জাপানের জায়েন্ট পান্ডা

জাপানে বর্তমানে টোকিওর উয়েনো চিড়িয়াখানাসহ তিনটি স্থাপনায় ১০ টি জায়েন্ট পান্ডা রয়েছে। কালো এবং সাদা রঙের এই ভাল্লুকগুলো জাপানের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রাণীদের অন্যতম। ১৯৭২ সালে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ঠিক পরে জাপান চীনের কাছ থেকে দুটি জায়েন্ট পান্ডা পেয়েছিল এবং এরপর থেকেই সারা দেশ জুড়ে এই প্রাণীকে নিয়ে উৎসাহ বৃদ্ধি পায়।

বিপদজনক প্রজাতি এবং ফুল ও লতাগুল্মের ব্যবসা সংক্রান্ত আর্ন্তজাতিক চুক্তির আওতায় জায়েন্ট পান্ডার বাণিজ্যিকীকরণ নিষিদ্ধ। বর্তমানে চীন প্রজনন গবেষণা কর্মসূচির অংশ বলে ব্যাখ্যা দিয়ে তার পান্ডাদের ভাড়া দেয়। যে সব স্থাপনা ঐ প্রাণীগুলোকে ভাড়া নেবে তাদেরকে বার্ষিক ফি পরিশোধ করতে হবে। উয়েনো চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে টোকিও মেট্রোপলিটন সরকার এবং তারা প্রায় প্রতি বছর দুটি পান্ডার জন্য ১০ কোটি ইয়েন বা প্রায় ৯ লাখ ২০ হাজার ডলার পরিশোধ করে থাকে। এই দুই পান্ডা হল শান শান এর বাবা মা।

দৃশ্যতঃ কোন্‌ দেশকে পান্ডা ভাড়া দেয়া হবে তা চীন তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। বন্য প্রাণী সংরক্ষণকারী একটি গ্রুপের মতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান, পান্ডা ভাড়া দেয়া দেশের তালিকার শীর্ষে রয়েছে।

জায়েন্ট পান্ডার প্রজনন প্রক্রিয়া খুব কঠিন। তবে পশ্চিম জাপানের ওয়াকাইয়ামা জেলার এডভেঞ্চার ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ পার্ক সফল ভাবে এই কাজ করতে পেরেছে এবং ১৬টি জায়েন্ট পান্ডাকে লালনপালন করছে তারা।এই সংখ্যা হল চীনের বাইরে সর্বোচ্চ। এডভেঞ্চার ওয়ার্ল্ডের কর্মকর্তারা বলছেন চীনের সাথে যৌথ গবেষণা এবং চীনা গবেষকদের সাথে ঘনিষ্ট সহযোগিতার কারণে ভালো ফল পাওয়া গেছে। স্থাপনাতে সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে তা পান্ডাদের জন্য উপযুক্ত আবাসভূমি বলে তাঁরা আরও উল্লেখ করেন।