জাপানের আবহাওয়া কর্মকর্তারা, সামান্য দুর্বল হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম জাপান অভিমুখে তাইফুন “হাইশেন” এগিয়ে আসতে থাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখতে লোকজনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন।
আবহাওয়া সংস্থার কর্মকর্তারা, আজ সকাল সাড়ে ৯টায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উক্ত আহ্বান জানান।
সাংবাদিকদের কাছে আবহাওয়ার সংস্থার কর্মকর্তা নাকামোতো ইয়োশিহিসা, ওকিনাওয়া ও আমামি অঞ্চলের দ্বীপগুলোতে মারাত্মক ঝড়ো বাতাস ও উঁচু ঢেউ প্রত্যক্ষ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
তাইফুন সংক্রান্ত সর্ব সাম্প্রতিক উপাত্তের ভিত্তিতে কর্মকর্তারা, কাগোশিমা জেলায় জরুরি সতর্কতা জারির সম্ভাবনা কম বলে জানান। তবে তারা, তাইফুনের আনুমানিক সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগের মাত্রার কোন বড় ধরণের পরিবর্তন না থাকায় নিজেদের সুরক্ষা ব্যবস্থা না কমাতে লোকজনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন।
তাইফুন “হাইশেন”এর কেন্দ্রভাগের কাছাকছি বাতাসের গতিবেগ হচ্ছে ঘণ্টায় ১৬২ কিলোমিটার যা সর্বোচ্চ ২১৬ কিলোমিটারে উন্নীত হচ্ছে। এটির কেন্দ্রভাগের বায়ুমণ্ডলীয় চাপ হচ্ছে ৯৪৫ হেক্টোপাস্কাল।
আবহাওয়া কর্মকর্তারা, আজ সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ তাইফুন “হাইশেন” কাগোশিমা জেলার ইয়াকুশিমা দ্বীপের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল বলে জানান। তাঁরা, তাইফুনটি ঘণ্টায় ৩৫ কিলোমিটার বেগে উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল বলে উল্লেখ করেন।
কর্মকর্তারা, স্থানীয় সরকারগুলো নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ বা পরামর্শ জারি করলে দ্রুত সরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। তাঁরা, নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়া বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন মারাত্মক ঝড়ো বাতাস আরম্ভ হওয়ার আগেই পদক্ষেপ নেয়া ভাল হবে বলে উল্লেখ করেন।
ভূমি মন্ত্রনালয়ের একজন কর্মকর্তা, কিউশু দ্বীপের কাগোশিমা, মিয়াযাকি ও কুমামোতো জেলার বৃহদাকারের নদীগুলোর তীর প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান।
মিয়াযাকি জেলার অনেক হোটেল, বাড়িঘর ছেড়ে আসা লোকজনে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। আজ, পাহাড়ের উপরে অবস্থিত একটি হোটেলের ১০১টি কক্ষের সবগুলো সংরক্ষণ করা হয়ে গেছে। হোটেলটির ব্যবস্থাপক, বছরের এসময়ে হোটেলের সবগুলো কক্ষ পরিপূর্ণ হওয়া অস্বাভাবিক বলে উল্লেখ করেন।
তাইফুন, প্রধান পরিবহন নেটওয়ার্কগুলোর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। আজ, ৫শর বেশী ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এগুলোর অধিকাংশ কিউশুর দক্ষিণাঞ্চল ও ওকিনাওয়ায় আসা যাওয়ার কথা ছিল।
কিউশু শিনকানসেন বুলেট ট্রেনের পরিচালনাকারী কোম্পানি, আজ আংশিক এবং আগামীকাল ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে বলে জানায়।