিমা আসলে করোনাভাইরাস পজিটিভ ছিলেন না – যদিও হাসপাতালে তাই বলা হয়েছিল।

    এতে পরিবারটির বিভ্রান্তি আরো বেড়ে গেল।

    শফিক এখন বলছেন, “আমরা মুসলিমরা মৃতদেহ দাহ করি না। তারা যদি জানতোই যে ফাতিমার করোনা হয়নি তাহলে তাকে দাহ করা হলো কেন?” সূত্র: বিবিসি বাংলা।

    উপাত্ত মতে টোকিও থেকে দূরপাল্লার ভ্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে

    মোবাইল ফোনের উপাত্ত থেকে দেখা যাচ্ছে যে, গত সপ্তাহে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ভ্রমণের উপরের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পরের প্রথম সপ্তাহান্তে টোকিও থেকে দূরপাল্লার ভ্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

    মোবাইল ক্যারিয়ার এনটিটি দোকোমো’র গণনা করা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেটওয়ার্কের উপাত্ত এনএইচকে বিশ্লেষণ করে। এতে দেখা যাচ্ছে যে, মে মাসের শেষ সপ্তাহান্তের তুলনায় অন্যান্য সমস্ত জেলায় গত শনিবার ও রবিবার টোকিও থেকে আসা লোকজনের সংখ্যা বেড়েছে।

    টোকিও থেকে ইয়ামাগাতা’য় আসা ভ্রমণকারীদের সংখ্যা ১৪৮ শতাংশ বেড়েছে। ওকিনাওয়া’র জন্য এই সংখ্যা বেড়েছে ১৪৭ শতাংশ, কাগাওয়া’তে বেড়েছে ৯৪ শতাংশ, ওয়াকাইয়ামা’য় বেড়েছে ৯২ শতাংশ, নিইগাতা ও তোকুশিমা’য় বেড়েছে ৯১ শতাংশ এবং নাগানো’তে বেড়েছে ৯০ শতাংশ।

    ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাসাকি কুনিয়াকি বলছেন, এই উপাত্ত থেকে দেখা যাচ্ছে যে, টোকিও থেকে বেশি করে লোকজন দক্ষিণের দ্বীপজেলা ওকিনাওয়া’র মত দূরের গন্তব্যে ভ্রমণ করছেন। তিনি এও বলছেন, এর থেকে এ আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে, পর্যটন এবং গ্রামের বাড়ি পরিদর্শন ধীরে ধীরে পূর্বাবস্থায় ফিরে যাচ্ছে।

    করোনার মহামারিতে মানসিক সমস্যায় পড়ছে ‍শিশুরা

    প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের থাবায় প্রতিদিন লাখো মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। এর মধ্যে মানসিক ঝুঁকিতে পড়ছেন শিশুরা। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার মতো প্রতিদিনই গুরুতর মানসিক সমস্যায় পড়ছেন কোমলমতী শিশুরা।

    ব্রিটেনের একটি দাতব্য সংস্থা এ বিষয়ে সতর্কতা জানিয়ে বলেছেন, করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে শিশুদের মধ্যে গুরুতর মানসিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

    চাইল্ডহুড ট্রাস্ট নামক ওই সংস্থাটি তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, করোনার প্রাদুর্ভাবে অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় পড়েছে বিশ্বের লাখ লাখ শিশু।

    সংস্থাটির গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিনই শিশুরা নতুন মানসিক চাপে পড়ছে। বিশেষ করে তাদের প্রিয়জনের স্বাস্থ্য নিয়ে তাদের মধ্যে উদ্বেগও দেখা দিচ্ছে। বিশ্বের বহু শিশু সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং ক্ষুধায় ভুগছে।

    এদিকে, ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ না থাকার কারণে অনেক শিশু সমাজের অন্যান্য শিশুদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে। বিবিসি।

    ওকিনাওয়ায় সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ অন্তর্ভুক্ত থাকা এলাকার নাম পরিবর্তন

    দক্ষিণ জাপানের ওকিনাওয়া জেলায় অবস্থিত ইশিগাকি শহরের আইন পরিষদ “সেনকাকু” নামটি যোগ করার জন্য সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ অন্তর্ভুক্ত থাকা একটি প্রশাসনিক এলাকার নাম পরিবর্তনে একটি বিল পাশ করেছে।

