জাপানে জরুরি অবস্থা ৬ মে পুরোপুরি না তোলার সম্ভাবনা

জাপান সরকারের কর্মকর্তারা অধিকতরভাবে এরকম অভিমত জানাচ্ছেন যে মে মাসের শুরুর দিকে জরুরি অবস্থা পুরোপুরি তুলে নেয়া কঠিন হবে। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সংক্রমণের গতি শ্লথ হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসের ৭ তারিখ সরকার টোকিও এবং ওসাকা’সহ আরও পাঁচটি জেলার জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। আর এপ্রিল মাসের ১৬ তারিখ ঘোষণাটি দেশব্যাপী বিস্তৃত করে নেয় তারা।

কর্মকর্তারা সারা দেশের পরিস্থিতির উপর ঘনিষ্ঠভাবে নজর রেখে চলেছেন। লোকজনের পারস্পরিক সংযোগ ৮০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে কিনা এবং চিকিৎসা স্থাপনাগুলোতে পরিস্থিতি কী রকম, সে সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত শোনার পর তারা বিবেচনা করে দেখবেন যে মে মাসের ৬ তারিখের পরও জরুরি অবস্থা বৃদ্ধি করে নেয়া হবে কিনা।

অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন মন্ত্রী নিশিমুরা ইয়াসুতোশি এনএইচকে’র এক অনুষ্ঠানে বলেন, স্কুল এবং কোম্পানিগুলো যাতে প্রস্তুতি নিতে পারে, সেকারণে যথেষ্ট সময় আগে সরকারের এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। উল্লেখ্য, তিনি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংখ্যা হ্রাস পেতে শুরু করলেও টোকিও এবং ওসাকায় দৈনিক নিশ্চিত সংক্রমণের সংখ্যা তাদের প্রত্যাশার চাইতে বেশি হচ্ছে।