জাপানে নিজ বাড়ি’সহ অন্যান্য স্থানে নববর্ষের ছুটি কাটাতে যাওয়া যাত্রী সংখ্যার রেকর্ড

নিজ বাড়ী অথবা অন্যান্য স্থানে ছুটিতে যাওয়া বছর শেষের যাত্রীরা জাপানের সড়ক, বিমানবন্দর এবং ট্রেন স্টেশনে ভিড় করছেন।

জাপানের রেলপথ কোম্পানিগুলো আজ সকালে বলেছে যে টোকিও থেকে ছেড়ে যাওয়া শিনকানসেন বুলেট ট্রেনের রিজার্ভ-বিহীন বগিগুলো ধারণক্ষমতার ১০০ শতাংশেরও বেশি ভর্তি ছিল। সবচেয়ে ভিড়ের ট্রেনগুলোর যাত্রী ধারণক্ষমতার ১শ ৮০ শতাংশ পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছোয়।

টোকিও’র অদূরের নারিতা বিমানবন্দর নতুন বছরের ছুটি কাটাতে বিদেশ-গামী যাত্রীদের ভিড়ে পরিপূর্ণ ছিল।

৬২ হাজারেরও বেশি লোক নারিতা থেকে আজ বিদেশের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে যা বছর শেষে বহির্গমন চুড়োয় ওঠার সময়ের জন্য একটি রেকর্ড।

বিমান কর্মকর্তাদের অনুমিত হিসাব অনুযায়ী, এবারের যাত্রী সংখ্যা গতবছরের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি।

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার বিমানগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়েছে কারণ এই বছর অনেকেই আজ থেকে আগামী সপ্তাহের রবিবার পর্যন্ত টানা নয় দিনের দীর্ঘ ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।

তবে, গণতন্ত্র-পন্থী বিক্ষোভ এবং পুলিশি পদক্ষেপের মাঝে এবার হংকং’গামী বিমান যাত্রীর সংখ্যায় প্রায় ১০ শতাংশ হ্রাস ঘটবে।

এছাড়া, কর্মকর্তারা ধারণা করছেন যে জাপান থেকে দক্ষিণ কোরিয়া অভিমুখী যাত্রী সংখ্যাও এবার ২০ শতাংশ কম হবে যা দু’দেশের মধ্যেকার চলমান শীতল সম্পর্ককেই প্রতিফলিত করে।