    জাপান ঐ দ্বীপপুঞ্জ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। জাপান সরকার এই দাবি বজায় রেখে চলেছে যে দ্বীপসমূহ জাপানের নিজস্ব ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। চীন ও তাইওয়ানও সেগুলো নিজেদের বলে দাবি করে থাকে।

    এই দ্বীপপুঞ্জ ইশিগাকি জেলার প্রশাসনিক এলাকার আওতাভুক্ত।

    সোমবার সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়। বর্তমানে, ঐ দ্বীপসমূহের প্রশাসনিক নাম “তোনোশিরো”।

    আগামী অক্টোবর মাসের প্রথম দিন থেকে এটি “তোনোশিরো সেনকাকু”তে পরিবর্তিত হবে।

    বিলটিতে এটি ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে ইশিগাকি শহরের আরেকটি স্থানও “তোনোশিরো” নামটি ব্যবহার করায় প্রশাসনিক কাজের ভুল এড়াতে এই পরিবর্তন করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, এই পদক্ষেপ এমন সময় নেয়া হল যখন চীনা উপকূল রক্ষী বাহিনীর জাহাজসমূহ বারংবার ঐ দ্বীপপুঞ্জের অদূরে জাপানের নিজস্ব জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে চলেছে।

    এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখ থেকে পরপর ৭০ দিন জাপানের নিজস্ব জলসীমার লাগোয়া অঞ্চল দিয়ে চীনা জাহাজ চলাচল করে আসছে।

    এদিকে, তাইওয়ানের কিছু ব্যক্তিও ইশিগাকি আইন পরিষদের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়েছে।

    বিশ্ব বিপজ্জনক পর্যায়ে: ডব্লিউএইচও

    বিশ্ব এক নতুন এবং বিপজ্জনক পর্যায়ে আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস শুক্রবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন।

    তিনি বলেন, এটা ঠিক বহু লোক ঘরে থাকতে এখন বিরক্ত। অনেক দেশ তাদের অর্থনীতি ও সামাজিক কর্মকাণ্ড খুলে দিতে ইচ্ছুক। কিন্তু ভাইরাসটি দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে, এটি এখনো প্রাণঘাতী এবং অনেক মানুষ এখনো সংবেদনশীল।

    এছাড়া গত এক দিনে এক লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ বিশ্বব্যাপী করোনায় শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। যা একদিনে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

    টেড্রোস আধানম জানান, শনাক্তদের প্রায় অর্ধেক আমেরিকার, এছাড়া বহু সংখ্যক দক্ষিণ এশিয়ার এবং মধ্য প্রাচ্যের।

    সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে, অসুস্থ হলে ঘরে থাকতে এবং প্রয়োজন অনুসারে মাস্ক পরতে এবং বারবার হাত ধুইতে আহ্বান জানায় সংস্থাটি। সিএনএন।

    জাপান এবং ভিয়েতনাম ব্যবসায়িক ভ্রমণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করবে

    জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোতেগি তোশিমিৎসু বলেছেন যে, জাপান এবং ভিয়েতনাম নির্দিষ্ট কিছু শর্তের অধীনে পর্যায়ক্রমে দু’দেশের মধ্যেকার ব্যবসায়িক ভ্রমণ আবার শুরু করার জন্য অনুমতি দিতে রাজি হয়েছে।

    শুক্রবারে মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকের পরে মোতেগি এই পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন। করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর মাঝে সরকার দেশে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা শুরু করার পরে এটিই হচ্ছে প্রথম এ ধরনের পদক্ষেপ।

    যেসব দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে সেইসব দেশের ব্যবসায়িদের জাপানে প্রবেশের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করার সিদ্ধান্ত সরকার বৃহস্পতিবার নেয়। ভ্রমণকারীদের জন্য দেশে প্রবেশের আগে এবং প্রবেশের মুহূর্তে পিসিআর পরীক্ষা অপরিহার্য করা হয়। তাদের পিসিআর পরীক্ষার ফলাফল অবশ্যই নেগেটিভ হতে হবে এবং তাদেরকে আরও কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।

