জাপান যাচ্ছে তিন মাসের প্রযুক্তি প্রশিক্ষণে ৫০ জন

বাংলাদেশের হাইটক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন জেলা পর্যায়ে আইটি/ হাইটেক পার্ক স্থাপন (১২টি জেলায়) প্রকল্পের আওতায় জাপানে প্রশিক্ষণে যাচ্ছে ৫০ জনের একটি দল। জাপানের ফুজিত্সু রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ডাটা সায়েন্স, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, ইন্টারনেট অব থিংস, রবোটিক্স, ব্লক চেইন এবং সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে ৯০ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে।

বাংলাদেশের হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। মতবিনিময়কালে প্রশিক্ষণার্থীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশকে একটি মেধানির্ভর অর্থনীতির দেশে পরিণত করতে আমরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকার বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে চায়। এর অংশ হিসেবে জেলা পর্যায়ে আইটি/ হাইটেক পার্ক স্থাপন (১২টি জেলায়) প্রকল্পের আওতায় ৩০ হাজার তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে আমরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর মাধ্যমে ৩৪১১ জন EEE/CSE/IT/Computer Science/ Software EngineeringSoftware Engineering গ্রাজুয়েটে র মধ্যথেকে ২০০ জনকে নির্বাচন করা হয়েছে। মেধাক্রম অনুসারে প্রথম ৫০ জন জাপান যাচ্ছে। আমি আশা করি এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা দক্ষ আইটি কর্মী পাব।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন জেলা পর্যায়ে আইটি/ হাইটেক পার্ক স্থাপন (১২টি জেলায়) প্রকল্পের আওতায় ৩০ হাজার তরুণ-তরুণীকে আইটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রকল্পের আওতায় নির্মিতব্য স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ১২টি জেলায় ৭ তলা (প্রতি তলা ১৫,০০০ বর্গফুট) মাল্টিটেনেন্ট ভবন নির্মাণ (স্টিল স্ট্রাকচার); ১২টি জেলায় ৩ তলা (প্রতি তলা ৭,০০০ বর্গফুট) ক্যান্টিন ও এমপি থিয়েটর ভবন (স্টিল স্ট্রাকচার); আটটি জেলায় ৩ তলা (প্রতি তলা ৬,০০০ বর্গফুট) ডরমিটরি ভবন (আর সিসি স্ট্রাকচার) এবং ১২টি জেলায় ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল কাজ। এছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হবে।