যুক্তরাষ্ট্রে যে কারণে হুহু করে বাড়ছে সংক্রমণ

যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন রাজ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর কর্মকর্তাদের মধ্যে এ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

সংক্রামক রোগ বিষয়ক প্রধান ড. অ্যান্থনি ফাউচি বলেছেন, এ বিষয়ে দেশটির বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে।

সম্প্রতি হঠাত্ করেই ১৬টি রাজ্যে সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার পর হোয়াইট হাউজে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের ব্রিফিংয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। এদিকে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। খবর বিবিসির

শুক্রবার সারা দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে ৪০ হাজারেরও বেশি লোককে শনাক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারেও সংখ্যাটা এর কাছাকাছিই ছিল।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, শুক্রবার মোট ৪০ হাজার ১৭৩ জন আক্রান্ত। যা আগের দিনের চেয়ে সামান্য বেশি এবং নতুন রেকর্ড। যুক্তরাষ্ট্রেই বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ এই ভাইরাসে মারা গেছেন ও আক্রান্ত হয়েছেন। সারা দেশে ২৪ লাখ মানুষ আক্রান্ত এবং মারা গেছে অন্তত এক লাখ ২৫ হাজার।

লকডাউন শিথিলে বাড়ছে সংক্রমণ!

হোয়াইট হাউজ টাস্ক ফোর্স উপসর্গ না থাকলেও তরুণদেরও পরীক্ষা করার ওপর জোর দিয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হুট করে বেড়ে গেছে। টেক্সাস, ফ্লোরিডা এবং অ্যারিজোনা রাজ্যে এই বৃদ্ধির কারণে দোকান-পাট অফিস আদালত খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে। নতুন করে আরোপ করা হয়েছে আরো কিছু বিধি-নিষেধ।

টাস্ক ফোর্সের সমন্বয়কারী ড. ডেবোরা বির্ক্স পরীক্ষা করাতে এগিয়ে আসায় তরুণদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, আগে তাদের বলতাম বাড়িতে থাকতে, এখন আমরা তাদের পরীক্ষা করাতে বলছি। সংক্রমণের সব হিসাব নিকাশ তুলে ধরে ড. ফাউচি বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছি।

দেশের একটি এলাকায় যা হচ্ছে চূড়ান্তভাবে অন্য এলাকাতেও তার প্রভাব পড়তে পারে। তিনি মনে করেন, কোথাও কোথাও লকডাউন একটু আগেই শিথিল করে দেওয়ায় সে সব জায়গায় সংক্রমণ বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, লোকজন অন্যদের আক্রান্ত করছে এবং আপনি হয়তো এমন এক জনকে আক্রান্ত করতে পারেন যার স্বাস্থ্য নাজুক অবস্থায়। তিনি বলেন, সবার যেমন নিজের ব্যাপারে দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি দায়িত্ব আছে সামাজিকভাবেও। আমরা যদি এই মহামারির অবসান ঘটাতে চাই তাহলে আমাদেরকে বুঝতে হবে যে আমরাও এই প্রক্রিয়ার একটি অংশ। তার মতে এর বিস্তার ঠেকানো না হলে যে সব জায়গায় উন্নতি হয়েছে সেখানেও তার প্রভাব পড়বে। কিন্তু ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স লকডাউন শিথিল করার সঙ্গে করোনা ভাইরাসের বিস্তার লাভের ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।