তাইফুন হাগিবিসে নিহতের সংখ্যা ৭৫ জনে উন্নীত

কমপক্ষে ৭৫ ব্যক্তির মৃত্যু ও আরও ৩৪৫ জনকে আহত করা তাইফুন হাগিবিসের চলমান ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতে জাপানের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। উদ্ধার কর্মীরা এখনও নিখোঁজ দশজনের সন্ধান অব্যাহত রাখার মুখে জরুরি ত্রাণ কর্মীরা পরিস্থিতি সামাল দিতে সংগ্রাম করতে হওয়া লোকজনের জন্য খাদ্য ও অন্যান্য সরবরাহ পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছেন।

মিয়াগি জেলায় দুর্যোগে আটকা পড়ে যাওয়া লোকজন আবর্জনায় বার্তা লিখে সাহায্যের জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি আবেদন জানান।

বন্যার পানিতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এলাকাগুলোতে প্রবেশ করার জন্য কিছু উদ্ধারকারী দল হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে।

তাইফুন দমকা হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাত নিয়ে এসে সারা দেশ জুড়ে বিভিন্ন নদীর ৭৯টি বাঁধ ভেঙ্গে দেয়।

এন এইচ কে জানতে পেরেছে ৩০ হাজারের বেশি বাড়িঘর তলিয়ে গেছে এবং ১ হাজার ৬শটির বেশি ভেঙ্গে পড়েছে কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ছয়টি জেলায় ৪,৩০০ বাসভবনে এখনও বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই। ১৩টি জেলার ১ লক্ষ ১০ হাজার বাড়িঘরে পানি সরবরাহ বন্ধ আছে। পরিষেবা পুনরায় চালু হতে কতদিন লাগবে তা এখনও পরিষ্কার নয়।

হোকুরিকু লাইনে বুলেট ট্রেনের চলাচল এখনও আংশিকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। রেল পরিচালনা কোম্পানি বলছে রেল যোগাযোগ পুরোপুরি চালু হতে কমপক্ষে এক কিংবা দুই সপ্তাহ লাগবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অভ্যন্তরীণ রুটের কিছু বিমান কোম্পানি ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়িয়ে নিয়েছে এবং বড় আকারের বিমান ব্যবহার করছে।