পোপ ফ্রান্সিসের নাগাসাকি সফর
পোপ ফ্রান্সিসের নাগাসাকি সফরকালে এনএইচকে ওয়ার্ল্ডের পর্তুগিজ ভাষার প্রতিবেদক সোনিয়া নাকাগাওয়া সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে তিনি প্রতিবেদনটি পাঠিয়েছেন।
আণবিক বোমা নিক্ষেপের ৭৫তম বার্ষিকী ঘনিয়ে আসার প্রাক্কালে এসময়টি পোপের সফরের জন্য উপযুক্ত সময়।
হিবাকুশা নামে পরিচিত আণবিক বোমা থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া লোকজন বৃদ্ধ হয়ে চলেছেন এবং আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে এসে পৌঁছেছি। বৈশ্বিক পরিস্থিতির দিকে নজর দিলে আমরা দেখতে পাই যে, গত দুই বছর আগে পরমাণু বিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক গতিশীলতা ছিল।
এসময় জাতিসংঘে পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধ করে একটি চুক্তি গৃহীত হয়। তবে জাপানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াসহ পরমাণু শক্তিধর দেশগুলো এই চুক্তিতে অংশগ্রহণ করেনি।
বর্তমানে নতুন একটি অস্ত্র প্রতিযোগিতা আরম্ভের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। চলতি বছর অগাস্ট মাসে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে নিজেদের পরমাণু অস্ত্র সীমিত করণ বিষয়ক একটি চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
বর্তমানে সারাবিশ্বে প্রায় ১৪ হাজার পরমাণু অস্ত্রের উপস্থিতি রয়েছে। স্নায়ু যুদ্ধকালীন সময়ের তুলনায় এ সংখ্যা অনেক কম হলেও ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে।
নাগাসাকির আণবিক বোমায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া কিছু লোকজন, তাঁদের বার্তা হারিয়ে গেছে বলে আশঙ্কা পোষণ করলেও পোপের এই সফর তাঁদের বার্তাটিকে বাঁচিয়ে রাখবে বলে আশাবাদ পোষণ করছেন।
আণবিক বোমা থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া সাকুয়ে শিমোহিরা, পোপের এই সফর পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পদক্ষেপে নতুন গতিশীলতা আনবে বলে প্রত্যাশা করছেন।
শিমোহিরা, নিজের আণবিক বোমার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার তৎপরতা অব্যাহত রেখে যাওয়ার পাশাপাশি লোকজন পোপের বক্তব্যকে নিজেদের কথা বলে বিবেচনা করে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে পরমাণু অস্ত্র বিলুপ্তি করণ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ এগিয়ে নিতে সহায়তা করবেন বলে বিশ্বাস করেন।
পোপের এই সফর শুধুমাত্র একটি ধাপ হলেও নাগাসাকির লোকজন, ধাপটি শান্তির পথে বিশ্বকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসবে বলে আশাবাদ পোষণ করছেন।
নাগাসাকি থেকে এনএইচকে ওয়ার্ল্ডের সোনিয়া নাকাগাওয়ার প্রতিবেদনটি এখানেই শেষ হল।