অনেকগুলো জেলা থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা

জাপান সরকার, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে সমগ্র দেশব্যাপী জারি করা জরুরি অবস্থা পূর্ব পরিকল্পিত ৩১শে মে’র আগেই বিশেষ সতর্কাবস্থা না থাকা সর্বোচ্চ ৩৪টি জেলা থেকে প্রত্যাহার করা হতে পারে বলে জানিয়েছে।

রবিবার প্রচারিত এনএইচকে’র এক অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন বিষয়ক মন্ত্রী নিশিমুরা ইয়াসুতোশি, আগামী সপ্তাহে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মতামত শোনার পর সরকার জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের বিষয় বিবেচনা করবে বলে জানান।

নিশিমুরা, এইধরনের একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সাপ্তাহিক নতুন সংক্রমণের সংখ্যা হ্রাস এবং আঞ্চলিক জনসংখ্যার অনুপাতে সংক্রমণের হার বিবেচনার বিষয় হতে পারে বলে উল্লেখ করেন।

তিনি, নতুন সংক্রমণের কোন ঘটনা নেই এমন জেলাগুলো থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হতে পারে বলে জানান। তিনি, পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে টোকিও ও ওসাকা জেলা অন্তর্ভুক্ত থাকা বিশেষ সতর্কতা বিরাজমান থাকা ১৩টি জেলা থেকেও জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।

স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রী কাতো কাৎসুনোবু, বিক্রি হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও কর্মীদের চাকুরিচ্যুত না করা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে প্রদেয় কর্মসংস্থানের ভর্তুকির বিষয় উল্লেখ করেন।

তিনি, আবেদনের প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে সহজীকরণের মাধ্যমে আবেদন গ্রহণের অন্তত দুই সপ্তাহ পর ভর্তুকির অর্থ প্রদানের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানান।

তিনি, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে ছুটিতে থাকতে বাধ্য হওয়া প্রত্যেক কর্মীর জন্য সরকারের প্রদেয় অর্থের পরিমাণ দৈনিক সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৩৩০ ইয়েন বা প্রায় ৮০ মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি করার বিষয় বিবেচনা করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন।

জাপানের বাণিজ্য ও শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান মিমুরা আকিও’ও উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

তিনি, বিভিন্ন কোম্পানির দেউলিয়া হওয়া ও ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার পদক্ষেপ সমাজের বিশাল বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে উল্লেখ করে যত দ্রুত সম্ভব ভর্তুকি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।