    জাপান ভিয়েতনামকে একটি কৌশলগত কূটনৈতিক অংশীদার হিসেবে মনে করে যেখানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

    জাপান করোনাভাইরাস সংস্পর্শে আসা শনাক্তকরণ অ্যাপ চালু করছে

    জাপান সরকার একটি স্মার্টফোন অ্যাপ চালু করেছে যেটি করোনাভাইরাসে নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

    এই অ্যাপটি শুক্রবার থেকে অ্যাপ বিতরণ প্লাটফর্মে ফ্রি সফটওয়্যার হিসেবে প্রকাশিত হয়।

    এই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের সংস্পর্শে আসার উপাত্ত মজুদ করে রাখবে যখন তারা একে অন্যের এক নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে আসবেন।

    যদি ব্যবহারকারীরা এই ভাইরাসের পরীক্ষায় আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হন, তাহলে অন্যান্য ব্যবহারকারীরা যারা তাদের থেকে ১ মিটারের মধ্যে ন্যূনতম ১৫ মিনিট অবস্থান করেছেন তাদেরকে অবহিত করবে।

    এই অ্যাপ উপাত্ত রেকর্ড করার ১৪ দিন পরে সংস্পর্শে আসার উপাত্ত মুছে ফেলবে। এছাড়াও এই অ্যাপটি ব্যবহারকারীকে শনাক্ত করতে পারে এমন কোন ফোন নাম্বার, স্থানের উপাত্ত বা অন্য তথ্য সংগ্রহ করবে না।

    সরকার জানাচ্ছে, এই অ্যাপটি বিদেশে চালু থাকা একই ধরনের সফটওয়্যারের থেকে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা আরও ভালভাবে রক্ষা করতে পারবে।

    সরকার এই অ্যাপটির ব্যাপক ব্যবহারের বিষয়টি উৎসাহিত করার পরিকল্পনা করছে। সরকার জানাচ্ছে, এই অ্যাপ’এর যখন অনেক ব্যবহারকারী হবে তখন তা করোনাভাইরাসের দ্রুত পরীক্ষা করা এবং বিস্তার রোধে সহায়তা করবে।

    আগামী বছরের শেষ দিকে তৈরি হবে ২০০ কোটি ভ্যাকসিন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    করোনা ভাইরাসের মহামারিতে নাকাল বিশ্ববাসী। সারা বিশ্ব এখন তাকিয়ে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনের দিকে। এমন সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, আগামী বছরের শেষের দিকেই প্রস্তুত হবে ২০০ কোটি ভ্যাকসিন।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী ড: সৌম্য স্বামীনাথন জানান, পরবর্তী বছর শেষের আগেই তৈরি হয়ে যাবে ২০০ কোটি করোনা প্রতিষেধক।

    শুক্রবার জেনেভা থেকে ওই বিজ্ঞানী বলেছেন, এই মুহূর্তে আমাদের কাছে প্রমাণিত কোনও প্রতিষেধক নেই। তবে আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা এ বছরের শেষেই একজন বা দুইজনের করোনা প্রতিষেধক তৈরিতে সাফল্য পেতে দেখব।

    তবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এখনও করোনা লড়াইয়ে কার্যকরী প্রতিষেধক পেতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে। এদিকে গত মাসে গ্লোবাল ফার্মাসিটিক্যালসের ফিজার জানিয়েছেন, অক্টোবরের শেষেই করোনা প্রতিষেধক তৈরি হয়ে যাবে।

    গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, এখন সারা বিশ্বে প্রায় ১০০ টি প্রতিষেধকের উপর বিভিন্ন স্তরে পরীক্ষা চলছে। কিন্তু পুরোদমে করোনার সঙ্গে লড়াই করবে এমন প্রতিষেধকের খোঁজ এখনও ধোঁয়াশা। যদিও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় নির্মিত প্রতিষেধক এখন পর্যন্ত আশার আলো দেখিয়েছে। কিন্তু কবে ওই প্রতিষেধক কোভিড-১৯ এর সঙ্গে লড়াই করে বিশ্ববাসীকে আতঙ্ক থেকে মুক্তি দেবে তা এখনও অনিশ্চিত। জিনিউজ।

