আগামী সপ্তাহে বিধিনিষেধ আরও শিথিল করবে টোকিও
টোকিও মহানগর সরকারের কর্মকর্তারা মহানগরের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড পর্যায়ক্রমে পুনরায় আরম্ভের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করছেন। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে জারি করা বিধিনিষেধ চলতি সপ্তাহান্তের পর আরও শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে টোকিও’র গভর্নার কোইকে ইউরিকো বলেন, “পয়লা জুন রাত ১২টা’র পরেই আমরা পরবর্তী ধাপে পা রাখব”।
এই পরিবর্তনের ফলে জিমনেশিয়াম, থিয়েটার এবং অত্যাবশ্যক নয় এমন খুচরো পণ্য বিক্রির দোকানের মত ব্যবসাগুলি আবার খোলার অনুমতি পাবে। তবে রেস্তোরাঁ এবং চা-কফি’র দোকানগুলির ওপর রাত ১০টার পরে খাদ্য ও পানীয় পরিবেশন বন্ধ করার কড়াকড়ি এর পরেও জারি থাকবে।
সাম্প্রতিক সময়ে টোকিওতে করোনাভাইরাসে নতুন সংক্রমণের নিশ্চিত সংখ্যা ১৫ বা তার চেয়ে কম থাকছে, যা এই সংখ্যা যখন চূড়ায় পৌঁছেছিল সেই সময়ের ২শো বা ততোধিকের চেয়ে অনেক কম।
তবে দেশের এক অংশে সংক্রমণের সংখ্যা আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কিতাকিউশু’র মেয়র কিতাহাশি কেনজি বলেন, “আমাদের শহরে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হেনেছে। সংক্রমিত ব্যক্তিদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা লোকজনকে পিসিআর পরীক্ষা করাতে আহ্বান জানানোর মধ্য দিয়ে এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের যথাসাধ্য চেষ্টা আমরা করব”।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কিতাকিউশু’র জনসংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ। সেখানে বিগত ছয় দিনে ৪৩টি সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত হয়েছে।
শহরটির এক নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীর দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর, জীবাণুমুক্ত করার জন্য বিদ্যালয়টি বন্ধ রাখা হয়েছে।
জাপানে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত যা খবর তাতে ১৬ হাজার ৭শো’র বেশি ব্যক্তি করোনাভাইরাসের সংক্রমিত হয়েছেন এবং মারা গিয়েছেন প্রায় ৮শো ৮০ জন।