শুক্রগ্রহে ফসফিন গ্যাসের উপস্থিতি জীবনের ইঙ্গিতবাহী হতে পারে

আন্তর্জাতিক একটি গবেষণা দল জানিয়েছে যে তারা শুক্রগ্রহের মেঘের মধ্যে ফসফিন গ্যাস শনাক্ত করেছে যা এই গ্রহে জীবনের উপস্থিতির সম্ভাব্য সংকেত হতে পারে।

বৃটেন’এর কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের কিয়োতো সানগিয়ো বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা তাদের লব্ধ তথ্য বৃটেনের বিজ্ঞান জার্নাল নেচার অ্যাস্ট্রোনমি’তে সোমবার প্রকাশ করেন।

দলটি রেডিও দূরবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করে শুক্রগ্রহের পৃষ্ঠের প্রায় ৬০ কিলোমিটার উপরে হাইড্রোজেন ও ফসফরাস অণুর মাধ্যমে গঠিত এই গ্যাস সামান্য পরিমাণে শনাক্ত করে।

কিছু কিছু গ্রহের উপরে একটি রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে ফসফিন গ্যাস তৈরি হয়, তবে পৃথিবীতে এই গ্যাস অনুজীবের মাধ্যমে তৈরি হয়।

দলটি জানায়, শুক্রগ্রহের পরিমণ্ডলের ফসফিন গ্যাস একটি অজ্ঞাত রাসায়নিক বিক্রিয়া বা জৈবিক কর্মকাণ্ড থেকে তৈরি হয়ে থাকতে পারে।

তারা ব্যাখ্যা করে বলেন, এই রাসায়নিক পদার্থটি গ্রহের পরিমণ্ডলে সৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে দ্রবীভূত হয়ে যেতে পারে এবং সেই আগ্নেয় কর্মকাণ্ড বা বজ্রপাত থেকে সনাক্ত হওয়া পরিমাণের ফসফিন গ্যস তৈরি হতে পারে না।

পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী গ্রহ, শুক্রগ্রহে জীবনের উপস্থিতি থাকতে পারে না বলেই বিশ্বাস করা হয়। এর কারণ হচ্ছে, সূর্যের সাথে এর নৈকট্য এবং এর কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পুরু স্তর গ্রহটির উপরিভাগের তাপমাত্রাকে খুব বাড়িয়ে রাখা।

তবে, কয়েকজন বিজ্ঞানী এই গ্রহ পৃষ্ঠের বেশ কয়েক কিলোমিটার উপরে জীবনের লক্ষণ খুঁজে পাওয়ার আশা করছেন, যেখানে তাপমাত্রা এবং চাপ অপেক্ষাকৃত কম।

গবেষণা দলটি এও জানাচ্ছে, প্রাপ্ত এই তথ্য এটা প্রমাণ করে না যে শুক্রগ্রহে জীবনের অস্তিত্ব রয়েছে।

তবে, এই আবিষ্কার ইতোমধ্যেই উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।