    মে মাসে জাপানে বাণিজ্যের পরিমাণে তীব্র হ্রাস

    করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মন্থর হয়ে পড়া অব্যাহত থাকায় মে মাসে জাপানের রপ্তানির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে।

    বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয় প্রকাশিত উপাত্তে দেখা গেছে যে মে মাসে জাপানে রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় তিন হাজার নয়শো দশ কোটি ডলার। রপ্তানি হ্রাসের পরিমাণ হল বছরওয়ারি হিসাবে ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ যা হল ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের পর থেকে সর্বোচ্চ পতন।

    যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির পরিমাণ ৫০ দশমিক ৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। মোটরগাড়ি এবং তার যন্ত্রাংশ রপ্তানির পরিমাণ ৭০ শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়েছে।

    ইউরোপীয় ইউনিয়নে হ্রাসের পরিমাণ হল ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ। সেখানেও মোটরগাড়ি এবং তার যন্ত্রাংশ রপ্তানিতে গুরুতর পরিমাণ হ্রাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চীনে রপ্তানির পরিমাণ ১ দশমিক ৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

    মে মাসে জাপানে আমদানির পরিমাণ ছিল প্রায় চার হাজার ছয়শো নব্বই কোটি ডলার, যা হল গত বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ২ শতাংশ কম। ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসের পর থেকে পতনের এই পরিমাণ হল সর্বোচ্চ।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ থেকে বিমান আমদানি কমে যাওয়ার ফলে এই সংখ্যা এতটা হ্রাস পেল।

    অন্যদিকে চীন থেকে মুখের মাস্ক সহ সুতা এবং বস্ত্রের আমদানি চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

    এইসব কারণে মে মাসে বাণিজ্যিক ভারসাম্যে প্রায় সাতশো আশি কোটি ডলার ঘাটতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

    অক্সফোর্ডের করোনা টিকার কার্যকরী মেয়াদ কতটুকু?

    প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কার্যকরী টিকা পাওয়া গেছে বলে দাবি জানিয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। সেপ্টেম্বরে মধ্যেই ২০০ কোটি ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে বিশ্বের বৃহৎ দুই ফার্মাসিটিক্যিাল কোম্পানি। তবে এর মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে এ প্রতিষেধকের কার্যকরী মেয়াদ নিয়ে।

    ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়. অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি করোনা প্রতিষেধক উৎপাদনের কাজ শুরু করে দিয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ এবং বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট।

    ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’র কার্যনির্বাহী প্রধান পাস্কাল সরিওট জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ২০০ কোটি ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে দুই কোম্পানি।

    নতুন উৎপাদিত প্রতিষেধকের কার্যকরী মেয়াদ নিয়ে সরিওট বলেন, এই প্রতিষেধক এক বছর পর্যন্ত করোনার থেকে সুরক্ষা দিতে পারবে বলে আমরা অনুমান করছি।

    শনিবার সরিওট জানান, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং নেদারল্যান্ডসে এই প্রতিষেধকের ৪০ কোটি ডোজ পাঠাবে ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’। এনিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই দেশগুলির সঙ্গে চুক্তিও করেছে কোম্পানিটি।

    জানা যায়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি প্রতিষেধকটির তৃতীয় অর্থাৎ শেষ পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালের কাজ চলছে। মোট ৪২ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এ বার এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ হাজার, ইংল্যান্ডের ১০ হাজার এবং ব্রাজিলে অন্তত ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই টিকার হিউম্যান ট্রায়াল হবে।

    ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’র কার্যনির্বাহী প্রধান পাস্কাল সরিওট জানান, সব ঠিকঠাক থাকলে প্রতিষেধকটির সুরক্ষা এবং কার্যকারিতার দিক বিবেচনা করে চূড়ান্ত পর্বের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর হয়তো অক্টোবরের মধ্যেই বিশ্ব বাজারে চলে আসবে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি এই করোনা প্রতিষেধক। জিনিউজ।

    সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে থাকায় নৈশকালীন বিনোদন এলাকার উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করেছে টোকিও

