অপ্রতুল বাতাস চলাচলের স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ জাপানি বিশেষজ্ঞদের
একদল বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন ধারণা করা হচ্ছে জাপানে মৃদু লক্ষণ থাকা লোকজন অনিচ্ছাকৃতভাবে নতুন করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটাচ্ছে এবং তাদের যেখানে বাতাস চলাচল অপ্রতুল সেসব জনবহুল স্থান এড়িয়ে চলা উচিত।
সোমবার কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের জন্য গঠিত একটি সরকারি টাস্ক ফোর্সের একটি বিশেষজ্ঞ দল সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং করণীয় শীর্ষক তাদের মতামত প্রকাশ করেছে।
দলটি বলছে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে লক্ষ্য করা গেছে যে মৃদু লক্ষণ থাকা তরুণ লোকজন হয়তো জনসমাগম স্থানে অজান্তে ভাইরাসের বিস্তার ঘটানোর ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করছে।
তারা বলছে প্রায় ৮০ শতাংশ সংক্রমিত ব্যক্তি ভাইরাসের বিস্তার ঘটাচ্ছে না। তবে এটি কিছু ঘটনার তালিকা করেছে যেখানে একজন ব্যক্তি লাইভ সঙ্গীত কনসার্ট, স্পোর্টস জিম এবং বুফে রেস্তোরাঁর মত বদ্ধ স্থানে কাছাকাছি সংস্পর্শে আসা একাধিক ব্যক্তিকে সংক্রমিত করেছেন।
দলটি জাপানের সর্বোচ্চ আক্রান্ত উত্তরাঞ্চলীয় জেলা হোক্কাইদোর পরিস্থিতি বিশ্লেষন করেছে। দলটি লক্ষ্য করে যে শহরাঞ্চলে সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে সক্রিয় লোকজনের সমবেত হওয়ার স্থানে সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে।
দলটি জানায় আগামী দু’সপ্তাহ এধরণের জনবহুল স্থান এড়িয়ে চলাই রোগের বিস্তার রোধ করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা যদি সাধারণ সর্দি-জ্বরের মত মৃদু লক্ষণ থাকে তবে বাতাস চলাচল অপ্রতুল থাকা স্থানের অনুষ্ঠান এবং ছোট জায়গায় একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা লোকজনকে এড়িয়ে চলতে বলেছে এবং বাড়ির বাইরে যাওয়া হতে বিরত থাকতে সেসব লোকজনের প্রতি আহবান জানিয়েছে।
দলটি জানিয়েছে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যাবে যদি লোকজন এর পরিবর্তে কম লোকের সংশ্লিষ্টতা থাকা স্থানে বেড়ানো বা কাজকর্ম করে। তারা কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে অন্য লোকের সাথে কথা বলতে তাদের উপদেশ দেন।
দলটি জানায় ১০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী লোকেরা অন্য লোকজনের মধ্যে ভাইরাস ছড়াতে পারে যাদের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা বলেন অপ্রতুল বাতাস চলাচলের স্থানে ভীড় এড়িয়ে তরুণ লোকজন সংবেদনশীল লোকদের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে।