করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় মৌলিক নীতি নির্ধারণ জাপানের
নতুন করোনাভাইরাসের অভ্যন্তরীণ প্রাদুর্ভাব থেকে সুরক্ষার পদক্ষেপ সংশ্লিষ্ট একটি মৌলিক নীতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান সরকার। গুরুতরভাবে অসুস্থদের জন্য চিকিৎসা স্থাপনায় যথেষ্ট সেবা নিশ্চিত করতে অপেক্ষাকৃত কম উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের অসুস্থতা থেকে সেরে ওঠার জন্য বাড়িতে অবস্থানের আহ্বানও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
আজ নতুন করোনাভাইরাস নিয়ে সরকার গঠিত টাস্কফোর্স প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে বৈঠক করে।
টাস্কফোর্স বলছে, বর্তমানে জাপানের অনেকগুলো এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে রোগী রয়েছে যাদের সংক্রমণের পথটি অস্পষ্ট। এছাড়া, কিছু এলাকায় ছোট আকারের গুচ্ছবদ্ধ রোগীর উপস্থিতির বিষয়টিও তারা উল্লেখ করে।
ভাইরাসের বিস্তার রোধে জ্বর বা ঠাণ্ডাজনিত উপসর্গ দেখা দিলে কাজ বা স্কুলে যাওয়া থেকে বিরত থেকে লোকজনকে বাড়িতে অবস্থানের আহ্বানও জানাচ্ছে টাস্কফোর্স। এছাড়া, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর্মীদের বাড়িতে থেকে কাজে উৎসাহ দেয়ার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে নমনীয় সময়সূচি অনুসরণের আহ্বানও জানাচ্ছে তারা।
সংশ্লিষ্ট আয়োজকদের পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান আয়োজন পুরোপুরি বাতিলের পাশাপাশি পরিধি কমিয়ে আনার আহ্বান না জানিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাদের নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হওয়ার আদৌ কোন প্রয়োজন আছে কিনা, সেটি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছে টাস্কফোর্স।
তীব্র সংক্রমণ দেখা দেয়া অঞ্চলসমূহে রোগের স্বল্প উপসর্গ থাকা লোকজনকে নীতিগতভাবে বাড়িতে থেকে সুস্থ হওয়ার আহ্বান জানানো হবে। ছোঁয়াচে রোগীর চিকিৎসায় বিশেষায়িত নয় এরকম চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরীক্ষার সময়সূচি এবং চলাচলের এলাকা নির্ধারণের পর রোগী ভর্তি করার আহ্বান জানানো হবে।