অক্সফোর্ডের করোনা টিকার কার্যকরী মেয়াদ কতটুকু?
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কার্যকরী টিকা পাওয়া গেছে বলে দাবি জানিয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। সেপ্টেম্বরে মধ্যেই ২০০ কোটি ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে বিশ্বের বৃহৎ দুই ফার্মাসিটিক্যিাল কোম্পানি। তবে এর মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে এ প্রতিষেধকের কার্যকরী মেয়াদ নিয়ে।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়. অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি করোনা প্রতিষেধক উৎপাদনের কাজ শুরু করে দিয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ এবং বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট।
‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’র কার্যনির্বাহী প্রধান পাস্কাল সরিওট জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ২০০ কোটি ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে দুই কোম্পানি।
নতুন উৎপাদিত প্রতিষেধকের কার্যকরী মেয়াদ নিয়ে সরিওট বলেন, এই প্রতিষেধক এক বছর পর্যন্ত করোনার থেকে সুরক্ষা দিতে পারবে বলে আমরা অনুমান করছি।
শনিবার সরিওট জানান, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং নেদারল্যান্ডসে এই প্রতিষেধকের ৪০ কোটি ডোজ পাঠাবে ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’। এনিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই দেশগুলির সঙ্গে চুক্তিও করেছে কোম্পানিটি।
জানা যায়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি প্রতিষেধকটির তৃতীয় অর্থাৎ শেষ পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালের কাজ চলছে। মোট ৪২ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এ বার এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ হাজার, ইংল্যান্ডের ১০ হাজার এবং ব্রাজিলে অন্তত ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই টিকার হিউম্যান ট্রায়াল হবে।
‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’র কার্যনির্বাহী প্রধান পাস্কাল সরিওট জানান, সব ঠিকঠাক থাকলে প্রতিষেধকটির সুরক্ষা এবং কার্যকারিতার দিক বিবেচনা করে চূড়ান্ত পর্বের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর হয়তো অক্টোবরের মধ্যেই বিশ্ব বাজারে চলে আসবে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি এই করোনা প্রতিষেধক। জিনিউজ।