জাপানে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার নতুন সম্ভাবনা
জাপান কোভিড-১৯’এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে চিকিৎসা কর্মীদের হাতে অন্য একটি হাতিয়ার তুলে দিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে ভাইরাস-রোধী ওষুধ অনুমোদনের মাধ্যমে একটি নতুন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।
জাপান অতি দ্রুত রেমডেসিভির ওষুধের অনুমোদন দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র চলতি মাসের শুরুতে এই ওষুধের জরুরি ব্যবহারের স্বীকৃতি দেয়। ইবোলা’র চিকিৎসার জন্য রেমডেসিভির’এর উন্নয়ন করে যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক একটি কোম্পানি গিলিয়াড সায়েন্স।
তবে, রেমডেসিভির’এর সরবরাহ সম্ভবত সীমিত। তাই সরকার মারাত্মক উপসর্গ থাকা রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে প্রধানত এই ওষুধ সহজলভ্য করার পরিকল্পনা করছে।
জাপানে কোভিড-১৯’এর জন্য অন্য একটি চিকিৎসা পদ্ধতিরও সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
কিতাসাতো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের নেতৃত্বাধীন একটি দল জানাচ্ছে, তারা প্রশমিত করার একটি অ্যান্টিবডি কৃত্রিমভাবে উৎপন্ন করেছে।
তারা জানাচ্ছে, বিভিন্ন পরীক্ষা থেকে দেখা যায় যে এই অ্যান্টিবডি থাকা অধিকাংশ কোষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়নি।
যখন কোষগুলো একটি ভাইরাসে সংক্রমিত হয় তখন প্রশমিত করার একটি অ্যান্টিবডি মানব শরীরে তৈরি হয়।
এই অ্যান্টিবডি ভাইরাসের সাথে একটি বন্ধন তৈরি করে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির কোষের উপরিভাগের রিসেপ্টরে এসে লেগে যাওয়াকে রোধ করে।
কিতাসাতো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাতাইয়ামা কাযুহিকো বলেন, “একটি অ্যান্টিবডি ওষুধের সম্ভাবনা থেকে চিকিৎসা পদ্ধতির উদ্ভব হওয়া আরও বেশি বিকল্পের সৃষ্টি করবে। আমি আশা করছি এটা একটা নতুন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি হয়ে উঠবে।”