নিরাপত্তার সব সূচকে ভারতের শহরগুলি পিছিয়ে, প্রথম টোকিও

মোট ৫৭টি সূচকের ভিত্তিতে বিশ্বের ৬০টি শহরের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেই তালিকায় জাপানের রাজধানী টোকিও আছে প্রথম স্থানে। আর ভালো অবস্থানে নেই ভারতের শহরগুলি।-খবর দ্য ইকনোমিস্ট। সূচকগুলির মধ্যে অন্যতম ডিজিটাল নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, পরিকাঠামোগত নিরাপত্তা এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা। আধুনিক শহুরে জীবনের জন্য এই দিকগুলি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।

বিভিন্ন নিরাপত্তার দিক দিয়ে জাপানের রাজধানী টোকিও বিশ্বে প্রথম। এরপর আছে যথাক্রমে সিঙ্গাপুর, ওসাকা, আমস্টারডাম ও সিডনি। তালিকায় ৪৫ নম্বর স্থানে আছে ভারতের মুম্বাই। আরও সাত ধাপ পিছিয়ে ৫২ নম্বর স্থানে জায়গা হয়েছে দিল্লির। শেষ স্থানে আছে লাগোস।

ডিজিটাল নিরাপত্তার দিক দিয়ে তালিকার শীর্ষে টোকিও। এরপর প্রথম পাঁচে যথাক্রমে আছে সিঙ্গাপুর, শিকাগো, ওয়াশিংটন ডিসি এবং লস অ্যাঞ্জেলস ও সান ফ্রান্সিসকো যুগ্মভাবে পঞ্চম।

আর ৪৭ নম্বর স্থানে আছে ভারতের দুটি শহর। মুম্বাই ও দিল্লি। তালিকার শেষ থেকে প্রথমে রয়েছে মিয়ানমায়ের রাজধানী ইয়াঙ্গুন।

স্বাস্থ্য নিরাপত্তার দিক থেকে জাপানের শহরে ওসাকা। তারপরে প্রথম পাঁচে আছে যথাক্রমে টোকিও, সোল, আমস্টারডাম ও স্টকহোম যুগ্মভাবে চতুর্থ স্থানে, পঞ্চম স্থানে ফ্রাঙ্কফুর্ট।

স্বাস্থ্য সুরক্ষার তালিকায় ভারতের দুটি শহর ৫০ এর কোঠায়। মুম্বাই রয়েছে ৫০ নম্বরে এবং দিল্লি আছে ৫১-এ। তালিকার সর্বশেষ শহর লাগোস।

পরিকাঠামোগত নিরাপত্তার দিক দিয়ে প্রথম পাঁচের বাকি শহরগুলি হল ওসাকা, বার্সেলোনা, টোকিও ও মাদ্রিদ। ভারতের মুম্বাই ৫০ নম্বরে। আরও সাত ধাপ পিছিয়ে জায়গা পেয়েছে দিল্লি। শেষ স্থানে ক্যারাকাস।

ব্যক্তিগত সুরক্ষার সূচকগত তালিকার প্রথমে আছে সিঙ্গাপুর। তারপর প্রথম পাঁচে আছে যথাক্রমে কোপেনহাগেন, হংকং, টোকিয়ো এবং ওয়েলিংটন।

একমাত্র এই তালিকায় ভারতের দুটি শহরের স্থান তুলনামূলকভাবে ভাল। ৩৭ নম্বরে আছে মুম্বাই এবং ৪১-এ জায়গা পেয়েছে দিল্লি। তালিকার শেষ শহর লাগোস।