রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সফল উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আব্দুস সোবহান
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহতম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৫৩ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ যাবৎ ২৩ জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রফেসর ড. এম আব্দুস সোবহান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ তম উপাচার্য। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মত দুইবার উপাচার্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান ১৯৫৩ সালে নাটোরের বৈদ্যবেলঘরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বোর্ড থেকে ১৯৬৯ সালে এসএসসি ও ১৯৭১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে বিএসসি অনার্স ও ১৯৭৫ সালে ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেক্ট্রনিক্স বিষয়ে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। শিক্ষা জীবনে সকল পরীক্ষায় তিনি (এইচ.এস.সি পরীক্ষায় ষ্ট্যান্ডসহ) প্রথম বিভাগ ও প্রথম শ্রেণি অর্জন করেন।
১৯৭৯ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে যোগ দেন ও ১৯৯৭ সালে প্রফেসর পদে উন্নীত হন। ১৯৯২ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাস্ল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপ-এ পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র হচ্ছে, এক্সপেরিমেন্টাল সারফেস ফিজিক্স, কনডেন্সড ম্যাটার ফিজিক্স, সোলার এনার্জি ও থিন ফিল্মস।
প্রফেসর সোবহান বিভিন্ন সময়ে দেশ-বিদেশে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও সেমিনারে সভাপতিত্বসহ অংশগ্রহণ করেন। এ যাবত তাঁর একটি পাঠ্যপুস্তকসহ উল্লেখযোগ্যসংখ্যক গবেষণা প্রবন্ধ বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি বেশ কয়েকটি গবেষণা তত্ত্বাবধান করেছেন।
অধ্যাপনার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে তিনি বিভাগীয় সভাপতি, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ও সিনেট সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়ার প্রশাসক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সহসভাপতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি বেশ কয়েকটি পেশাজীবী, বুদ্ধিবৃত্তিক ও বিজ্ঞান বিষয়ক সংগঠনের সদস্য। অধ্যাপক আব্দুস সোবহান রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগ ও বামপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের’ আহ্ববায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি সেনাসমর্থিত’ তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর সময়ে তিনি নির্যাতিত হয়েছিলেন এবং দীর্ঘদিন কারাবরণ করেছিলেন। মোটকথা একজন সফল উপাচার্য হিসেবে তাঁর সুনাম বাংলাদেশের বুকে অক্ষুন্ন থাকবে।