জাপানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চা

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে জাপান পিছিয়ে পড়েছে। গবেষণা পত্রে সূত্র উল্লেখের বিশ্ব ক্রমতালিকায় চতুর্থ স্থান থেকে জাপানের নবম স্থানে অবনতি ঘটা সংশ্লিষ্ট উপাত্ত এই দাবিকে সমর্থন করছে।

কঠোর আর্থিক পরিস্থিতির অধীনে জাপান সরকার প্রায় এক দশক আগে শুধুমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা-পূর্ণ বলে বিবেচিত হওয়া ব্যবহারিক গবেষণা প্রকল্পগুলোকেই নির্দিষ্টভাবে তহবিল বরাদ্দ দেয়া শুরু করে।

একই সময়ে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম পরিচালনার বাজেট কর্তন করে। এর ফলে মৌলিক গবেষণার জন্য তহবিলের সংকট ঘটে। কেউ কেউ এ বিষয়ে দিকনির্দেশ করেছেন যে তরুণ গবেষকদের অস্থিতিশীল অবস্থা তাদের জাপানের বাইরে চাকরি খুঁজে নিতে উদ্বুদ্ধ করছে।

প্রতিবেশী চীন যখন বিজ্ঞান ও গবেষণা খাতে বিশাল অংকের তহবিলের যোগান দিচ্ছে এবং দক্ষিণ কোরিয়া একটি সুদৃঢ় বাজেট প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করছে, তখন এ খাতে জাপানের বাজেটের মোট পরিমাণ খুব একটা প্রবৃদ্ধির আভাষ দিচ্ছে না।

নাগোইয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং’য়ের ডিন অধ্যাপক নোরিমি মিযুতানি বলেছেন, কার্যক্রম পরিচালনার খরচ কর্তনের ফলে গবেষকরা সরকারি ভর্তুকির পাশাপাশি বাইরের উৎসের অনুদান খোঁজা শুরু করতে বাধ্য হন। তিনি বলেন, তবে এ ধরণের অনুদান জোগাড় করা অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা-পূর্ণ হওয়ার কারণে গবেষকরা যথেষ্ট সময় এবং শক্তির অপচয়ের পরও এই অর্থ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রায়শ ব্যর্থতার মুখোমুখি হন।

অধ্যাপক মিযুতানি বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে, মধ্য থেকে দীর্ঘ মেয়াদী কৌশলের উপর ভিত্তি করে গবেষণার প্রসারে সরকারি সহায়তার অধীনে শিক্ষা এবং শিল্পখাতের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা থাকা উচিত।