    টোকিও’র কর্তৃপক্ষ বলছে, রবিবার ৪৭ ব্যক্তির করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল এসেছে। ছয় সপ্তাহ পর এবারই প্রথম রাজধানীতে দৈনিক নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ৪০ ছাড়িয়ে গেল।

    অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে ৩২টি সংক্রমণই ছিল নৈশকালীন বিনোদন স্থাপনার সাথে সম্পর্কিত।

    টোকিও’র গভর্নর কোইকে ইউরিকো রবিবার শিনজুকু ওয়ার্ডের প্রধান এবং সরকারের করোনাভাইরাস মোকাবিলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী নিশিমুরা ইয়াসুতোশির সঙ্গে বৈঠক করেন।

    তারা এটি নিশ্চিত করেন যে নৈশকালীন বিনোদন এলাকাসমূহে সংক্রমণ রোধে তারা আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন।

    সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশিকা মানা হচ্ছে কিনা সেটির উপর গুরুত্ব দেয়া হবে। আর কর্মীদের পরীক্ষা করানোর জন্য তারা বার এবং নৈশক্লাবের প্রতি অনুরোধ জানাবেন।

    গভর্নর কোইকে বলেন, তার সরকার আরও পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার একটি টাস্কফোর্স গঠন করবে। প্রাদুর্ভাব পর্যবেক্ষণের জন্য এতে নতুন সূচক অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

    মন্ত্রী নিশিমুরা সাংবাদিকদের বলেন, হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়া এই সংক্রমণ বিধিনিষেধ শিথিলীকরণের পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হওয়ার সরকারি পরিকল্পনার ক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন ঘটাবে না। আগামী শুক্রবার এটি কার্যকরের সূচী নির্ধারিত রয়েছে।

    পারস্পরিক ভ্রমণ বিধিনিষেধ শিথিল করবে জাপান ও ভিয়েতনাম

    জাপান ও ভিয়েতনাম এখন সীমিত পর্যায়ে একে অপরের নাগরিকদের ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।

    সরকার সমর্থিত একটি কর্মসূচির অধীনে কারিগরি প্রশিক্ষণার্থীর পাশাপাশি ব্যবসা সংশ্লিষ্ট লোকজনকে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটি থেকে দ্রুত হলে জুন মাসের শেষ নাগাদ জাপানে আসার অনুমোদন দেয়ার পরিকল্পনা করছে টোকিও।

    ভিয়েতনামে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং জাপানের ব্যবসায়িক নেতৃত্ব উদীয়মান ঐ বাজারের সাথে দ্রুত ভ্রমণ পুনরায় শুরুর জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন।

    এক্ষেত্রে, সংক্রমিত নন এটি নিশ্চিত করার জন্য যাত্রার পূর্বে ভিয়েতনামি পর্যটকদের ভাইরাস পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা করছে সরকার।

    এছাড়া, জাপানে আসার পর আরেকটি পরীক্ষার পাশাপাশি তাদের ভ্রমণসূচি দাখিলের অনুরোধ জানানোরও সম্ভাবনা রয়েছে।

    তবে, ঠিক কবে নাগাদ ভিয়েতনামের নাগরিকরা জাপান ভ্রমণ শুরু করবেন সেই সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া না হলেও জাপানের ব্যবসায়ীরা দ্রুত হলে জুন মাসের শেষ নাগাদ ভিয়েতনাম ভ্রমণ শুরু করবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

    এছাড়া, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের সাথেও এখন আলোচনা চালাচ্ছে জাপান।

    থাইল্যান্ডের সাথে আলোচনা অগ্রসর হয়ে চললেও অন্য দু’টি দেশ প্রাথমিক পর্যায়ে জাপানি পর্যটকদের গ্রহণ করার ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে।

    কালোজিরা ব্যবহারে সেরে যাচ্ছে করোনা দাবি মদিনার গবেষকদের

    বিশ্বে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এই বৈশ্বিক মহামারি প্রতিরোধে করোনার টিকার বের করার জন্য হন্যে হয়ে কাজ করছেন সারা বিশ্বের গবেষকরা। এমন পরিস্থিতিতে সৌদি আরবের মদিনার তাইবাহ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দাবি করেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সফলভাবে চিকিৎসা করেছেন তারা। এজন্য কালোজিরা ব্যবহার করা হয়েছে; যা হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর দেখানো চিকিৎসা পদ্ধতি।

