ইউক্রেনের বিমান হয়তো ভূপাতিত করা হয়েছে

কানাডা, ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্র সন্দেহ করছে যে, ইরান ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করেছে যেটি বুধবার বিধ্বস্ত হয়। ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করে।

ইউক্রেন আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৭৫২ প্রায় ১৮০ জন আরোহী নিয়ে তেহরানের একটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর পরই বিধ্বস্ত হয়। সমস্ত যাত্রী এবং ক্রু নিহত হয়েছেন।

ইউক্রেনের সরকার জানাচ্ছে, ৮২ জন ইরানি নাগরিক এবং ৬৩ জন কানাডার নাগরিক বিমানের যাত্রী ছিলেন। আরোহীদের মধ্যে আরও ছিলেন ইউক্রেন, সুইডেন, আফগানিস্তান, জার্মানি ও বৃটেনের নাগরিক।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বৃহস্পতিবার বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণ এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বিমানটি ইরানের ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে ভূপাতিত করা হয়। তিনি এও বলেন, বিমানটি হয়তো ভুলবশত ভূপাতিত করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তারা একথা বলেন বলে জানা গেছে যে, মার্কিন উপগ্রহ দু’টি ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করে যেগুলো বিমানটি বিস্ফোরিত হওয়ার একটু আগে নিক্ষেপ করা হয় এবং বিমানটি হয়তো দুর্ঘটনাবশত ইরানি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভূপাতিত করেছে।

ইরানি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রাষ্ট্র পরিচালিত টেলিভিশনে বলেন, এই আকাশ পথে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানের ফ্লাইটগুলো যাওয়া-আসা করে বলে এ ধরনের এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্রের নিক্ষেপ সত্যিই অবিশ্বাস্য ঘটনা।

কর্মকর্তা এও বলেন, যদি একটি ক্ষেপণাস্ত্র বিমানটিকে আঘাত করতো তাহলে এটি টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙ্গে পড়তো। তবে পাইলটরা বিমানে আগুন ধরে গেলে বিমানবন্দরে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কর্মকর্তা আরও বলেন, এই উচ্চতার একটি বিমান বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সক্রিয় করবে না।

কর্মকর্তা এও বলেন, ইরান পশ্চিমা দেশ থেকে অনুসন্ধানকারীদের আমন্ত্রণ জানাতে প্রস্তুত রয়েছে।