মহাশূন্যে নারী নভোচারী দলের প্রথম পদচারণা
স্পেসওয়াক বা মহাশুন্যে পদচারণায় প্রথম ‘নারী দল’ পাঠিয়ে ইতিহাস গড়ল যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। শুক্রবার ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) পাওয়ার নেটওয়ার্কের একটি ভাঙা অংশ ঠিক করেন তারা। প্রথমবারের মতো পুরুষ ক্রুমেট ছাড়া আইএসএসের বাইরে পা রাখলেন নারী মহাকাশচারীরা। এর আগে কোনো নারী মহাকাশচারী স্পেসওয়াকে গেলেও সঙ্গে ছিলেন পুরুষ সহকর্মী। সর্বশেষ ইতিহাস গড়া এই দুই নারী হচ্ছেন ক্রিস্টিনা কোচ ও জেসিকা মীর।
ইস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড টাইম অনুযায়ী শুক্রবার সকাল সাতটা ৩৮ মিনিটে এই ইতিহাস সৃষ্টি হয় বলে নাসা জানায়। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ক্রিস্টিনা প্রথমে আইএসএসের বাইরে পা রাখেন। এর কিছুক্ষণ পরই পা বাড়ান তার ক্রুমেট জেসিকা। উল্লেখ্য, এর আগে মহাকাশে হাঁটা যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী হলেন ক্যাথরিন সুলিভ্যান। ৩৫ বছর আগে মহাকাশে পা রাখা সুলিভ্যান এই ঘটনায় খুবই আনন্দিত। তিনি বলেন, মহাকাশচারীদের মধ্যে মহাকাশে হাঁটার মতো যথেষ্ট প্রশিক্ষিত নারী আছে জেনে আমার খুবই ভালো লাগছে।
নাসার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারাসহ সারা বিশ্বের অসংখ্য নারী ও পুরুষ এই দুই মহাকাশচারীকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন তাদের অনেকেই ভবিষ্যতে নারীদেরকে মহাকাশে পাঠানোর বিষয়টি ধারাবাহিক হবে বলে আশা করছেন।
জানা গেছে, শুক্রবারের স্পেসওয়াকের অভিযানে দুই নভোচারী ৬ ঘণ্টা অবস্থান করেন। এই সময়ের মধ্যে তারা বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক পাল্টান। ফেরার সময় তারা অকেজো হয়ে পড়া যন্ত্রটি নিয়ে আসেন। এই প্রোগ্রাম সরাসরি সমপ্রচার করে নাসা। প্রায় ৬১ জন ক্রু তাদের এই মহাকাশে পাড়ি দেয়ার বিষয়টি দেখভাল করেন। নাসা জানায় এটি তাদের ২০২৪ সাল নাগাদ চাঁদে মানুষ পাঠানো এবং নারীদের এ ক্ষেত্রে আরও উত্সাহিত করার পদক্ষেপ।
ট্রাম্পের অভিনন্দন: এদিকে, স্পেসওয়াকে প্রথমবার নারীদল পাঠিয়ে ইতিহাস সৃষ্টির ঘটনায় ওই দুই মহাকাশচারীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সরাসরি ফোনে তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় ট্রাম্প বলেন, ‘তোমরা মনোবল হারিও না। গোটা বিশ্ব তোমাদের দেখছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো নারী স্পেসওয়াকে যাচ্ছে।’ তবে তাদের মধ্যে একজন কথা বলার সুযোগ পেয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য সংশোধন করে বলেন, ‘এর আগেও একজন মার্কিন নারী স্পেসওয়াক করেছেন। এবার তফাত্ হলো কোনো পুরুষ ছাড়াই আমরা দু’জন নারী স্পেসওয়াকে যাচ্ছি।’