    ওই গবেষকদলের গবেষণাপত্র ছাপা হয়েছে মার্কিন জার্নাল ‘পাবলিক হেলথ রিসার্চ’-এ। যা চাইলে যে কেউই দেখতে পারবেন।

    ওই গবেষকদলের চিকিৎসা পদ্ধতিতে বলা হয়, দুই গ্রাম কালোজিরা, এক গ্রাম চামেলি ফুল এবং এক চা চামচ মধু এক সঙ্গে মিশিয়ে করোনা থেকে সরে উঠা পর্যন্ত খেতে হবে। এই মিশ্রনটি খাওয়ার পর যে কোনো ফলের জুস কিংবা লেবু অথবা কমলা খাওয়ার জন্য রোগীদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

    কালোজিরা হলো রাসূল (সা.) এর দেখানো চিকিৎসা উপকরণ। হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কালোজিরা হলো সর্বরোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার ওষুধ। তবে বিষ ছাড়া। আয়েশা (রা.) জিজ্ঞেস করেছেন, বিষ কী? রাসূল (সা.) বলেছেন, মৃত্যু। (সহীহ বুখারি-৫৩৬৩)

    এই গবেষণা দলের প্রধান ডা. সালাহ মোহাম্মেদ এল সায়েদ বলেন, আল্লাহর অনুগ্রহে যারা এই চিকিৎসা নিয়েছেন তারাই সেরে উঠেছেন এবং তারা এটি নিজেদের বাড়িতেই তৈরি করেছেন। এই চিকিৎসা নেয়ার পর রোগীদের সেরে উঠতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগেনি।

    গবেষণাপত্রে উল্লেখ রয়েছে, কালোজিরা ব্যবহারের ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। টিস্যু সুরক্ষিত থাকে, ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্থ হয় না । এছাড়া মধুও ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। পাশপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। পাশাপাশি চামেলি ফুলের নির্যাস শরীরের তাপমাত্রা কমাতে জাদুকরি কাজ করে।

    ওয়ার্ল্ডওমিটারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭৮ লাখ ৫৫ হাজার ছয়শ ২৮ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৩১ হাজার ছয়শ ৭২৬ জন। মুসলিম ইঙ্ক।

     

    বৈশ্বিক মহামারির কারণে প্রাকৃতিক বরফের চালান শুরুতে বিলম্ব

    করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে টোকিওর পশ্চিমের ইয়ামানাশি জেলায় বরফের চালান স্বাভাবিকের তুলনায় দুমাস পরে শুরু হয়েছে।

    প্রাকৃতিক বরফ খণ্ড খাদ্য শিল্পে চাঁচা বরফের মজাদার খাবার বানানোসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়। হোকুতো শহরের ইয়াতসুয়োশি নামক একটি কোম্পানি সাধারণত বরফের ব্যস্ততম গ্রীষ্মকালীন মৌসুমের আগে এপ্রিল মাসে রেস্তোরাঁ ও হোটেলে এই বরফ পরিবহন শুরু করে।

    তবে, প্রাদুর্ভাবের কারণে চাহিদা কমে যাওয়ায় চলতি বছর কোম্পানিটি অনেক কম ক্রয়াদেশ পায়।

    শীতকালে প্রাকৃতিক পরিবেশে গঠিত বরফ মাইনাস ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে।
    ৫০ কিলোগ্রাম ওজনের বরফখণ্ডকে কেটে ১৫ বর্গ সেন্টিমিটার আকারের টুকরায় পরিণত করা হয়।

    ইয়াতসুয়োশি কোম্পানির তাকানাশি তোশিহিসা বলেন, ধীরে ধীরে ক্রয়াদেশ পুনরায় ফিরে আসতে থাকায় তিনি স্বস্তি বোধ করছেন।

    তিনি, লোকজন পরিবার পরিজন ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে মিলে প্রাকৃতিক বরফ দিয়ে তৈরি তুলতুলে চাঁচা বরফের খাবার উপভোগ করবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।