আণবিক বোমা হামলায় বেঁচে যাওয়া এক নারীর অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা বইয়ের প্রশংসায় জাতিসংঘ

পরমাণু অস্ত্রের ভয়াবহতা নিয়ে তরুণদের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা হিসাবে ১৯৪৫ সালে হিরোশিমার আণবিক বোমা হামলায় বেঁচে যাওয়া এক নারীর অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে রচিত এক ঐতিহাসিক কাহিনী পাঠের সুপারিশ করছে জাতিসংঘ।

জাপানি বংশোদ্ভূত মার্কিন লেখক ক্যাথলিন বার্কিনশ লেখা লাস্ট চেরি ব্লসম বইটি ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। একজন জাপানি নারীর অভিজ্ঞতায় অনুপ্রাণিত হয়ে বইটি লেখা হয়। আণবিক বোমা হামলার সময় ঐ নারীর বয়স ছিল ১২ বছর।

শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের এক সম্পদ হিসাবে বইটিকে জাতিসংঘ তাদের ওয়েবসাইটে অর্ন্তভুক্ত করেছে। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বইমেলায় জাতিসংঘ বার্কিনশকে আমন্ত্রণ জানায়।

বইটি লেখার কারণ হিসাবে লেখক তাঁর কন্যার সাথে এক কথোপকথনকে উল্লেখ করেন।

বার্কিনশ বলেন যে তাঁর কন্যা একবার তাঁকে বলেছিল যে সে আণবিক বোমা হামলা বিষয়ে জানতে চায় কেননা তার সহপাঠী আণবিক বোমার মাশরুম ক্লাউডকে আকর্ষণীয় হিসাবে বর্ণনা করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর কন্যার জন্ম এবং বড় হওয়া।

লেখক বেঁচে থাকা ঐ নারীর গল্প বইটিতে অর্ন্তভুক্ত করেছেন। পরিবারের একমাত্র বেঁচে যাওয়া সদস্য হিসাবে এক অপরাধ বোধ তাঁকে আঁকড়ে ধরেছিল। পরিবারের ছবি থেকে তিনি তাঁর নিজের ছবিটি কেটে বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন।

বইমেলায় যোগদানকারী নিউ ইয়র্কের হাই স্কুলের একজন শিক্ষক বলেন যে আণবিক বোমা হামলার ক্ষয়ক্ষতি লোকজন ভুলতে শুরু করেছে এমন এক সময়ে তিনি তাঁর শিক্ষার্থীদের বলতে চান যে এই মর্মান্তিক ঘটনার যেন কখনো পুনরাবৃত্তি না হয়।

বৈশ্বিক পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ যে এখনো পর্যন্ত অর্জন করা সম্ভব হয়নি সে বিষয়ে জাতিসংঘ উদ্বিগ্ন।